২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতেই যুক্তরাষ্ট্র প্রিয়া সাহাকে বেছে নিয়েছে

-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগের পেছনে মার্কিন দূতাবাসের দুরভিসন্ধি রয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এ অঞ্চলে সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতেই তারা প্রিয়া সাহাকে বেছে নিয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ করেন। স্ট্যাটাসে জয় আরো বলেন, মার্কিন দূতাবাস যে আওয়ামী লীগ বিরোধী তা নতুন কিছু নয়। তাদের সব অনুষ্ঠানেই জামায়াতের নেতাকর্মী ও যুদ্ধাপরাধীরা নিয়মিত আমন্ত্রিত হতেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিষ্কারভাবেই লক্ষ করা যাচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় স্ট্যাটাসে বলেন, “আপনারা হয়তো দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার ভয়ঙ্কর ও মিথ্যা দাবি। উনি বলেছেন বাংলাদেশ থেকে নাকি তিন কোটি ৭০ লাখ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ‘গায়েব’ বা ‘গুম’ হয়ে গেছেন। প্রায় চার কোটির কাছাকাছি যে সংখ্যাটি উনি বলছেন, তা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যার ১০ গুণেরও বেশি, আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যার কাছাকাছি। এত মানুষ গুম হলো সবার অজান্তে? তিন কোটি ৭০ লাখ মানুষ গায়েব হলো কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই?”
তিনি বলেন, ‘প্রিয়া সাহাকে আমেরিকায় পাঠানো হয় বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের মনোনয়নে। অনেক সমালোচনার পর আজ (রেবাবার) তারা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তারা বলেছেন তারা অংশগ্রহণকারীদের কথাবার্তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেন না। কিন্তু যখন তাদের একজন মনোনীত অংশগ্রহণকারী তাদেরই রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে কোনো ভয়ঙ্কর মিথ্যা বক্তব্য দিলেন, তাদের উচিত ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিবাদ জানানো, যা তারা করেননি। এই বিষয়টি থেকে কিন্তু মার্কিন দূতাবাসেরই দুরভিসন্ধি প্রকাশ পায়। তারা জেনেশুনেই প্রিয়া সাহাকে বাছাই করে, কারণ তারা জানত উনি এ ধরনের ভয়ঙ্কর মিথ্যা মন্তব্য করবেন। এ ধরনের কাজের পিছে একটাই কারণ চিন্তা করা যায় : মানবিকতার দোহাই দিয়ে আমাদের এ অঞ্চলে সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। মনে রাখা ভালো কয়েক দিন আগেই মার্কিন এক কংগ্রেসম্যান একটি বক্তব্যে বলেছিলেন বাংলাদেশের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দখল করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাস যে আওয়ামী লীগ বিরোধী তা নতুন কিছু নয়। তাদের সব অনুষ্ঠানেই জামায়াত নেতাকর্মীরা ও যুদ্ধাপরাধীরা নিয়মিত আমন্ত্রিত হতেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিষ্কারভাবেই লক্ষ করা যাচ্ছে। সৌভাগ্যবশত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকার অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতিতে বিশ্বাসী নন। তারা এ ধরনের ভয়ঙ্কর মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করার মতো বোকাও নন।’


আরো সংবাদ



premium cement