১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন জেলা প্লাবিত

ত্রাণের দেখা নেই

বাঁধে ঘর তুলতেও লাগছে টাকা; বাঁধ ও সড়ক ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত; বানভাসিদের দুর্ভোগ বাড়ছে; তীব্র হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট
-

বন্যা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার ১০ দিনের মাথায় নতুন নতুন জেলা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও নতুন করে বাঁধ ও সড়ক ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আরো কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাই আতঙ্কিত লোকজন নিজেরাই বাঁধ ও সড়ক রক্ষায় নেমে পড়েছে। কোনো কোনো নদীতে পানি কমতে শুরু করলেও এখনো তা বিপদসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
এ দিকে বানভাসিদের দুর্ভোগ ক্রমশই বাড়ছে। বন্যার সময় দীর্ঘ হওয়ার সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুরই সঙ্কট তীব্র হচ্ছে। ত্রাণের অপ্রতুলতার কারণে বেশির ভাগ বানভাসি এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। বন্যাদুর্গত এলাকার বিচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই চালু করা যায়নি। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেছে। গতকাল কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুরে পানিতে ডুবে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। এখনো ঘরে ফিরতে পারছেন না দুর্গতরা। গত দশ দিনে পানিবন্দী হয়েছে জেলার ৮ লাখ মানুষ। বানভাসীদের জন্য অপ্রতুল ত্রাণের কারণে সর্বত্র হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। বিশাল এলাকাজুড়ে বন্যা হওয়ায় জনপ্রতিনিধিরাও সবার কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। এ অবস্থায় আজ শনিবার কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন। এ দিকে গতকাল শুক্রবার সকালে পানিতে পড়ে সীমা খাতুন নামে দেড় বছরের একটি শিশু মারা গেছে। সে উলিপুর পৌরসভার খাওনারদরগা গ্রামের ভাটিয়াপাড়ার সাদেক মিয়ার কন্যা। এ নিয়ে গত দশ দিনে পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ জনে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম জানায়, বন্যায় ৫৭টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ পরিবারের ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। প্রায় ২ লাখ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর। বন্যায় ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা, ৪০ কি.মি বাঁধ ও ৪১টি ব্রিজ/কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নলকূপ ক্ষতিগস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি। ৬৪ হাজার মানুষ বর্তমানে ১৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, চিলমারীর বানভাসীদের এখন আশ্রয় মিলছে না বাঁধেও। ক্ষমতা বা টাকা ছাড়া সেখানে ঘর তুলতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। পানির তোড়ে বুরুজের পাড়া ও রাজারঘাট সড়ক ভেঙে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের চলাচল। জানা গেছে, উপজেলার কাঁচকোল বুরুজের পাড়া সড়ক ও রাজারঘাট ব্রিজের দু’পাশ ধসে যাওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধসহ উপজেলা প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা শহরের প্রতিটি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও বিপদ সীমার ১২৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত)। অনেকেই নিজের বাড়ির কোমর পানিতেই অবস্থান করছে। পাশাপশি খাদ্য, বিশুদ্ধপানি ও তীব্র জ্বালানি সঙ্কটে দিন পার করছে এখানকার বানভাসী লোকজন। সামান্য ত্রাণসামগ্রী এসব এলাকায় দিলেও তা পৌঁছেনি বেশির ভাগ মানুষের ঘরে।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকসাবাড়ি বাঁধের পূর্বপাশে কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। ঘরের চাল বরাবর পানি ছুঁইছুঁই করছে। এসব এলাকার মানুষ ত্রাণ না পাওয়া এবং ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছেন। সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ২৫ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে জেলায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির পাট, ধান ও সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুর জেলার নি¤œাঞ্চলগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বন্যার পানি। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রীরচর, নর্থচ্যানেল, আলিয়াবাদ, চরমাধবদিয়া ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বর্তমানে বিপদসীমার ৫৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ওমর ফারুক জানান, তার ইউনিয়নে পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত গতিতে বন্যার পানি ডুকে পড়ায় ইউনিয়নের সাদীপুর, গদাধরডাঙ্গী ও আলিয়াবাদ এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে ক্ষেতের ফসল ও গবাদিপশু নিয়ে মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মির্জা সাইফুল আজম জানান, তার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘের টিলার প্রধান সড়কটি বন্যার পানির তোরে ভেসে যাওয়ায় ওই এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক জানান, শুক্রবার তার ইউনিয়নে ৬ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শত বাড়িঘর, মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং সেল থেকে জানা গেছে, বন্যার ফলে ফরিদপুর সদর, সদরপুর, ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন এই চারটি উপজেলার দুই হাজার ১৫৪টি পরিবারের ৮ হাজার ৮৪২ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কাজিপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া ওয়াপদা বাঁধ মেরামত করেছেন স্থানীয় লোকজন। দিনরাত একাকার করে ভূতবাড়ি, পুখুরিয়া, ভাণ্ডারবাড়ি, ঢেকুরিয়া ওয়াপদা বাঁধের ভঙ্গুর স্থানগুলোতে বালুর বস্তা দিয়ে পাইলিং করে সম্ভাব্য ধস ঠেকিয়েছেন তারা। মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, অবস্থা এমন হয়েছিল, যদি এটা না করা হতো, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ দিকে যমুনার পানি এখনো বিপদসীমার ১৫২ সেমি উপর দিয়ে বইছে, যা ১৯৮৮ ও ২০০৭ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, যমুনায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বৃহস্পতিবার রাতে ভূঞাপুর-তারাকান্দী সড়কের টেপিবাড়ী নামক স্থানে ভেঙে ভূঞাপুরসহ পাশের গোপালপুর ও ঘাটাইল উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যমুনা সার কারখানার সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও সড়ক ভেঙে ভূঞাপুর উপজেলাসহ গোপালপুর, ঘাটাইলের কয়েক শ’ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে শাকসবজির ক্ষেত। বন্যায় ভেসে গেছে পাটের জাগ, গবাদিপশুর খাদ্য, খড়ের পালা, পুকুরের মাছসহ সব কিছু। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জানান, বন্যার কারণে ১৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ছয়টি মাদরাসা, ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যার পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের বৈলেগঁাঁও ফৈয়লেমারী গ্রামের ছামিউল মণ্ডলের ছেলে মশিউর রহমান (৩০) ঘরে ভেতরে মাচা থেকে পড়ে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। চিনাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
রানীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর রানীনগরের নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। শুক্রবার ভোর রাতে বেড়িবাঁধটি ভেঙে ওই এলাকার তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নওগাঁ-আত্রাই সড়কের বেশ কিছু জায়গাও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্থানীয়রা রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রানীনগর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, ১০ দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা। এ অঞ্চলের সাত উপজেলাসহ জেলায় কয়েক শ’ হেক্টর শাকসবজি, রোপা আউশ-আমনের বীজতলা ডুবে গেছে। শত শত কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে ভেসে গেছে হাজার হাজার চিংড়ি ও মাছের প্রজেক্ট পুকুর ও জলাশয়।
জানা গেছে, বন্যায় জেলার ১২ উপজেলায় ৯ হাজার ৭৬৭টি চিংড়ি ও মাছের প্রজেক্ট এবং পুকুর তলিয়ে গিয়ে ৫৪ কোটি সাত লাখ ৯৫ হাজার টাকার তিন হাজার ৩৩২.৫ মেট্রিক টন মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সওজের ১১০ কিলোমিটার সড়ক। এতে সওজের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ কাঁচা-পাকা ২০৯.৭৬ কিলোমিটার সড়ক, ব্রিজসহ অন্যান্য অবকাঠামোয় ক্ষতি হয়েছে ৭৩ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫২ হেক্টর রোপা আউশ, ১০৭ হেক্টর শাকসবজি ও ৭০ হেক্টর আমনের বীজতলা। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে কোটি কোটি টাকা। নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাজার হাজার চাষি পরিবার।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা জানান, উপজেলায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। বাঙালি নদী রক্ষা বাঁধের তিনটি স্থানে ভেঙে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার হরিরামপুর, রাখালবুরুজ, শিবপুর, নাকাই, তালুককানুপুর, মহিমাগঞ্জ, শালমারা ও কোচাশহর ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ দিকে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুসহ দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের মনু মিয়ার মেয়ে মুন্নি খাতুন বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে স্রোতে ভেসে গিয়ে মারা যায়। হরিরামপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সোলায়মান আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মাছ ধরার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্যার পানিতে নামলে কিছুক্ষণ পর তিনি নিখোঁজ হন। পরে রাতে সোলায়মানের লাশ উদ্ধার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল