২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিআইজি মিজানকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ

-

তদন্ত কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো: ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদকের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন : সহকারী পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মো: সালাহউদ্দিন।
এর আগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মিজানুর রহমানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। ১১ জুলাই ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের দেয়া আদেশ অনুযায়ী আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।
ডিআইজি মিজানের দেহরক্ষী হৃদয় হাসান, গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে ৭ জুলাই এবং তার অফিস আরদালি সুমনকে ২৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুসন্ধান দল।
অন্য দিকে, ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এনামুল বাছিরকে গত ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। তবে ওই দিনই তার পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন লিখিত বক্তব্য জমা দেন। লিখিত বক্তব্যে এনামুল বাছির নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আরো কিছু বক্তব্য দিয়েছেন।
ফরেনসিক রিপোর্টে ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং এনামুল বাছিরের ঘুষ লেনদেনসংক্রান্ত অডিও রেকর্ডের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়াছিলেন দুদকের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান। বিষয়টি আরো যাচাই করা হচ্ছে। শিগগিরই প্রতিবেদন দুদকে জমা দেয়া হবে।
১ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশের আলোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরকে দুই দফায় তলব করেছিল দুদক। গত ২ জুলাই আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ডিআইজি মিজানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। মিডিয়ায় বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন, রেকর্ডকৃত বক্তব্য কণ্ঠ নকল করে বানানো।
এরপর ঘুষের বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দুদক তিন সদস্যের একটি দলকে দায়িত্ব দেয়। ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন মামলা করে দুদক।


আরো সংবাদ



premium cement