১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পেঁয়াজের আড়তে অভিযান শুরু

-

পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা কমাতে অবশেষে শুরু হয়েছে অভিযান। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদার আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিন বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় সাত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। উল্লেখ্য এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক আব্দুল জাব্বার মোল্লা ও আফরোজা রহমান।
আড়তে অভিযানের পর মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। বিষয়টি তদারকি করতে আজ শ্যামবাজারে অভিযান চালাই। আড়তে মূল্য তালিকা না থাকা ও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে সাতটি আড়তকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানকালে আড়তদাররা জানিয়েছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে। আমদানির বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে তাদের অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। যদি কারসাজির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে বড় অঙ্কের জরিমানাসহ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানা গেছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই এখানেও তার প্রভাব পড়েছে। এর পাশাপাশি আবহাওয়ার কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
এদিকে রফতানির জন্য ভারত সরকার ব্যবসায়ীদের ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান করত। কিন্তু গত সপ্তাহের ভারত সরকার এই প্রণোদনা প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করেই ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বেড়ে যায়। তবে দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ইচ্ছা করে এই পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে কয়েক দিনের ব্যবধানে ২৫ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ৩০ টাকার দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। কোরবানির ঈদে বাড়তি প্রায় দুই লাখ টনের চাহিদা তৈরি হয়। মোট চাহিদার প্রায় ১৭ লাখ টন দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি সাত লাখ টন মূলত ভারত থেকে আমদানি হয়। এনবিআরের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সে হিসাবে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement