২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণ মামলায় ৭ জনের আত্মসমর্পণ

-

ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল দুপুরে পাবনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
পাবনার সরকারি কৌঁসুলি আকতারুজ্জামান মুক্তা জানান, গত ৩ জুলাই ওই মামলার রায়ে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ২৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৩ জনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী। এ মামলায় পলাতক ১৩ আসামির মধ্যে সাতজন রোববার আত্মসমর্পণ করলেন। এদের মধ্যে চারজন যাবজ্জীবন এবং তিনজন ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেনÑ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী পিয়ারাখালী গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম, পশ্চিমটেংরী ব্লাকপাড়ার আবদুল গফুর গার্ডের ছেলে রবি, একই এলাকার জালাল গার্ডের ছেলে মামুন, যুক্তিতলা গ্রামের জয়েন উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। এবং ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলোÑ পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার মরহুম মহসীন রিয়াজীর ছেলে রনো, মিরকামারী গ্রামের জামাত আলী সরকারের ছেলে চাঁদ আলী, চরসাহাপুর গ্রামের মতিউর রহমান সরদারের ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে দুলাল সরদার। আত্মসমপর্ণের পর আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও পথসভা অনুষ্ঠানের কথা ছিল। শেখ হাসিনার বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছানোর পূর্ব মুহূর্তে ও পরে ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই সময়ে জিআরপি পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সিআইডি মামলাটি পুনঃতদন্ত করে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে চার্জশিট দাখিল করে। ২৫ বছর পর গত ৩ জুলাই এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল