২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘জাহালমের কারাভোগ দুদকের ভুলে’

-

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তার ভুলের কারণে আসামি না হয়েও পাটকল শ্রমিক জাহালমকে কারাভোগ করতে হয়েছে বলে দুদকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, জাহালমকে আবু সালেকরূপে চিহ্নিত করার যে ভুলটি হয়েছে, তা দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণেই ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিলের পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য রেখেছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: আসাদুজ্জামান।
জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য গত ১৭ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিলেন আদালত। সে অনুযায়ী দুদকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহালমকে আবু সালেকরূপে চিহ্নিত করার যে ভুলটি হয়েছে, তা দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের কারণেই ঘটেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সঠিক ঘটনা তথা সত্য উদঘাটন করে আদালতের কাছে উপস্থাপন করা তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তা বা অন্য কারো ওপর এই দায়িত্ব অর্পণের কোনো সুযোগ নেই।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে। জাহালম তিন বছর জেল খেটেছে এটি কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এখন এর জন্য কে কতটুকু দায়ী তা আদালত নির্ধারণ করবেন।
অমিত দাস গুপ্ত বলেন, দুদক স্বচ্ছভাবেই তদন্তটা করেছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃত দোষীদের বের করে আনার জন্য তদন্তে সঠিক প্রয়াস ছিল বলেই মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে দুদক যাতে এরকম ভুল আর না করে তার জন্য সুপারিশও আছে প্রতিবেদনে। সেই সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন হলে এমনটি আর ঘটবে না বলে আমি মনে করি।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে কাটাতে হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে।
জানুয়ারির শেষ দিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত আদালতের নজরে আনলে দুদকের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কারাগারে থাকা ‘ভুল’ আসামি জাহালমকে কেন অব্যাহতি দেয়া হবে না এবং তাকে মুক্তি দিতে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত একটি রুলও জারি করা হয়। আদালতের আদেশে ৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম। পাটকল শ্রমিক জাহালমের তিন বছর কারাগারে থাকার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি করে দুদক।
গত ১৭ এপ্রিল আসামি না হয়েও জাহালমের কারাভোগের জন্য কে বা কারা দায়ী তা দেখতে দুদকের কাছে প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সেই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ছোট দেশ কাতার অর্থনীতি ও কূটনীতিতে যেভাবে এত এগোল আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর হামলায় আহত নারীর মৃত্যু ‘মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন’ অভিযোগ মোদির, এফআইআর সিপিএমের প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৪ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ

সকল