২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাজেট জনবান্ধব বিএনপির সমালোচনা গতানুগতিক : কাদের

-

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব। এই বাজেট নিয়ে হতাশার কিছু নেই। বাজেট নিয়ে বিএনপির বিরূপ সমালোচনা মনগড়া এবং গতানুগতিক। বিএনপি ১০ বছর ধরে বাজেট সম্পর্কে যে মনোভাব প্রকাশ করেছে, ঠিক একই মন্তব্য এবারও করেছে। বাজেটে কোথাও নেগেটিভ কোনো বিষয় নেই। পজিটিভ দলিল। অনন্য সাধারণ দলিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল শনিবার সকালে দলের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট সম্পর্কে তিনি এ কথা বলেন। বাজেট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ বাজেটের বিরোধিতা করবেÑ এটা তাদের আওয়ামীবিরোধী, শেখ হাসিনাবিরোধী মনোভাবের পরিচায়ক। দেশবাসী যখন অগ্রগতির সোপান জনকল্যাণকর এই বাজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেÑ তখন গুটিকয়েক মানুষ শুধু সরকারের বিরুদ্ধাচরণের জন্যই মনগড়া ও বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে, বিরোধিতা করে আসছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১-এর কারচুপির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় গেলে প্রবৃদ্ধি আবারও হ্রাস পায়। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নি¤œগামী হয়ে পড়ে। অথচ আজকে সেই বিএনপি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্মারক ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ; সময় এখন আমাদের সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক বাজেটকে নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে চলেছে। আমি বিএনপির বন্ধুদের উদ্দেশে বলতে চাইÑ জাতীয় সংসদে তো আপনাদের প্রতিনিধি রয়েছে। বাজেট নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা না করেÑ জনগণের কল্যাণে কোনো প্রস্তাব থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে সংসদে উপস্থাপন করুন। যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব গ্রহণের মতো উদারতা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের রয়েছে।
এই বাজেটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। শেখ হাসিনার নতুন সরকার নতুন স্পিরিট নিয়ে, নতুন উদ্যম নিয়ে এই বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে।
বাজেট সম্পর্কে জনগণের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বস্তরের জনগণ এই বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রস্তাবিত এই বাজেট বাংলাদেশের সব শ্রেণী ও পেশার জনগণের স্বপ্ন পূরণের বাস্তবসম্মত ও ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যুগোপযোগী ও জনকল্যাণমুখী বাজেট প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। আওয়ামী লীগ বিশ^াস করেÑ এবারের বাজেট জনকল্যাণমুখী, সাফল্য আর অগ্রগতির নবতর সম্ভাবনা সঞ্চারি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্মিত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিমূলকে আরো সুদৃঢ় ও গতিশীল করণে নব-উদ্যোম সৃষ্টিকারী বাজেট। যুগান্তকারী পদক্ষেপের সমাহারে পরিপুষ্ট এই বাজেট। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন শক্তিশালী দেশ। এবারের বাজেটও টেকসই অর্থনীতির ভিত রচনার বাজেট।
ইশতেহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি উল্লেখ করতে চাই, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এক বছরের জন্য নয়। এর বিস্তৃতি ভিশন ২০২১, ২০৪১, ২১০০ সাল ও ডেল্টা প্ল্যানের (বদ্বীপ পরিকল্পনা) ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে মিলিয়ে যারা আজকে বাজেট সম্পর্কে অপপ্রচার করছে, আমাদের বুঝতে হবে এই বাজেট এক বছরের জন্য। সরকারের পাঁচ বছরের জন্য বাজেট প্রণীত হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, মারুফা আকতার পপি, গোলাম কবির রাব্বানী চিনু প্রমুখ।
আ’লীগ যেন লীগের শত্রু না হয়
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগে যোগ্য ব্যক্তির অভাব নেই। কিন্তু যোগ্যতার সঙ্গে দলের প্রতি আনুগত্য থাকা প্রয়োজন। কখনো নিজেদের মধ্যে কলহ-বিদ্রোহ যেন না হয়। আওয়ামী লীগ যেন আওয়ামী লীগের শত্রু না হয়।
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা বিভাগের সব জেলা ও মহানগর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাংগঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ ঢাকা বিভাগের সব জেলা ও মহানগরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি বিষয়ে আমি খুব কষ্ট পাই, যখন দেখি দলের নেত্রী, অভিভাবক, বঙ্গবন্ধুর কন্যা স্বাক্ষরিত কোনো বিষয় আপনারা শৃঙ্খলার সঙ্গে মেনে নিতে ব্যর্থ হন। ৭৫-পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার মতো বিচক্ষণ নেতা আর আসেনি। সেই নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, নেত্রী মনোনয়নপত্রে সই করেছেন, সেই মনোনয়ন নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিধাগ্রস্ততা থাকা ঠিক নয়। যদি থাকে, সেটি দলের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ বহন করে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যোগ্যতার সঙ্গে দলের প্রতি আনুগত্যের প্রয়োজন। যদি একটু ঘাটতি হয়, সেখানে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘এ ন্যাচারাল পার্টি অব গভর্মেন্ট’। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহানুভূতি। হৃদয়ের অফুরন্ত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল