২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধান কিনতে আরো ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি বিএনপির

-

কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩৬ লাখ টন ধান কিনতে আরো ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ ধান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করছি। যা দিয়ে সরকার অতিরিক্ত প্রায় ৩৬ লাখ টন ধান কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারে। এবারের বোরো মওসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বছর বোরো উৎপাদন ১ কোটি ৯৬ লাখ টন হয়েছে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সরকার ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে দলীয় ব্যবসায়ীরা চালকল মালিকদের মুনাফা পাইয়ে দিচ্ছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাজার থেকে কম দামে ধান কিনে চালকল মালিকরা চাল তৈরি করে সরকারের কাছে বিক্রি করে প্রতি কেজিতে মুনাফা করছে ১০ টাকা। আর কৃষক উৎপাদিত ধান বাজারে বিক্রি করে প্রতি কেজিতে লোকসান গুনছে ১০-১২ টাকা।
মির্জা ফখরুল বলেন, বোরো ধানের উৎপাদন হবে প্রায় ২ কোটি টন। আর সরকার সংগ্রহ করবে মাত্র ১৩ লাখ টন, যা উৎপাদনের মাত্র ৬.৫ শতাংশ। ধান অথবা চাল সংগ্রহের পরিমাণ কমপক্ষে বোরো উৎপাদনের ১৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের দুধকলা দিয়ে পুষছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। অথচ এই খেলাপি ঋণের মাত্র ১০ শতাংশ বরাদ্দ দিলে সরকার আরো প্রায় ৩৬ লাখ টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারে। এতে দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা উপকৃত হবেন।
সরকারি পর্যায়ের ধান চাল গুদামজাতের ক্ষমতা প্রায় ২১.৮ লাখ টন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকদের সহায়তা দিতে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বেসরকারি গুদাম ভাড়া করে সেখানে ধান চাল সংগ্রহ করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর (সোস্যাল সেফটি নেট প্রোগ্রাম) আওতা বাড়িয়ে অধিক পরিমাণ চাল বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে যেন কৃষকের উদ্বৃত্ত উৎপাদনের সদ্ব্যবহার করা যায়।
খাদ্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি চাল কিনতে ৩ থেকে ৫ টাকা করে ঘুষ নিচ্ছে বলেও দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের পকেট ভারী করার জন্য তাদের ধান কেনার অনুমতি দিয়ে সরকার কৃষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষক পরিবারের অবস্থা আজ নাজুক ও দুর্বিষহ। কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত। দেশের প্রায় ১.৫ কোটি কৃষক পরিবারের আজ ত্রাহি অবস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা

সকল