২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কেরানীগঞ্জে জমে উঠলেও ইসলামপুরে ভিড় নেই

ঈদের পাইকারি বাজার
-

ঈদ সামনে রেখে জমে উঠছে ঢাকার কেরানীগঞ্জের তৈরী পোশাকের পাইকারি মার্কেট। বুড়িগঙ্গার কেরানীগঞ্জ প্রান্তে নদী তীরঘেঁষা তৈরী পোশাকপল্লীতে প্রতিদিন পাইকারদের ভিড় বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দসই ঈদের পোশাক কিনছেন। পাইকারদের চাহিদামতো পণ্যের যোগান দিতে পোশাক কারখানার কারিগররা রাত-দিন বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করছেন। মেয়েদের থ্রি-পিস, ছেলেদের প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট থেকে শুরু করে ছোটদের পোশাক- সবকিছুই তৈরি ও পাইকারি বিক্রি হচ্ছে এ পোশাকপল্লীতে। তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কাপড়ের বাজারে। কাপড়ের পাইকারি বাজার হিসেবে এটি অধিক পরিচিত হলেও খুচরা বিক্রির দোকানেরও অভাব নেই এখানে। ঈদ সামনে রেখে এখানকার পাইকারি বিক্রেতাদের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছরের ব্যবসা খুবই খারাপ। খুচরা বিক্রেতারা তেমন না আসায় এখনো জমজমাট হয়ে উঠেনি অনেক দিনের পুরনো এ বাজারটি।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই কেরানীগঞ্জের গার্মেন্ট শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে। গত কয়েক বছরে এখানে বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে তৈরী পোশাকের ছোট বড় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ প্রায় দেড় হাজার কারখানা। ঐতিহ্যবাহী মুসলিম কালেকশন, ওয়ান পয়েন্ট, বিগস্টারসহ এখানে রয়েছে নামীদামি সব ব্রান্ডের পোশাক কারখানাও। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে দুই লক্ষাধিক শ্র্রমিকের। চীনের সাথে পাল্লা দিয়ে তারা উৎপাদন করছেন তৈরী পোশাক। কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টপল্লীতে পা রাখলেই যেকেউ হারিয়ে যাবে অন্য জগতে। যারা চীন ঘুরে এসেছেন তাদের কাছে মনে হবে যেন চীনেরই কোনো এক ভূখণ্ডে আছেন। তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতা, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা, প্র্রশস্ত রাস্তা-ঘাটের ব্যবস্থা থাকলে এই গার্মেন্টপল্লী হতে পারত চীনের চেয়েও ভালো কিছু। দুই ঈদে ও শীতের সিজনে এখানে বেচাকেনার ধুম পড়ে যায়। এবারো ঈদুল ফিতর সামনে রেখে জমে উঠেছে দেশের বৃহত্তম এই ক্ষুদ্র গার্মেন্টশিল্প এলাকা।
কথা হয় কেরানীগঞ্জ তৈরী পোশাক মালিক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের সাথে। তিনি জানালেন, এখন সবাই ব্যস্ত পাইকারি বেচাকেনা নিয়ে। তবে বর্ষা সিজনের ঈদ ও গত দু’বছর ধরে দেশের চলমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে তাদের ব্যবসা কিছুটা মন্দা যাচ্ছে। তা ছাড়া বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে পোশাক তৈরিতে ব্যবসায়ীদের বেগ পেতে হয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা মোটামুটি ভালো বলে জানালেন তিনি।
কয়েকজন পোশাক শ্রমিক জানালেন, রমজানের অনেক আগে থেকেই তারা ঈদের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। এখন চলছে বিকিকিনি। শবে বরাতের পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের প্রায় সব জেলা শহর থেকে পাইকাররা ছুটে আসেন এই গার্মেন্টপল্লীতে। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে নতুন পোশাকের ডিজাইন রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। পাইকারিভাবে বিকিকিনি চলবে ২০ রোজা পর্যন্ত। এরপর থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত খুচরা ক্রেতারাও এখান থেকে ঈদের পোশাক কিনতে পারবেন।
ঈদের আয়োজনে রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, সেলোয়ার কামিজ, জিন্সের প্যান্ট, কিডস আইটেমসহ সব ধরনের পোশাক। এখানে প্রায় সক কারখানাতেই দেশী ও বিদেশী কাপড়ের প্যান্ট, শার্ট তৈরি হয়ে থাকে। এ ছাড়া বড় বড় ব্যবসায়ীরা ভারত ও চীন থেকে তৈরী পোশাক আমদানি করে থাকেন। দাম নাগালের মধ্য হওয়ায় পাইকাররা এ মার্কেটে ঝুঁকছেন বেশি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের জন্য নানা ধরনের পোশাক। এবারের ঈদের জন্য বাজারে এসেছে মেয়েদের জন্য ১০ ডিজাইনের থ্রি পিস, গোল ফোরাক, নতুন ডিজাইনের ঝিলিক, লুঙিড্যান্সসহ নানা রঙের পোশাক। ছেলেদের জন্য পাকিস্তানি কোয়ালিটির প্যান্ট, জিন্স প্যান্ট, সুতি প্যান্টসহ ৫০টি ডিজাইনের প্যান্ট। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ৩৫টি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার। এই বাজারে শুধু শার্ট প্যান্ট থ্রিপিসই নয়; সব ধরনের পোশাক তৈরি হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে মার্কেটের বিভিন্ন বিতানগুলো।
সারা দেশের পোশাকের ৬০ শতাংশই রফতানি হয়ে থাকে কেরানীগঞ্জের এই মার্কেট থেকে। শুধু দেশেই নয়, বিদেশে ও রফতানিতে সুনাম রয়েছে এখানের পোশাকের। দেশের নামীদামী মার্কেট ও বিতানগুলোতে শোভা পাচ্ছে কেরানীগঞ্জের তৈরী পোশাক। এ মাসে এই পোশাক পল্লীর প্রায় প্রতিটি দোকানেই কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হয়ে থাকে। এবার পাঁচ-ছয় রোযা থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। কেরানীগঞ্জে বর্তমানে শতাধিক বড় মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট কারখানা ও দোকান। জেলা পরিষদ মার্কেট, আলম সুপার মার্কেট, ইসলাম প্লাজা, তানাকা মার্কেট, এস আলম সুপার মার্কেট, নুর সুপার মার্কেট, চৌধুরী মার্কেট, আনোয়ার সুপার মার্কেট, কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় লায়ন সুপার মার্কেট, জিনজিরা বাসরোডে ফ্যামিলি শপিংমলসহ শতাধিক মার্কেট রয়েছে।
আলম টাওয়ারের তৃতীয় তলায় লক্ষীপোলা গার্মেন্টের মালিক মো: হাজী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে তারা কোয়ালিটি প্যান্ট তৈরি করছেন। যেকোনো ধরনের রুচিশীল তৈরী পোশাক এখানে সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। আমরা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে নতুন নতুন ডিজাইনের শার্ট তৈরি করেছি। পাইকারদের যাতে খুচরা বাজার ধরতে সমস্যা না হয় সে দিকে গুরুত্ব দিয়ে ঈদের পোশাক বাজারে এনেছি। তিনি নিজস্ব ব্র্যান্ড ছাড়াও চীন, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে তৈরী পোশাক আমদানি করেন। তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৩০টি জেলায় তার কারখানায় তৈরী পোশাক বিক্রি হয়।
শুভাঢ্যা খালের পূর্ব পাড়ে নুর সুপার মাকের্টের দ্য শাহীন গার্মেন্টসের মালিক শহিদুল ইসলাম শাহিনের সাথে। তিনি ১৯৮৯ সালে লোকাল পোশাক বিক্রি ও তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। এখন বিদেশী পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চীন ও থাইল্যান্ড থেকে প্যান্ট আমদানি করেন। তার আমদানিকৃত প্যান্টের মধ্যে রয়েছে ভিকিং, জেএসবি, সিজেডসি, এফ ওয়াই আর, ইএম ইএল ও মেলা জিন্সের প্যান্ট। এসব প্যান্ট তিনি বসুন্ধরা, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকাসহ ঢাকার বড় বড় সব মার্কেটে পাইকারি বিক্রি করেন।
কথা হয় আলম সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নজরুল পাঞ্জাবির কারখানার মালিক নজরুল ইসলামের সাথে। তিনি পাইকারি বিক্রেতা ও কেরানীগঞ্জ পাঞ্জাবি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি। আলম মার্কেটে রয়েছে পাঞ্জাবি তৈরির দুই হাজার কারখানা। পাঞ্জাবি বিক্রির শো রুম আছে ১২০০। আরো আছে, জামদানি, সিল্ক, আখি কটন ও খাদি পাঞ্জাবি। এসব পাঞ্জাবিতে কারচুপি, বুটিক, কম্পিউটার, অ্যামব্রয়েডারি ও হাতের কাজের ডিজাইন রয়েছে। একই মার্কেটের নিচ তলায় কিডস আইটেম তৈরি করেন সিদ্দিক গার্মেন্টের মালিক আবুল বাশার। তিনি বাচ্চাদের এ পোশাকের নাম দিয়েছেন বাবা স্যুট। ৩ বছর থেকে ১৫ বছরের শিশুদের পোশাক তিনি তৈরি ও পাইকারি বিক্রি করেন। তার তৈরী পোশাকের মধ্যে রয়েছে বয়েজ শার্ট, ফোর কোয়ার্টার, থ্রি কোয়ার্টার ও জিরো বাবা স্যুট। আরো আছে মেসি ও নেইমারের পোশাক। তার মতো এরকম শিশুদের পোশাক তৈরি করেন আরো দুই হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টপল্লী এলাকায় ১৪ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাতে কাজ করছেন প্রায় দুই লাখ শ্রমিক।
ইসলামপুরের কাপড়ের বাজার এখনো জমেনি : তৈরী পোশাকের পাইকারি বাজার হিসেবে খ্যাত রাজধানী পুরান ঢাকার ইসলামপুর। সামনেই ঈদুল ফিতর। আর ঈদ মানেই নতুন জামা, নতুন পোশাক। তাই সারা দেশের দোকানিরা নতুন পোশাকে সাজিয়ে তুলছেন দোকান। তাদের সবার গন্তব্য এখন পুরান ঢাকার ইসলামপুর কাপড়ের পাইকারি বাজার। ঈদের পোশাক কেনার জন্য সারা দেশ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করায় কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকার থান কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী পাইকারি বাজার ইসলামপুর। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও চীন থেকে আনা কাপড়ে দোকান সাজিয়েছেন দোকানিরা। বৈচিত্র্যময় পণ্য ও সুলভ মূল্যের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাপড় কিনতে আসছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
ইসলামপুরে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ১০ হাজার কাপড়ের দোকান। ঈদ সামনে রেখে শবে বরাতের পর থেকে মূলত ইসলামপুরে বেচাকেনা শুরু হয়। চলে ১৫ রমজান পর্যন্ত। বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের সমারোহ, গুণগত মান ও সুলভমূল্য হওয়ায় সব শ্রেণীর ক্রেতার কাছে জনপ্রিয় পুরান ঢাকার ইসলামপুর বাজার। সারা বছরই এখানে থাকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। দেশী-বিদেশী সব ধরনের কাপড়ের দেখা মিলবে ইসলামপুরে। তবে এবার দেশী কাপড়ের থেকে ভারতীয় ও চীনা কাপড়ের প্রাধান্য তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হিসেবে দোকানিরা বলেন, দেশী কাপড়ের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় ভারতীয় ও চীনা কাপড়ের চাহিদা বেশি। শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, বোরকা, গজ কাপড়সহ কোনো কিছুরই কমতি নেই এখানে। সব ধরনের কাপড়ের মজুদ থাকায় এখানে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। কম দাম ও বৈচিত্র্যের কারণে পছন্দসই কাপড়ে ঈদের পোশাক বানাতে আসছেন সাধারণ ক্রেতারাও।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাপড় কিনতে আসা সবুজ মোল্লা বলেন, তিনি মূলত দেশী পোশাকই এখান থেকে কিনে থাকেন। কিন্তু এবার চীনা ও ভারতীয় পোশাকও কিনেছেন এখান থেকে। প্রত্যেক বছরের তুলনায় এ বছর পাইকারী দোকানগুলোতে ভিড় অনেক কম, তাই সময় নিয়ে কাপড় নিতে পারছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইসলামপুরের কাপড়ের ব্যবসার বড় অংশই এখন দেশী কাপড়ের দখলে। একসময় বিদেশ থেকে আমদানি করা কাপড়ের পাইকারি বাজার ছিল ইসলামপুরে। এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না থাকায় গত কয়েক মাস ব্যবসা ভালো যায়নি এই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের। ঈদের আগে ভালো বেচাকেনায় সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ছিল তাদের। কিন্তু সেটা আশানুরূপ হয়নি। ইসলামপুরের পাশাপাশি উর্দু রোডেও চলছে বেচাকেনা। তবে রাস্তা খারাপ ও যানজটের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। একই সাথে বিদেশী পোশাকের বাজার দখল করা নিয়ে চিন্তিত এখানকার বেশির ভাগব্যবসায়ী।
পাকিজা ফেব্রিক্স কালেকশনের সহকারী ম্যানেজার দীপক চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ইসলামপুরে তাদের মোট ছয়টি শো রুম আছে। মূলত শবে বরাতের পর থেকে শুরু হয় তাদের বেচা-বিক্রি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না থাকায় গত কয়েক মাস ব্যবসা ভালো যায়নি তাদের। ঈদের আগে ভালো বেচাকেনায় সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা তাদের। তিনি বলেন, এবার বেচাবিক্রি ভালো হয়েছে, তবে আশানুরূপ হয়নি। তারা মূলত থ্রিপিস, লুঙ্গি, বিছানার চাদর, শাড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে থাকেন।
জিন্নাত ফ্যাশনের তহিদুর রহমান জানালেন, ৬০-৮০ টাকা দামে লেডিস আইটেমের গজ কাপড় বিক্রি করছেন তারা। মূলত, নি¤œবিত্তদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তারা কাপড় সরবরাহ করেন। এখান থেকে কাপড় নিয়ে যান টেইলার্স ব্যবসায়ীরা। তারা সেলাই করে আবার দোকানিদের কাছে বিক্রি করেন। এ জন্য তাদের ঈদ ব্যবসা শুরু হয় শবে বরাতের আগেই।


আরো সংবাদ



premium cement