২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অর্থ ব্যবহারে অগ্রগতি নেই, তবুও পিপিপিতে থাকছে বড় বরাদ্দ

-

চলতি অর্থবছরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) খাতে অর্থ ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না থাকলেও আগামী অর্থবছরে আবারো পিপিপি খাতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এই বরাদ্দের পরিমাণ হতে পারে আড়াই হাজার কোটি টাকা থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও পিপিপি খাতে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী অর্থবছরের পিপিপি খাতে বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা গত রোববার এই প্রতিবেদককে জানান, আগামী অর্থবছরে পিপিপি খাতের বরাদ্দ রাখা হতে পারে আড়াই হাজার কোটি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। এ বিষয়টি আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরে এ খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও এই পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের জন্য ১১ শ’ কোটি টাকার আবেদন পাওয়া গেছে। অর্থ বিভাগ যাচাই বাছাই করে এই অর্থ এ মাসের শেষে ছাড় করবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, প্রতি বছর পিপিপি খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হলেও বেসরকারি খাত থেকে এ ব্যাপারে উল্লেখ করার মত তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত ‘হানিফ ফ্লাইওভার’ ছাড়া আর কোনো প্রকল্প এর আওতায় শেষ করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রথম আমলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থবছরে পিপিপিকে ‘নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস’ নাম দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, প্রতি বছর ৩৯ হাজার কোটি টাকা হিসেবে ৫ বছরে ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা পিপিপি উদ্যোগ থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু কাক্সিক্ষত হারে বেসরকারি খাত এগিয়ে না আসায় এ উদ্যোগ পুরোটা সফলতার মুখ দেখেনি।
এর আগে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ছোট-বড় চুক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সহজ করতে জাতীয় সংসদে পিপিপি আইন পাস হয়েছে। এর ফলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করছিল পরিকল্পনা কমিশন। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। পিপিপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৪৪টি প্রকল্পের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ তিনটি প্রকল্পের কাজ।
এর আগে গত বছর পিপিপি প্রকল্পের ক্ষেত্রে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে মোট বিনিয়োগ প্রকল্পের ৩০ শতাংশ পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে এডিপি প্রণয়নের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগকে। নির্দেশনায় বলা হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার হিসাব মতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১-এর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশের ভৌত অবকাঠামো ও সেবা সেক্টরে প্রতি বছর বিনিয়োগ প্রয়োজন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ ভাগ। অর্থাৎ প্রতি বছর কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। যেখানে পিপিপির মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৮ ভাগ। অর্থাৎ প্রতি বছর পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগ হতে হবে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা অবকাঠামো ও সেবা সেক্টরের মোট বিনিয়োগের শতকরা ৩০ ভাগ।
কিন্তু এডিপির ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা খাতা কলমে কার্যকর করা হলেও বাস্তবে কয়েকটি প্রকল্প ছাড়া আর কোনো প্রকল্পের বাস্তব তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম

সকল