ফেরদৌসকে প্রচারে নামানোয় মমতার সমালোচনা মোদির
মুুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে পদ্মে ভোট দিন : বিজেপি নেতা- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ আগামী ২৩ এপ্রিল। এ দফার নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো তীব্র ভাষায় পরস্পরের নেতাদের আক্রমণ করে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌসের অংশগ্রহণের বিষয়টি সামনে এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সমালোচনা করে গতকাল বলেছেন, ভারতের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনার নজির নেই। মমতা ব্যানার্জী বিদেশী নাগরিককে প্রচারণায় নামিয়ে প্রমাণ করেছেন যে নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থা কতটা খারাপ। অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জী মোদির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, নির্বাচনে জেতার জন্য মোদির নামে সিনেমা বানানোসহ অনেক কাজই করছে বিজেপি। এখন মোদির নামে জুতা বানানোই বাকি আছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই এবার কাজ হবে না। এবার বিজেপি কিছুতেই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এদিকে উত্তরপ্রদেশের বারানসী আসনে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রার্থী করা হতে পারে। উত্তর প্রদেশেরই এক বিজেপি নেতা মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে বিজেপিকে সবাই ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পর বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হচ্ছে যে, এবার বিজেপি কোনোরকমে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারলেও ধারণার চেয়েও অনেক কম আসন পাবে। আসন বাড়বে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলোর। সবচেয়ে বেশি আসনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও এবার বিজেপি ভালো ফলাফল করতে পারবে না বলে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হয়েছে। ফলে কোণঠাসা অবস্থায় পড়ে গেছে বিজেপি। হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও রামমন্দির নির্মাণ ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচারণা চালালেও তাতে তেমন একটা সাফল্য আসছে না। প্রথম দুই দফায় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ার পর থেকে নিজেদের অবস্থা আঁচ করে শঙ্কিত বিজেপি নেতারাও।
নায়ক ফেরদৌসের সমালোচনায় নরেন্দ্র মোদি : ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এ কারণে ভারতে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হয়ে ভিসা বাতিল হয়েছে তার। তাকে গ্রেফতারের দাবিও জানান বিজেপির নেতাকর্মীরা। পরে ১৬ এপ্রিল রাতেই ঢাকা ফিরতে হয় ফেরদৌসকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সমালোচনা করলেন ফেরদৌসের। গতকাল শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের বুনিয়াদপুরের নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, বিদেশীদের নিয়ে এসে নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল। এ ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়েছে যে তৃণমূলের অবস্থা কতটা খারাপ।
ভোট ব্যাংক বাড়াতে মমতা ব্যানার্জী যেকোনো কাজ করতে পারেন মন্তব্য করে মোদি বলেন, বিদেশীদের এনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কোনো নজির ভারতের ইতিহাসে ছিল না। কিন্তু মমতা সে কাজটিও করলেন। এ সময় মোদি বাংলায় বলেন, সারা দেশ জানে পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু হতে চলেছে। তাহলো এখানে এবার বিজেপির সমর্থনের ঢেউ বইছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন ফেরদৌস। এরপর এ নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। ক্ষমতাসীন বিজেপি দেশটির নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ফেরদৌসের গ্রেফতার দাবি করে। তার ভিসা বাতিল করে তাকে ভারত ছাড়তে বলা হয়। এরপর দেশে ফিরে আসেন ফেরদৌস। ভুল করে স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান তিনি।
মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিন : বিজেপি
ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব বলেছেন, মুসলমানদের ভারত থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিন। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকিতে এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
বর্ণবাদী ও কট্টর হিন্দু মৌলবাদী এ নেতা আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মনোবল ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে জন্য আপনারা যদি মুসলমানদের ধ্বংস করতে চান তাহলে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিন। দেশ ভাগের পর থেকে ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। এবার ভোটদানের মাধ্যমে তারা এ দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে। এখনই না আটকানো গেলে তারা একদিন তাতে সফল হবে। বিজেপির ওই নেতা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে চীন থেকে দাড়ি কাটার মেশিন আনা হবে। সেই মেশিন দিয়ে ১০-১২ হাজার মুসলমানের দাড়ি শেভ করা হবে। এরপর তাদেরকে জোর করে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে। নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপিকে ভোট না দিলে এর বিপরীতটাও হতে পারে। সে জন্য ওই ধরনের অবস্থা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এবং মুসলিমদের ধ্বংস করতে মোদি ও বিজেপিকে ভোট দিন।
বিজেপি নেতার ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, গোলওয়ালকর, হেডগেওয়ারের বইগুলোতে স্পষ্ট লেখা আছে যে মুসলিম, কমিউনিস্ট, খ্রিষ্টানরা জাতির অংশ নয় এবং তাদের ধ্বংসের কথা অনেক আগেই বলা হয়েছে। এটা তারা এখন নতুন ভাষায় বলছে।
‘মোদি’ ওয়েব সিরিজ বন্ধের নির্দেশ ইসির : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর বানানো ওয়েব সিরিজটি বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ‘মোদি’ নামে ওই ওয়েব সিরিজটি এ মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল ‘এরোস নাও’ ওয়েবসাইটে। সেটি সম্প্রচারের জন্য সরকারিভাবে অনুমতি নেয়া হয়নি বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন। শনিবার কমিশনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নরেন্দ্র বুটোলিয়াকে লেখা চিঠিতে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ওই সম্প্রচারের আগে মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটির (এমসিএমসি) অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা নেয়া হয়নি। তার পরই কমিশন এ পদক্ষেপ নিলো।
লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার পরই রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বানানো বায়োপিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে বানানো একটি চলচ্চিত্রের মুক্তিও আটকে দিয়েছে কমিশন।
মোদির নামে শুধু জুতা বানানোই বাকি আছে : মমতা
জ্যাকেট-সিনেমা আগেই তৈরি হয়েছে। মোদির নামে এখন কেবল জুতা বানানোই বাকি আছে। আর সেই জুতা পায়ে দিয়ে ঘুরবে আমজনতা। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করে এ মন্তব্য করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা ব্যানার্জি।
বালুরঘাট আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের পক্ষে প্রচারণায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এবারের নির্বাচন পুরো দেশের স্বার্থে। মনে রাখবেন, এবারো যদি মোদি ক্ষমতায় আসেন, সব ধরনের স্বাধীনতা হারাবে জনগণ। বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ এনে মমতা বলেন, মোদির ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এবার একটি আসনও পাবে না উল্লেখ করে মমতা বলেন, এখন মোদি আর বিজেপির অন্য নেতাদের সবাই ভয় পায়। ভাবেন, এই না দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়। বিজেপি বলছে, বাংলা, উড়িষা দখল করব। এই দুই রাজ্য দখল করে কী হবে? অন্যত্র তো বিজেপি শূন্য পাবে। এবার আঞ্চলিক দলগুলোর ফল দেখে বিজেপি টের পাবে তাদের ক্ষমতা কতখানি। তৃণমূল কংগ্রেস জানে কিভাবে দিল্লি দখল করতে হয়। বিজেপি এবার কিছুতেই ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। আঞ্চলিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে তৃণমূলই সরকার গঠন করবে।
রাহুল গান্ধীর মনোনয়নপত্রে অসঙ্গতি!
উত্তরপ্রদেশের আমেথি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ধ্রুব লালের আবেদনের ভিত্তিতে পিছিয়ে গেল ওই আসনের কংগ্রেস প্রার্থী ও দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ। গতকাল শনিবার দুপুরে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ কাজ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা দেন আমেথির রির্টানিং অফিসার। রাহুলের মনোনয়নপত্রে দাখিল করা তথ্যে অসঙ্গতি আছেÑ ধ্রুব লাল নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ জানানোর পর এ সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ধ্রুব লালের আইনজীবী রবি প্রকাশ বলেন, আবেদনে তিনটি বিষয় তুলে ধরেছি। প্রথমটি হল, ইংল্যান্ডে রাহুলের নামে থাকা একটি কোম্পানির ঘোষণাপত্রে নিজেকে ইংল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, একজন বিদেশী নাগরিক দেশের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। আমরা জানতে চাই কিসের ভিত্তিতে ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি?
দ্বিতীয়টি হলো ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ওই কোম্পানিতে রাহুল গান্ধীর কত সম্পত্তি ছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দেয়া হয়নি মনোনয়নপত্রের সাথে। তৃতীয়ত, আমরা জানতে চেয়েছি তা হলো রাহুল গান্ধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে। এ বিষয়ে তিনি যে তথ্যপ্রমাণ দিয়েছেন তার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
মোদির বিপক্ষে প্রিয়াঙ্কার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে রহস্য তৈরি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ‘দ্য হিন্দু’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি আপনাদের অনিশ্চয়তায় রাখব। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি উত্তর দিতে চাপাচাপি করলে রাহুল বলেন, আমি বিষয়টি নিশ্চিতও করছি না আবার অস্বীকারও করছি না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের বারানসি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। এবারো লড়ছেন এখান থেকে। কংগ্রেস আসনটিতে একনো প্রার্থী দেয়নি। গুঞ্জন রয়েছে যে, সদ্য কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন। প্রিয়াঙ্কাও বলেছেন যে, তার দল চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, প্রিয়াঙ্কাকে বারানসি আসনে মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী করে চমক দিতে পারেন রাহুল গান্ধী।
এ দিকে মোদিকে ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। মোদিকে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রিয়াঙ্কা। কানপুর লোকসভা আসনে দলীয় প্রার্থী প্রকাশ জায়সবালের সমর্থনে গতকাল শনিবার রোড শো করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রোড শোতে ভিড়ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের দাবি, তরুণদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।
একমঞ্চে মুলায়ম-মায়াবতী : এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে উত্তর প্রদেশে জোট গড়েছে রাজ্যের প্রধান দুই দল সমাজবাদী পার্টি (সপা) ও বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)। এবারের ভোটে সপার নেতৃত্ব মুলায়মের বড় ছেলে অখিলেশের হাতে। সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনিও। অন্য দিকে বসপার নেতৃত্ব এখনো দলিত জনগোষ্ঠীর নেত্রী মায়াবতীর হাতেই রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি ও সরকার গড়া নিয়ে মুলায়ম ও মায়াবতীর মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। ১৯৯৫ সালের পর দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে তাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে রাজ্যে জোট বেধে নির্বাচন করছে সপা ও বসপা। সেই সূত্রেই সাপে নেউলে সম্পর্ক ভুলে ফের এক মঞ্চে উঠলেন উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের দুই প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুলায়ম সিং যাদব ও মায়াবতী। গত শুক্রবার রাজ্যের মইনপুরীতে মহাজোটের নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে একসাথে হাত নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানান মুলায়ম ও মায়াবতী। মুলায়ম তার ভাষণে আবেগের সুরে বলেন, আমি শেষবারের মতো নির্বাচনে লড়ছি। আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। আমি মায়াবতীর কাছে কৃতজ্ঞ। অন্য দিকে মায়াবতী মুলায়মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মুলায়ম যাদব পিছিয়ে পড়া জাতির আসল নেতা। নরেন্দ্র মোদির মতো ভুয়া নন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা