২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

-

২০১১ বিশ্বকাপটা কিন্তু উপমহাদেশেই হয়েছিল। বাংলাদেশেও হয় সে আসরের ম্যাচ। ওই বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর ২০১৯ বিশ্বকাপের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোতুর্জা চোখের পানিতে ভাসিয়েছিলেন। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসংলগ্ন ইনডোরে বসে তার সে স্মৃতি আজো চোখে ভাসে! তার দাবিই শুধু নয়, বাস্তবতাতেও তাকে স্কোয়াডে রাখা যেত। খেলানোও যেত। আজানা কারণে বিসিবি তাকে তার সামান্য ইনজুরির জন্য উপেক্ষা করেছিলেন! কালও তেমন এক দৃশ্যের অবতারণা। এবার আর মাশরাফি নয়। তাসকিন আহমেদ। কথাই বলতে পারছিলেন না। দীর্ঘ ইনজুরির সাথে লড়াই করে বিপিএল খেলতে নেমে একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ইনজুরড হয় সব শেষ। না পারলেন নিউজিল্যান্ড যেতে, না পারলেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকতে। খুবই চেষ্টা করেছিলেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় থেকে। কিন্তু নির্বাচক ও ফিজির আস্থা অর্জন করতে পারেননি। তাই বিসিবির শত চাওয়ার সাথেও তাসকিন নেই দলে। কান্না ধরে রাখবেন তিনি কিভাবে? তেমনি সিলেটে খুশির জোয়াড় বয়ে যাওয়ার উপক্রম আবু জায়েদ রাহীর। ভাগ্যটা খুলে গেছে এ তরুণের। বলতে গেলে ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াডের চমক তিনিই। তা ছাড়া ঘুরে ফিরে অভিজ্ঞ ও তরুণ দলটাইকে রেখে দিয়েছেন নির্বাচকেরা বিশ্বকাপ ও আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্টের জন্য। যার অধিনায়ক করা হয়েছে মাশরাফি বিন মোর্তুজা এমপি-কে। তার ডেপুটি হিসেবে থাকছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এ সময় তার সাথে ছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান ও অপর নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, বোর্ড পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক গতকালই ছিল বাংলাদেশের দল ঘোষণার সময়। এতে অবশ্য আপাতত ১৭ জন ক্রিকেটার নিয়ে বিশ্ব্কাপের আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত তিন জাতি ক্রিকেটে অংশ নেবে। যেখানে হবে ৬টি ম্যাচ। আয়ারল্যান্ড পর্ব শেষ করেই ইংল্যান্ডে যাবে দল। আগামী মে মাসের শুরুতেই রওনা হবে জাতীয় দল।
এদিকে দলে তেমন কোনো পরিবর্তন না হলেও এসেছেন নতুন আবু জায়েদ রাহীর পাশাপাশি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু’জনই জাতীয় দলে খেলেছেন। তবে রাহী খেলেছেন টেস্ট ম্যাচ। পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তার। এবার সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে। অবশ্য আগে খেলবেন একটি টুর্নামেন্ট। তাসকিনের ইনজুরির কারণে আশায় বুক বেঁধে ছিলেন শফিউল। তিনিও আশাহত। একইভাবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে বেছে নিতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এমনিতেই সৌম্য সরকার ফর্মশূন্য। লিটন দাস কখনো ভালো কখনো মন্দ। তার পাশাপাশি সৌম্যের ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং সেটা ঘরের মাঠের ক্রিকেটেই, সে ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করাটা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইমরুল কায়েসসহ প্রিমিয়ার ক্রিকেটে আরো কিছু পারফরমে ছিলেন, যাদেরও দৃষ্টি ছিল। তারাও আশাহত। তবে নির্বাচকদের দৃষ্টিতে সেরা দলটাই বেছে নেয়া হয়েছে। এমনকি এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ স্কোয়াড বলতেও দ্বিধা করেননি।
দলের সদস্যরা হলেনÑ মাশরাফি বিন মোর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মাদ মিথুন, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মাদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও আবু জায়েদ রাহী।


আরো সংবাদ



premium cement