শাবানের চাঁদ দেখা নিয়ে হাইকোর্টে রিট
ইফা ডিজিকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণের নির্দেশ- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করার পর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে আবেদনকারীদের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহণ করার জন্য বলেছেন আদালত। আদালত বলেন, এটা ধর্মীয় সেনসেটিভ ইস্যু। এটা আদালতের বিষয়বস্তু না করাই ভালো। আবেদনকারীদের বক্তব্য আপাতত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে লিখিত আকারে জমা দেন। তারা যদি কনসিরাডেশনে না নেন, তাহলে আমাদের কাছে আসবেন। আমরা তখন ব্যবস্থা নেবো।
গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন নিয়ে যান আবেদনকারীদের আইনজীবী।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আমাকে বলেছেন ডিজিকে (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) জানাতে, যেন আবেদনকারীদের আবেদন গ্রহণ করেন এবং ১৭ তারিখের মিটিংয়ে আলোচনায় নেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো: খুরশীদ আলম খান।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান একটি রিট পিটিশন নিয়ে আসেন কোর্টে। পিটিশনে তিনি বলেন, শবেবরাতের তারিখ নিয়ে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। দ্বিমত দেখা দিয়েছে। তার পক্ষে তার আইনজীবী খুরশীদ আলম আবেদনটি উপস্থাপন করেন কোর্টে এবং আদালতের পারমিশন চান।
খুরশীদ আলম খান জানান, আদালত অপেক্ষা করতে বলেছেন ১৭ তারিখ পর্যন্ত। এর মধ্যে আবেদনকারীদের লিখিত আবেদন নিতে বলেছেন।
গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভা করে জানিয়েছিল, ওই দিন দেশের আকাশে কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ এপ্রিল দিনগত রাতে পবিত্র লায়লাতুল বরাত পালিত হবে।
তবে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামে একটি সংগঠনের দাবি, সেদিন খাগড়াছড়িতে চাঁদ দেখা গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লায়লাতুল বরাত পালিত হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই জরুরি বৈঠক ডাকে সরকার।
১৩ এপ্রিল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে ১১ সদস্যের সাব-কমিটি গঠন করে করা হয়। এ কমিটি শবেবরাতের আগে আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিশিষ্ট আলেম রাজধানীর মিরপুরের মারকাজুদ দাওয়ার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মুফতি আব্দুল মালেক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম ও বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি রুহুল আমীন, শায়খ যাকারিয়া (রহ.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম (মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স) মাদরাসার মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, তেজগাঁও মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী, লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি মো: ফয়জুল্লাহ, লালবাগ মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা ইয়াহ্ইয়া, মোহাম্মদপুর জামেয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি মো: মাহ্ফুজুল হক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা