১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিড়ালকে ৪০ লাখ ডলার উইল

-

ধবধবে সাদা গায়ের রঙ। টানা টানা নীল চোখ। ওই সাদামাটা চাহনি দেখে কে বলবে, বিপুল সম্পত্তির মালকিন সে! ‘চুপেট’ মারা যাওয়া ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল লাগারফেল্ডের আদরের পোষ্য এই বেড়াল। ২০১১ সালে মডেল বন্ধু ব্যাপটিস্ট গিয়াবিকোনির বাড়ি থেকে চুপেটকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। আট বছরের সেই পুষ্যিই লাগারফেল্ডের ২০ কোটি ডলারের বিপুল সম্পত্তির একটি অংশ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।
গত মঙ্গলবার মারা গেছেন লাগারফেল্ড (৮৫)। ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা শ্যানেলের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। মৃত্যুর বহু আগেই দলিল করে রেখেছিলেন, যাতে তার অবর্তমানে কষ্ট পেতে না হয় চুপেটকে। রূপোর থালায় খাওয়া, আইপ্যাডে খেলা, নরম বিছানায় ঘুম, জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আদরযতেœ ‘মানুষ’! একটি ফরাসি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লাগারফেল্ড বলেছিলেন, ‘চুপেট কিন্তু বড়লোকের মেয়ে। ওর অগাধ সম্পত্তি আছে। আমার কিছু হয়ে গেলে ওর কোনো অভাব হবে না।’ সত্যিই তাই। আনুমানিক ৪০ লাখ ডলার তার নামে রেখে গিয়েছেন লাগারফেল্ড। সেই সাথে প্রাসাদোপম বাড়ি ও প্রচুর পরিচারিকা।
চুপেটকে নিয়ে বইও আছে ‘চুপেট : দ্য প্রাইভেট লাইফ অব এ হাই-ফ্লাইং ফ্যাশন ক্যাট।’ বইজুড়ে তার নানা কায়দার ছবি। এতে রয়েছে তার পছন্দের খাবারের রন্ধন-প্রণালী। সে সব খাবার প্যারিসের সেরা রেস্তোরাঁ থেকে আসে চুপেটের জন্য। নিজের টেবিল-চেয়ারে বসে রসিয়ে খায় সে।
লাগারফিল্ড বলেছিলেন, ‘ওকে বেড়াল ভাববেন না, ও মানুষই। শুধু একটা বিশেষ গুণ আছে, চুপচাপ।’ বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিল চুপেট। কিন্তু সে সব ফিরিয়ে দেয়া হয়। জবাবে লাগারফিল্ড সংস্থাগুলোকে বলেছিলেন, ‘ও অভিজাত বাড়ির মেয়ে। বিজ্ঞাপন করবে কেন!’
ফরাসি আইন অনুযায়ী, কোনো পোষ্যের জন্য সম্পত্তি উইল করা যায় না। প্রবীণ ডিজাইনারকে সে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেছিলেন, ‘তাতে অসুবিধে নেই। আমি তো ফরাসি নই।’ ইঙ্গিতে ভালোই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, চুপেটের নামে ট্রাস্ট করে যথেষ্ট অর্থ রেখে যাবেন। যাতে আদরের ‘মেয়েকে’ কখনো অভাবে পড়তে না হয়। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement