১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে নেতারা : নয়া দিগন্ত -

পছন্দসই কোথাও অনুমতি না পেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আগামী শুক্রবার নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে গণশুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের গণশুনানি ছিল ২৪ তারিখ। এটি আগামী ২২ তারিখ হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এই গণশুনানি সকাল ১০টায় শুরু হবে এবং বিকেল ৪-৫টা পর্যন্ত চলবে। এটাই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুই দিন কেনো এগিয়ে আনা হলো প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, কোথাও জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। যেহেতু আমরা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি পেয়েছি ২২ তারিখ। সে জন্য তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। গণশুনানি থেকে কী অর্জন করবে ফ্রন্ট জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। সে দিন জনগণ জানতে পারবে একাদশ নির্বাচনে কী ঘটেছিল, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রার্থীরা তুলে ধরবেন।
গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য ছাড়াও বাম ও গণতান্ত্রিক যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান আ স ম আবদুর রব। নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যে ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন তাদেরকে গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না এরকম প্রশ্ন ড. কামাল হোসেনের প্রতি রাখলে তিনি বলেন, এগুলো আমার জানা নেই।
তবে রব বলেন, স্যার বলেছেন ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থী, প্লাস বাইরে বাম ঐক্যজোটসহ প্রগতিশীল দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যদি অন্য কোনো দল থাকে, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যেসব দল আছে তাদের এবং বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল যেসব দল আছে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আপনার প্রশ্ন যদি এরমধ্যে থাকে আমার বলার কিছু নেই, স্যারও (ড. কামাল হোসেন) কিছু বলবেন না। আর যদি না থাকে এই প্রশ্ন অবান্তর।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, নির্বাচনী ফ্রন্টে জামায়াত ছিল না। এ সময়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আপনারা তো উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন করেন। বলা হলো তো জামায়াতে ইসলামী ছিল না।
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাতপাখা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তাদেরকে গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না প্রশ্ন করা হলে আ স ম আবদুর রব বলেন, এটা বিবেচনা করে দেখা হবে।
বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকটি হয় ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার মতিঝিল চেম্বারে। বৈঠকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আবদুস সালাম, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সব্র্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement