২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিলাসহ ভারী বৃষ্টি

-

আকষ্মিক বৃষ্টি। গতকাল রোববার ভোর থেকেই আকাশ বেশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এ সময় ভারী বৃষ্টি হবে অনেকের মাথায় তা ছিল না। মুষলধারে বৃষ্টি হবে তা কেউই ভাবেনি। যারা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসরণ করেন তারাও ভারী বৃষ্টিতে বেশ বিহব্বল ছিলেন। শুধু মুষলধারে বৃষ্টি নয়, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও ছিল। শিলাবৃষ্টিতে কিছু ফসলের ক্ষতির খবরও পাওয়া গেছে।
গতকাল সকালে স্কুলগামী শিশুরা বেশ বেকায়দায় ছিল। পোশাকতো ভিজেছেই একই সাথে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় স্কুল ব্যাগের ভেতরেও পানি ঢুকে বই-খাতা চুপসে গেছে। একই অবস্থা হয়েছে সকালে অফিসগামী মানুষের। কাছে অফিস বলে কেউ কেউ হেঁটেই চলে যান। তারা রিকশা অথবা বাস না পেয়ে ভিজতে ভিজতে অথবা বিলম্বে অফিসে গেছেন। রাজধানীতে গতকাল ২০ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য আবহাওয়া অফিস আগারগাঁও কেন্দ্রের রেকর্ড থেকে বলছে সেখানে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর অদূরে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের কষ্টের সীমা ছিল না। ভারী বৃষ্টিতে মুসল্লিদের সব কিছুই ভিজে গেছে বলে আমাদের সংবাদাদাতারা জানিয়েছেন।
বৃষ্টিতে সব কিছু ভিজিয়ে দিয়ে গেলেও, ফসলের কিছু ক্ষতি হলেও, মানুষের বিড়ম্বনা ঘটালেও কিন্তু রাজধানী থেকে ধুয়ে-মুছে নিয়ে গেছে সব ধুলোবালু। আপাতত এক-দুই দিন রাজধানীবাসী স্বস্তিতে থাকবেন।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ভোর ৬টার আগে থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তখন থেকে ঝিরি ঝিরি করে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি পড়েছে বিভিন্ন স্থানে। পরে সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় ঝম ঝম বৃষ্টি। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে থাকে। এক সময় ভারী বৃষ্টি কমে গেলেও টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরতে থাকে অনেকক্ষণ। রাজধানীতে কোথাও কোথাও সকাল ৮টার পর বৃষ্টি থেমে গেলেও কোথাও কোথাও আবারো শুরু হয়। তবে তা ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি পর্যায়ের।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কিশোরগঞ্জে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাজশাহী শহরে ১৭ মিলিমিটার ও সিলেটে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।


আরো সংবাদ



premium cement