১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের ওবিআর প্রকল্পে চিন্তিত হওয়া উচিত নয় ভারতের

সিএনএন নিউজ এইটিনকে শেখ হাসিনা
-

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এইটিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের মতো এত বড় দেশ, এত বড় যার অর্থনীতি তার উচিত না (চীনের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্প নিয়ে) চিন্তিত হওয়া। বরং অর্থনৈতিক স্বার্থে ভারত এতে যুক্ত হতে পারে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ব এখন ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কানেক্টিভিটির দরকার। এটি খুবই জরুরি। চীন, ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এরই মধ্যে কানেক্টিভিটির বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে; বিসিআইএমের ইকোনোমিক করিডোর। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাওয়ার পর আমি মনে করি না ভারতের দুশ্চিন্তার আর কোনো কারণ থাকতে পারে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থানকে সহযোগিতামূলক আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমস্যা হচ্ছে দিদিমণিকে (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নিয়ে।
তিনি আরো বলেছেন, মিয়ানমারের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব করে তুলতে ভারতের উচিত মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়া।
সংবাদমাধ্যমটির পক্ষে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন জাকা জ্যাকব। গত রোববার ভারতীয় টিভি সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করে। নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন সাক্ষাৎকারটির বিস্তারিত প্রকাশ করেছে গতকাল সোমবার।
সিএনএন নিউজ এইটিন-এর পক্ষে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী জাকা জ্যাকব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে ‘জনগণের ঐতিহাসিক রায়’, ‘পরপর তিনবার বিজয়ের রেকর্ড’ আখ্যা দিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন : ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ার পর আপনার অনুভূতি কেমন?
শেখ হাসিনা : এটা ঠিক যে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে আমরাই টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছি। এ জন্য প্রথমত আমি ভোটারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা আমাকে ও আমার দলকে ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়ে এই দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এবার আমরা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছি। প্রথমবার আমরা সরকার গঠন করেছিলাম ১৯৯৬ সালে। তখন জনগণ বুঝতে পেরেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলে জনগণের জন্য কাজ করে।
সিএনএন নিউজ এইটিন : ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে এক ধরনের জনমত থাকার কথা বলা হয়। কারণ মানুষ সরকারের ওপর বেশি ক্ষুব্ধ থাকে। আপনি পর পর তিনবার জিতেছেন। নির্বাচন থেকে আপনি কী বুঝতে পেরেছেন?
শেখ হাসিনা : মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারলে ক্ষমতাসীনবিরোধী অনুভূতি জেগে ওঠে না। দেশের জনগণ আমাদের গ্রহণ করেছে। তারা বুঝেছে, একমাত্র আমরাই তাদের ভালো করতে পারি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর থেকে দেশবাসী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে দেখেছেন, সামরিক অভ্যুত্থান দেখেছেন, সামরিক শাসন দেখেছেন। পরবর্তীতে তাদের দেখতে হয়েছে সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতা, এমনকি অর্থ পাচারের মতো কর্মকাণ্ডও।
অন্য দিকে দেশের জনগণ আমাদের সরকারের ভূমিকা দেখেছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আর সেজন্যই মানুষ আমাদের প্রত্যাখ্যান করেনি। আমাদের দেশের জনগণ কিন্তু তাদের ভোটাধিকারের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমরা যদি অগ্রহণযোগ্য কিছু করতাম তাহলে তারা আমাদের ভোট দিতেন না। আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি, যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সিএনএন নিউজ এইটিন : সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এমনকি কয়েকটি বিদেশী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলোকে আপনি কিভাবে দেখছেন? তারা বলেছেন, ‘জেলে থাকার কারণে নির্বাচনে বিরোধীদের অনেককেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। নির্বাচন পাতানো ছিল।’
শেখ হাসিনা : গণতন্ত্রে সমালোচনা খুব স্বাভাবিক বিষয়। আমাদের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে। সবাই সবার মতপ্রকাশ করতে পারে, আলোচনা করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু তাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। সমালোচনার করার আগে তাদের পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর ফলাফল দেখা উচিত।
এবারের নির্বাচন অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমি অস্বীকার করছি না, যে কিছু কিছু স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হয়েছে। আমরা সেটিও চাইনি। এগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন করেছে। তারা বরং আমাদের দলের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তারপরও মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ভোট দিতে। নারী ও নতুন ভোটাররা বিপুল সংখ্যায় এগিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার জন্য। তারা সমালোচনা করছেন। কিন্তু তাদের তো প্রমাণ দেখাতে হবে যে কি খারাপ কাজ সরকার করেছে। সে রকম কিছু হয়ে থাকলে আমরা ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকব।
আমাদের বিরোধী দলের সমস্যা হচ্ছে, তাদের নেতা কে তা তারা নিজেরাই জানে না। তারা নির্বাচনে জিতলে প্রধানমন্ত্রী হতো কে? তারা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তাদের মনোনয়ন বাণিজ্য। নির্বাচনের নামে তারা বাণিজ্য করেছে। তারা টাকা নিয়ে একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে তারা আরেকজনকে সেই মনোনয়ন দিয়ে দিয়েছে।
জামায়াতের অনেক নেতাই ‘যুদ্ধাপরাধী’। তাদের বিচার হয়েছে। বিএনপি যখন জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়েছে, তখন মানুষ তাদের একেবারে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের জঙ্গিবাদ, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির কারণে মানুষ তাদের গ্রহণ করেনি। মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে? জনগণ জানত আমাদের দল ক্ষমতায় গেলে তাদের জন্য, দেশের জন্য কাজ করবে। তখন তারা ধরে নিয়েছে, আমাদের ভোট দিলেই তাদের জন্য ভালো।
সিএনএন নিউজ এইটিন : জামায়াতকে নিয়ে যে একটা শঙ্কা ছিল যে তারা ক্ষমতাসীন হলে বাংলাদেশকে চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাবে, সে বিষয়ে কিছু বলুন।
শেখ হাসিনা : জামায়াত এখন বিএনপির সাথে আছে। তাদের জোট আছে। আদালতের আদেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেলেও বিএনপি তাদের সাথে রেখেছে। তাদের লোকদের মনোনয়ন দিয়েছে। সেসব আসনে তারা জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সুতরাং যারা আমাদের সমালোচনা করছে তাদের বুঝতে হবে, বিরোধী দল নির্বাচনের সময় কী করেছে। আমার মনে হয়েছে, বিরোধীরা নির্বাচনের সময় আসলে সেই মাত্রায় সক্রিয়ও ছিল না। নেতৃত্বের সঙ্কট তাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা ছিল। যখন দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিকে নেতা করা হয় তখন জনগণ কেন তাদের ভোট দেবে?
সিএনএন নিউজ এইটিন : ভারত চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ মহাপরিকল্পনার অংশ নয়। আমরা জানি চট্টগ্রাম-কুনমিং হাইওয়েসহ বিশাল বড় বড় প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব আছে বাংলাদেশ-চীনের। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ পরিকল্পনার বিষয়ে থাকা ভারতের দুশ্চিন্তা কমাতে আপনি কী বলে ভারতকে আশ্বস্ত করবেন?
শেখ হাসিনা : বিশ্ব এখন ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কানেক্টিভিটির দরকার। এটা খুবই জরুরি। চীন, ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ইতোমধ্যে কানেক্টিভিটির বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে; বিসিআইএমের ইকোনোমিক করিডোর। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাওয়ার পর আমি মনে করি না ভারতের দুশ্চিন্তার আর কোনো কারণ থাকতে পারে।
বরং আমার মনে হয় এতে ব্যবসায় বাণিজ্য বাড়বে। এতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার সবাই লাভবান হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কানেক্টিভিটি জরুরি। যদি কোনো বিষয় নিয়ে শঙ্কা থাকে তাহলে ভারত দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর সমাধানে উদ্যোগী হতে পারে। ভারত ও চীন উভয়েই আমাদের প্রতিবেশী।
ভারত আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী। আমরা ভুলিনি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সহযোগিতার কথা। তারপর ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের পর তারা আমাদের পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে।
আমরা ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি করেছি। চুক্তিটি সংসদে পাস করাতে ভারতের সব দলের সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ৬৮ বছর পর আমরা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বিশ্বের বহু দেশ ছিটমহল বিনিময় করতে গিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। অথচ এখানে আমরা সেটি করেছি উৎসবমুখর পরিবেশে।
ভারতের মতো এত বড় দেশ, এত বড় যার অর্থনীতি তার উচিত না (চীনের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্প নিয়ে) চিন্তিত হওয়া। বরং অর্থনৈতিক স্বার্থে ভারত-এর সাথে যুক্ত হতে পারে।
সিএনএন নিউজ এইটিন : রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আপনি বলেছেন, চীন ও ভারতের মতো বড় প্রতিবেশী দেশগুলো যদি আরো একটু বেশি ভূমিকা রাখত তাহলে আপনার সরকারের পক্ষে বিষয়টি সামলানো সহজ হতো। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আপনি চীন ও ভারতের কাছে কী ধরনের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন?
শেখ হাসিনা : এ প্রশ্নের জন্য অনেক ধন্যবাদ। রোহিঙ্গা সঙ্কট আসলেই আমাদের জন্য অনেক বড় একটি বিষয়। আশ্রয় নেয়া ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আমাদের জন্য অনেক বড় চাপ। আমরা চাই, বিষয়টির দ্রুত সমাধান হোক এবং রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাক।
আমি মনে করি, বড় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এ ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা রাখা দরকার। তাদের সাথে মিয়ানমার সরকারের ভালো সম্পর্ক। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে ভারত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করতে পারে, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে পারে বা সমস্যার সমাধানে তাদের আলোচনায়ও ডাকতে পারে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ভারতের সহযোগিতা আমাদের দরকার।
সিএনএন নিউজ এইটিন : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে থাকা অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি তিস্তার পানি বণ্টন। আপনি কি মনে করেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার এই মেয়াদে বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে?
শেখ হাসিনা : নিশ্চয়ই। আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। কিন্তু বিষয়টি নির্ভর করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের ওপর। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের প্রশংসা করতে চাই, তিনি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার ভূমিকা সহযোগিতামূলক।
সমস্যা হচ্ছে দিদিমণিকে নিয়ে। আপনারাও সেটা জানেন। আমি তার সাথেও কথা বলেছি। তিনি একপর্যায়ে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে এর সমাধান হয়ে যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিশাল ব্যবধানে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারালো গাজী গ্রুপ চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে কুপিয়ে হত্যা আবারো বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ বুয়েটে নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক নিয়োগ পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহতদের পরিবারের সাথে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ সখীপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী সেই আ'লীগ নেতা কারাগারে ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় মা-ছেলে নিহত, আহত বাবা-মেয়ে দিরাইয়ে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই : গ্রেফতার ৪ ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল

সকল