২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের নৌপথে ৭ রাজ্যের চেহারা ফেরাচ্ছে ভারত

শিগগিরই চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার
-

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সাথে যোগাযোগ সহজ করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে চার হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত একটি নৌপথ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজ জোরদার করছে ভারত। এর অংশ হিসেবে পণ্য পরিবহনের জন্য শিগগিরই বাংলাদেশের ব্যস্ততম চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার শুরু করবে দেশটি। গত ১৪ জানুয়ারি এ খবর দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বা দূরপ্রাচ্য নীতির অংশ হিসেবে ভারত নৌপথ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজ করছে। এর মাধ্যমে তাদের পিছিয়ে পড়া সাত রাজ্যে উন্নয়নের চেহারা বদলানোর জন্য প্রতিবেশী দেশের নৌপথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে মনোযোগী কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২ জানুয়ারি দেশটির নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় পঞ্চদশ ফিন্যান্স কমিশনের কাছে পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কিত একটি উপস্থাপনা পেশ করে। এতে বলা হয়েছে, নেটওয়ার্কটি ভারতের কেন্দ্রস্থলের সাথে এর শেষ প্রান্তের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা বর্তমানে সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকা শিলিগুড়ি করিডোরকে কী করে বিস্তৃত করা যায় সে দিকে এগোচ্ছি। কার্গো ও যাত্রী চলাচলের জন্য একটি বিকল্প তৈরি করছি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য দেশটির অবশিষ্ট অংশের সাথে নেটওয়ার্ক গড়তে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে প্রায় ২২ কিলোমিটার আয়তনের একটি সঙ্কীর্ণ ভূমির ওপর নির্ভরশীল। নেপাল ও বাংলাদেশ ওই করিডোরের উভয় পাশে অবস্থিত।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় উভয় দেশের মধ্যে চিহ্নিত নৌপথগুলো ব্যবহার করার জন্য ভারতীয় ও বাংলাদেশী জাহাজগুলোকে অনুমতি দেয়া হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এ ছাড়া প্রায় ৩০০ কোটি রুপি ব্যয়ে একটি প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের সাথে পিআইডব্লিউটিটি চুক্তির কথা রয়েছে। এর অংশ হিসেবে কুশিয়ারা নদীর ৩০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জের অংশ এবং যমুনা নদীর ১৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সিরাজগঞ্জ-দইখোওয়া অংশে সারা বছর যাতে নৌযান চলাচল করতে পারে, সেই লক্ষ্যে নদী শাসনেও দুই দেশ একমত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-দৈখোলা অংশটি গঙ্গা (ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১) এবং ব্রহ্মপুত্রের (ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-২) মধ্যে নৌযান চলাচলে সহায়ক হবে। একই সাথে এই দু’টি নৌপথ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বৃহৎ আকারের ভারতীয় জাহাজ আসামের সাদিয়া এবং উত্তর প্রদেশের বেনারসের মধ্যে যোগাযোগ নিশ্চিত করবে।
এ দিকে মিয়ানমারের সাথেও চুক্তি ও উন্নয়ন চলছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর জন্য আরেকটি বিকল্প পথ তৈরির জন্য ভারত ৯০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কালাদান মাল্টি-মডল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের কাজ করছে। এটি মিয়ানমারের সিত্তে বন্দরকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে যুক্ত করবে। এটি সাত রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানের জন্য সমুদ্রপথকে আরো উন্মুক্ত করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, চালু হওয়ার পরে এটি শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর চাপ কমাবে।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের এপ্রিলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাড়গা প্রসাদ শর্মা ওলির ভারত সফরকালে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে দুই দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথ সংযোগ স্থাপনেরও চেষ্টা চলছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল