১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির ইশতেহারে ১৯ দফা অঙ্গীকার

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য; পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান; গণমুখী প্রশাসন গড়ে তোলা; গণভোট পুনঃপ্রবর্তন ও সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা; দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক পদক্ষেপ; ১ কোটি নতুন কর্মসংস্থান
বিএনপির ইশতেহার ঘোষণা করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : নয়া দিগন্ত -

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামীতে দলটি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা সুদৃঢ় করা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার বিধান, গণভোট পুনঃপ্রবর্তন, সংসদের উচ্চ কক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নির্বাচনের দিনের গণতন্ত্রকে নিত্যদিনের অনুশীলনে পরিণত করবে বলে অঙ্গীকার করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করলে ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিহিংসাহীনতা এই মূলনীতির ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ সংবিধানের এই নীতির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনায় যাবতীয় পদক্ষেপের ভিত্তি হবে রাষ্ট্রের মালিকদের মালিকানা সুদৃঢ় করা। শুধু নির্বাচনে জেতা দলের মানুষ নয়, এই মালিকানায় সব দল, ব্যক্তি ও মতাদর্শের মানুষ অন্তর্ভুক্ত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। দেশের উন্নয়নের জন্য বিএনপির কর্মসূচিগুলো বহুমুখী ও উন্নততর। বিএনপি জনগণের কাছে ¯পষ্টভাবে অঙ্গীকার করতে চায় ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেয়া হবে না। একটি প্রতিহিংসামুক্ত এবং সহমর্মী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আজকের এই মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সাথে নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে নির্জন কারাবাস করছেন। তার অপরাধ, তিনি জীবনে অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে সুন্দর করবার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মানুষের মুক্তি, গণতান্ত্রিক এবং মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে তিনি আজ বন্দী জীবনযাপন করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দেশে ফিরতে পারছেন না। আমরা আশা করব আপনারা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকল্পে আপনাদের মূল্যবান সমর্থন প্রদান করবেন। আপনাদের একটি ভোট আমাদের নেত্রীর জীবনকে পুনরায় আলোয় উদ্ভাসিত করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ঘরে থাকতে পারছে না। তারাও নিজ ঘরে ফিরতে চান। পেতে চান পরিবারের সান্নিধ্য, একটি স্বস্তিময় রাত। আপনাদের সমর্থন ঘরছাড়া এই মানুষগুলোকে ঘরে ফিরবার সুযোগ করে দেবে। অবসান ঘটাবে জুলুম ও নির্যাতনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির। একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লড়াই শুধু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের লড়াই নয়। এ লড়াই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুক্তজীবনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই।
বিএনপির ইশতেহারে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট বাতিল, বিশেষ ক্ষমতা আইন ’৭৪ বাতিল, বেকার ভাতা প্রদানসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতি বছর প্রকাশ করা এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলে যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নি¤œ আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত এবং বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার কথা।
ইশতেহারে যা আছে
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতি বছর প্রকাশ করা হবে। একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় নেতৃবৃন্দের আপত্তিকর সমালোচনা রোধে সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি উৎসাহিত করা হবে।
সংসদে উচ্চ কক্ষ : বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাতিল হওয়া গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শর্ত সাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে।
ন্যায়পাল নিয়োগ : প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া হবে। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। র্যাবের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। এই ব্যাটালিয়ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। রাষ্ট্রের সব সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা নিজ নিজ চার্টার অনুযায়ী পরিচালিত হবে। পুলিশ বাহিনীর ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হবে। পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। পুলিশের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গৃহীত হবে। ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরদের বেতন ছয় মাসের মধ্যে আপগ্রেড করা হবে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অবসরে গেলেও তাদের রেশনিং সুবিধা দেয়া হবে।
নি¤œ আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টে : সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নি¤œ আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সুপ্রিম কোর্টে ন্যস্ত করা হবে। বর্তমান বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সহ সব ধরনের কালাকানুন বাতিল করা হবে। দেশরক্ষা, পুলিশ ও আনসার ব্যতীত শর্তসাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোনো সময়সীমা থাকবে না। বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সব অনুসন্ধান রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। একই সাথে এসবের অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হবে।
অর্থনীতি : জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডে যোগ্য, সৎ, দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশন বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পরিচালনা ও তদারকির ভার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত করা হবে। রফতানি প্রবৃদ্ধির হার তিন গুণ বাড়ানো হবে। রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করা হবে। বর্তমানে চলমান কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করা হবে না। তবে মেগা প্রকল্পে ব্যয়ের আড়ালে সংগঠিত দুর্নীতি নিরীক্ষা করে দেখা হবে এবং এ জন্য দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। বর্তমান সরকারের তড়িঘড়ি করে নেয়া প্রকল্পগুলো পুনঃবিবেচনা করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। দেশে কর্মরত সব বিদেশীকে ওয়ার্ক পারমিটের আওতায় এনে মুদ্রা পাচার রোধ করা হবে এবং তাদের করের আওতায় আনা হবে। একটি টাস্কফোর্স রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের উচ্চ ব্যয়ের কারণ তদন্ত করে দেখবে। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরে বিদ্যুৎ ও আবাসিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে না বরং এ ক্ষেত্রে সব ধরনের অসঙ্গতি দূর করা হবে।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ : বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন ও অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে।
বেকার ভাতা চালু : এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যেটিই আগে হবে শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা দেয়া হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধা : সব মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বাড়ানো হবে। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হবে।
যুব, নারী ও শিশু : জাতীয় উন্নয়নে যুব, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। ২৫ বছর পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে। নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, অ্যাসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, নারী ও শিশু পাচাররোধে কঠোর কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশু-শ্রম রোধে কার্যকর বাস্তবানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থান : স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে। দুঃস্থ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা ও অসহায় বয়স্কদের ভাতার পরিমাণ মূল্যস্ফীতির নিরিখে বৃদ্ধি করা হবে। বেসরকারি ও স্বনিয়োজিত খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য বার্ধক্যের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি পেনশন ফান্ড গঠন করা হবে। গরিব ও নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হলে প্রথম তিন বছরে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দুই লাখ মানুষকে চাকরি দেয়া হবে। আর আগামী ৫ বছরে এক কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তরুণ দম্পত্তি ও উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদি ঋণ চালু হবে। ভিওআইপি ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে এই খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন : দল, মত, জাতি ও ধর্ম, নির্বিশেষে ক্ষুদ্র বৃহৎ সব জাতি গোষ্ঠীর সংবিধান প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মকর্মের অধিকার এবং জীবন সম্ভ্রম ও সম্পদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হবে। এই লক্ষ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ফিরোজা হোসেন, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা: এ জড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, গোলাম আকবর খন্দকার, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, এ এস এম আবদুল হালিম, আবদুর রশীদ সরকার, আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দস, অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, শাহজাদা মিয়া, ড. এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান রিপন, অধক্ষ্য সেলিম ভুঁইয়া, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইসফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

সকল