১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শোচনীয় হারে শুরু টি-২০ মিশন

-

ক্রিকেটে এমন দিন হতেই পারে। জয়ে যেমন আনন্দ আছে, পরাজয়ে আছে বিষাদ। খেলোয়াড়রা এর বাইরে নয়। তারাও জয়ে হাসেন, পরাজয়ে মন খারাপ করেন। কান্নার দৃশ্যও রয়েছে। তবুও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্নÑ ব্যাটিংয়ে কি আর একটু দায়িত্বশীল হওয়া যেত না। টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে সিরিজ জিতে প্রত্যাশার পারদটা উঁচু করে দিয়েছেন তো সাকিব-তামিম-মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকরাই।
সিলেটে প্রথম টি-২০তে টসই একমাত্র পক্ষে গিয়েছিল বাংলাদেশের। দুপুর সাড়ে ১২টায় খেলা শুরু। দিনের আলো থাকতেই ম্যাচ শেষ হবে। শিশিরের কোনো ঝামেলা হবে না। এ চিন্তা থেকেই টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান; কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রানের। সেটা ৫৫ বল আর ৮ উইকেটে রাতে রেখেই টপকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয়া বাংলাদেশের টি-২০ মিশন শুরু হলো শোচনীয় হারে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান; কিন্তু তিনি ছাড়া টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশকে একাই টানেন অধিনায়ক। তার হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ; কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ১২৯ রান যে যথেষ্ট নয়, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের ঝালটাই যেন টি-২০তে মেটালেন তারা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ভালো সূচনা এনে দেন এভিন লুইস আর শাই হোপ। মাত্র ৩.১ ওভারেই ৫১ রান করেন তারা। লুইসকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন; কিন্তু হোপকে থামানো যায়নি। বাংলাদেশী বোলারদের ওপর সুনামি বইয়ে মাত্র ১৬ বলেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। বাউন্ডারি ৩টি। ওভার বাউন্ডারি ৬টি। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৫৫ রান করে আউট হন মাহমুদুল্লাহর বলে। ততক্ষণে বাংলাদেশের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। হোপ যখন ফিরলেন, তখন অতিথিদের দলীয় রান ৭.৪ ওভারে ৯৮। নিকোলাস পুরানকে নিয়ে বাকি রান কাজটা শেষ করেন কেমো পল। তৃতীয় উইকেটে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিয়েছেন ৮ উইকেটের বড় জয়। পল ২৮ আর পুরান ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের শুরুটাই ছিল বিবর্ণ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শেলডন কোট্রেলের বলে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল (৫)। তৃতীয় ওভারে তামিমের পথ ধরেন লিটনও (৬)। তিনে নামা সৌম্য সরকার টিকেছেন মাত্র ৪ বল। কোট্রেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৫ রান করে আউট হন। ভরসার প্রতীক মুশফিক রানআউট হয়ে ফেরেন ৫ রানে। ৪৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু দলীয় ৭৩ রানে ব্যক্তিগত ১২ রানে কোট্রেলের তৃতীয় শিকার হন মাহমুদুল্লাহ।
সাতে ব্যাট করতে নামা আরিফুল কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন সাকিবকে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে তিনিও ফেরেন। এরপর সাইফউদ্দিন ফেরেন এক রান করে। একপ্রান্ত আগলে রাখা সাকিব তখনো প্রাণপণ লড়াই করছিলেন স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক রান দাঁড় করাতে। কোট্রেলের করা ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলটা ছক্কায় পরিণত করার পর তৃতীয় বলে সাকিবের ক্যাচটি লুফে নেন কোট্রেল নিজেই। ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬১ রান করে থামেন সাকিব। তিনি ফেরার পর আর ৭ রান যোগ করে ৬ বল বাকি থাকতে ১২৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের পক্ষে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন কোট্রেল। ফলে ম্যাচসেরা তিনিই।


আরো সংবাদ



premium cement
সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার

সকল