২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের প্রতিহত করতে নৌকায় ভোট দিন : প্রধানমন্ত্রী

কোটালিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ হাতনেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : বাসস -

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের প্রতিহত করতে নৌকায় ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের প্রতিহত করতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের সাথে যারা হাত মিলিয়েছে তাদের রুখতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।’ বুধবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলা ট্রিবিউন, বাংলা নিউজ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে। আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, অগ্নিসন্ত্রাসীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য নৌকায় ভোট দিন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আরো একবার আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। যেখানে যাকে নৌকা মার্কার প্রার্থী করা হয়েছে তাদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আবার মা-বোনদের কাছে ভোট চাই। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ বঞ্চিত হয় না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের মানুষ আর না খেয়ে থাকবে না, বেকার থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। আমরা মানুষের জন্য এসব সুবিধা এনে দিয়েছি। আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন। এই সরকারের কল্যাণে এটা সম্ভব হয়েছে।’
সরকারের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ঘরে বসে মানুষ টাকা উপার্জন করতে পারছে। শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সহজ হয়। আমরা শিক্ষা বিস্তারে কাজ করেছি। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। ব্যবসায়বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। এর ফলে বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিদেশী বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশের মানুষও বিনিয়োগ করতে পারবে। একটি বাড়ি একটি খামার করেছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মানুষের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। শিক্ষাই একটি শিক্ষিত জাতি গড়তে পারে। আমরা শিক্ষার বিস্তারে কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত গ্রাম গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
কোটালীপাড়ার মানুষের প্রতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিতা-মাতা-ভাই হারা আমি। আপনারা ভোট দেন বলেই আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পাই। আপনারাই আমার আপনজন। আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আরেকবার মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিন।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব:) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এই নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে টঙ্গিপাড়ায় যান বঙ্গবন্ধুকন্যা। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান এবং দোয়ায় অংশ নেন শেখ হাসিনা। ফেরার পথে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পথসভায়ও অংশ নেবেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল