১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচন নিয়ে ভারত কেন এবার নিস্পৃহ

-

বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে যে দেশটি আগাগোড়া জোরালো সমর্থন জানিয়ে ছিল, সেটি ভারত।
ওই নির্বাচন সফল করার ল্েয ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব নির্বাচনের ঠিক আগে ঢাকা সফর পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু পর্যবেকেরা মনে করছেন, পাঁচ বছর বাদে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন ঘিরে ভারত এবার অনেকটাই নিস্পৃহ। এ নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতের দিক থেকে তেমন কোনো সক্রিয়তাই চোখে পড়ছে না। কেন ভারত এ ধরনের অবস্থান নিচ্ছে, বাংলাদেশে এবারের ভোটকেই বা তারা কী চোখে দেখছে?
দিল্লিতে ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের সিনিয়র ফেলো ¯ম্রুতি পট্টনায়ক মনে করছেন, খুব সচেতনভাবেই ভারত এবার বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে একটা দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে।
ড. পট্টনায়কের কথায়, ‘২০১৪ সালে ভারত যেভাবে পররাষ্ট্র সচিবকে ঢাকায় পাঠিয়েছিল সেই অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব সুখকর হয়নি। সেটিকে অনেকেই ভারতের হস্তপে হিসেবে দেখেছিলেন; যদিও ভারতের আসল উদ্দেশ্য ছিলÑ বাংলাদেশে একটা সাংবিধানিক বিপর্যয় এড়ানো।’ কিন্তু এখন বাংলাদেশের রাজনীতি যে ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে ভারতের উদাসীন থাকাই উচিত, আর তারাও ঠিক সেটিই করছে। ভুললে চলবে না, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কও এর মাঝে অনেক পরিণত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।
বাংলাদেশে বিগত নির্বাচনে বিএনপি জোট অংশ নিতে রাজি হয়নি বলেই সেই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এবারে নির্বাচন অনেকটাই অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। ফলে ভারতেরও তত মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই, বিবিসিকে বলছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।
বাংলাদেশে ভারতের আরেক সাবেক হাইকমিশনার বীনা সিক্রিও মনে করেন, যদিও এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তারপরও বিএনপির নির্বাচনে যোগদান খুবই ইতিবাচক ব্যাপার।
ভারত এখানে কী করল বা কী করল না, ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে তা খোঁজার কোনো দরকারই নেই, পরিষ্কার মত তার।
বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনী পরিবেশে এখন পর্যন্ত ভারত বিরোধিতার কোনো আবহ তেমন নেই, দিল্লির দৃষ্টিতে সেটিও অত্যন্ত ইতিবাচক একটি পদপে। ফলে আগ বাড়িয়ে সে দেশের নির্বাচন নিয়ে অতি সক্রিয়তা দেখিয়ে ওই পরিবেশ বিগড়ে দেয়াও কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়, এটিও হয়তো ভারত মাথায় রাখছে।
পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর কথায়, ‘আমি তো বলব এটি পারস্পরিক সম্পর্কের একটি ম্যাচিওরিটি, যেখানে অন্য দেশকে নিজের নির্বাচনে ডোমেস্টিক ইস্যু বানানোর কোনো দরকার পড়ে না।
দ্বিপীয় সম্পর্কে এ পরিণতি আর ভোটে বিএনপির যোগদান, এই দুটো ফ্যাক্টরই আসলে পাঁচ বছর আগের চেয়ে ভারতের অবস্থানকে আজ পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিবকে পাঠানো তো দূরস্থান, বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন নিয়ে তাই এখনো কোনো বিবৃতি দেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেনি ভারত।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল