২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নয়াপল্টনের হামলা পূর্বপরিকল্পিত

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে সরকার : ফখরুল

-

নয়াপল্টনে দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য আজকে আমাদের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এসব সহিংসতা করে তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমরা কোনোভাবেই নির্বাচন বানচাল করতে দেবো না। আমরা মনে করি নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সরকারের অপসারণ হবে, নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ। গত রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গতকাল রাত ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে তিন তলায় তিনি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে কথা বলেন এবং পুরো ঘটনা অবহিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যখন নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আসছিল সেখানে পুলিশ ঢুকে গিয়ে হঠাৎ করে বাধা দিতে শুরু করে এবং এরপরই বিনা কারণে বিনা উসকানিতে টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে। বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হঠাৎ করেই পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগাল। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগাল কারা? এই ছবিগুলো দেখুন। হেলমেট পরা কিছু মানুষ এসে ওই গাড়ির ওপরে আক্রমণ শুরু করল। আমরা অসমর্থিত খবরে জেনেছি এই হেলমেট পরা লোকজন ছাত্রলীগের। এই হামলা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচনের কর্মসূচিকে বানচাল করা, নির্বাচনকে বানচাল করা। এই আক্রমণ শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ নয়, এটা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ, এটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ওপর আক্রমণ। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে, বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, যখন উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তখনই এই আক্রমণ। সেই আক্রমণটা সরাসরি সরকারের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে এলো।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনের এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় অফিস থেকে যারা বেরিয়েছেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কমপে ৬০-৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটাকে আমরা হালকা করে দেখছি না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় এই নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করব না। এ্র দায়-দায়িত্ব বর্তাবে সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ওপর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঘটনার পর সরকারের একটি নির্দিষ্ট মহল অভিযোগ করল যে, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা অত্যন্ত সাজানো একটা পরিকল্পনা। পরিকল্পনা হচ্ছে, এই সাজানো হামলা করে বিএনপিকে দায়ী করে আবার বিএনপির ওপর হামলা নির্যাতন শুরু করা। আমার বক্তব্য পুলিশ আক্রমণ করেছে এবং তাদের ছত্রছায়ায় গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে হেলমেট বাহিনী।


আরো সংবাদ



premium cement