১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্ট

ইসি ও সরকারের ওপর নির্ভর করছে ভোটে থাকা না থাকা

-

আমাদের বিরোধীজোটের নির্বাচনে থাকা না থাকাটা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণের ওপর। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি অফিসের সামনে হামলার ঘটনায় সিইসি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে গতকাল বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সাথে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। এ সময় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতাও উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল বলেন, আমাদের যে প্রশ্নগুলো ছিল সেগুলো আমরা তুলে ধরেছি। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সব ব্যাপারে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করবেন। আমরা শুরুতে বলেছি একটা অবাধ ও নিরপে নির্বাচন করার জন্য সংবিধান তাদের দায়িত্ব দিয়েছে। এ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে যেন তারা সচেতন থাকেন। আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি তারা ধৈর্য ধরে আমাদের সব প্রশ্ন শুনেছে এবং উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরা আশা করি নির্বাচনের সময়ে একই সহযোগিতা পাবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছি এবং বলেছি, তাকে ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না। তারা বলেছেন, দেখব। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনে থাকা না থাকা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন এবং বর্তমানে যে নির্বাচনকালীন সরকার আছে, তাদের আচরণের ওপরে।
ফখরুল বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার জন্য ইসিকে বলেছি। তারা বলেছেন এ বিষয় তারা কমিশনে আলোচনা করবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা বড় আকারে এটা ব্যবহারের চিন্তা করছেন না। তারা চিন্তা করছেন সীমিতসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করার। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানায় ইসি। তারা বলেছেন আমরা যদি তাদের বোঝাতে পারি যে ইভিএম পুরোপুরি নিরাপদ নয় তাহলে সেটাও তারা (ইসি) বিবেচনা করবেন।
ফখরুল বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে ইসি বলেছে এটা তাদের চিন্তায় আছে। ইতোমধ্যেই তারা সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়েছেন। প্রতি কেন্দ্রে দেয়া যাবে কি না এটা তারা বিবেচনা করবেন। তিনি বলেন, আর জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে রদবদলের ব্যাপারে আমরা বলেছি। সেটা তারা (ইসি) বলেছে, বিবেচনা করে দেখবেন কিভাবে করা যায়। হয়রানিমূলক মামলা এবং গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, কারাবন্দী নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির কথা বলেছি। তারা আমাদের কাছে গ্রেফতারকৃতদের তালিকা চেয়েছেন। আমরা ইসিকে বলেছি পুলিশ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে একটা নির্দেশ জারি করার জন্য, যেন অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করা না হয়। তারা বলেছেন, এ ব্যাপারে পজিটিভলি তারা ব্যবস্থা নেবেন।
ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচনে এজেন্টদের নিরাপত্তার কথা বলেছি। এটা তারা নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন পর্যবেকদের ব্যাপারে তাদের কোন বাধা থাকবে না। আমরা বলেছি রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসেছে যে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানার জন্য সরকারি দল থেকে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই বিষয়ে তারা বলেছেন যে, তারা মনে করছেন অনেকের হয়তো প্রিজাইডিং অফিসারের ব্যাপারে অভিযোগ থাকতে পারে।
গণমাধ্যমের ব্যাপারে তারা বলেছেন, কেন্দ্রের ভেতরে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যাপারে তারা এখনো অনুমতি দিতে চান না। আমরা বলেছি সরাসরি সম্প্রচার করতে দেয়া উচিত। এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ছবি তুলতে দেবে, রেকর্ড করতে দেবে, কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করতে দিবে না এটা কেমন কথা। ফখরুল বলেন, তারা সবই শুনেছেন। সবসময় শুনেন, কতটা করবেন সেটা জনগণ বিবেচনা করবে।
বৈঠকের ফলাফল নিয়ে আপনারা কি মনে করছেন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে মনে করি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে মতা দিয়েছে; সেই দায়িত্ব পালন করলেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। বিরোধী দলের নির্বাচনে টিকে থাকাটা তাদের আচরণের ওপর নির্ভর করছে অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেভাবে এটা করতে পারেন।
টিকে থাকার প্রথম ধাপটা কেমন মনে হয়েছে, আজকে যেটা হলো বিএনপি অফিসের সামনেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, একেবারেই ভালো নয়, শুভ লণ নয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আ স ম রব, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, সুলতান মো: মনসুর আহমদ, আবদুল মালেক রতন ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সকল