২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জয়ের সুবাতাসে বাংলাদেশ

-

রিস্কেই গেল না বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটের শতভাগ ব্যাকরণ মেনেই খেলছেন তারা। জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নামলেন। যাতে শেষ দিনের ব্যাটিং এড়ানো যায়। সমালোচনা যে এতেও হয়নি তা-ও না। তবু দিন শেষে এখন জয়ের সুবাতাস পাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহরা। যে দল বিগত চার ম্যাচে ভুগছিল রান খরায়, সে দলের রানে ফেরাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এর সাথে জয় প্রাপ্তির প্রত্যাশা। রানে তৃপ্ত টিম বাংলাদেশ। আজ জয়ের মার্কেও যাবে। টেস্ট ক্রিকেটের যে হিসাব তাতে আজ শেষ দিনে ঝড়-বৃষ্টি বা নাটকীয় কিছু না ঘটলে জিম্বাবুয়ের বাকি আট উইকেট তুলে নিতে শেষ সেশন পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না। কেন জিম্বাবুয়ের এ ম্যাচ পঞ্চম দিন পর্যন্ত গড়াল সে প্রশ্নও উঠছে। আসলে সিলেটে সাড়ে তিন দিনে হারের পর ঢাকায় এমন একটা উইকেট ছিল প্রত্যাশায় যেখানে রান আসবে। সেটাই হয়েছে। গত চার দিনে ১১২৬ রান এসেছে উইকেটে। যার গড় প্রায় তিন শ’। মিরপুরে এমনটা খুব কমই হয়। মুমিনুলের ১৬১ রানের পর মুশফিকের ডাবল। ব্রেন্ডন টেইলরের সেঞ্চুরির পর কাল মাহমুদুল্লাহও ওই মার্কে। রানের ছড়াছড়ি যে উইকেটে সেখানে ম্যাচের ভাগ্য সাধারণত যায় ড্রয়ের দিকেই। কিন্তু এ ম্যাচে সেটা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম।
জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ২১৮ রানে লিড নেয়। এরপর কাল দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সকালে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। ২৬ রানে হারিয়ে বসে চার উইকেট লিটন (৬), ইমরুল (৩), মুমিনুল (১) ও মুশফিক (৭)। কী ঘটতে যাচ্ছিল, দুশ্চিন্তার আর অন্ত নেই। সে থেকে টেনশনমুক্ত করেন মোহাম্মদ মিথুন ও মাহমুদুল্লাহ। এরা দলীয় রান ২৫ থেকে ১৪৩তে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হন। টেস্টে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে আউট হন মিথুন ৬৭ রান করে। মাহমুদুল্লাহ এরপর জুটি বাঁধেন আরিফুলের সাথে। আরিফও আউট ৫ রান করে। এরপর মেহেদি ও মাহমুদুল্লাহ মিলে কাক্সিত লক্ষ্যে পৌঁছান। মাহমুদুল্লাহ আট বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরি করেন। মূলত দলীয় লিড চার শ’তে পৌঁছার পর অপেক্ষা ছিল মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি। যদিও দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল যত দ্রুত ইনিংস ডিকেয়ার। কেন সেঞ্চুরির প্রত্যাশা বা দলের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ বড় করে দেখা। এটা মেহেদি হাসান মিরাজের এক উত্তরে কিছুটা জবাব পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, ‘অনেক দিন পর দল রান পেয়েছে। সবাই রান উপভোগ করছিল। আত্মবিশ্বাস বাড়ছিল। একই সাথে শেষ ইনিংস অলআউট করার জন্য চার সেশন অনেক বেশি সময়। সব ভেবেই মাহমুদুল্লাহ যাতে সেঞ্চুরিতে যান সে প্ল্যান।’ যা হোক মাহমুদুল্লাহ তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ১০১ রান করেই ইনিংস ডিকেয়ার। দলের রান ২২৪/৬। এতে জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়িয়েছিল ৪৪৩। এরপর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। মিরাজই সূচনা করেন। মাসাকাদজাকে আউট করেন তিনি। এরপর তাইজুলের বলে লেগ বিফোর ব্রায়ান চারি। এরা রান করেন যথাক্রমে ২৫ ও ৪৩। উইকেটে রয়েছেন টেইলর ৪ ও শেন উইলিয়ামস ২ রানে। দলীয় স্কোর ৭৬/২। আজ ম্যাচ ড্র করতে জিম্বাবুয়েকে সারা দিনই ব্যাটিং করতে হবে। জিততে করতে হবে আরো ৩৬৭ বাকি ৮ উইকেটে। বাংলাদেশের প্রয়োজন বাকি আট উইকেট।
বাংলাদেশ : ৫২২/৭ ডি. ও ২২৪/৬ ডি. জিম্বাবুয়ে : ৩০৪ ও ৭৬/২ (চতুর্থ দিন শেষে)।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল