২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তফসিল পেছানোর দাবিতে আজ ইসিতে যাবে ঐক্যফ্রন্ট

শুক্রবার প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় ; ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি গঠন
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে ড. কামাল হোসেনসহ নেতারা : নয়া দিগন্ত -

জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি তুলে ধরতে আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
জানা গেছে, ফ্রন্টের বৈঠকে নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে এ পর্যন্ত ছয়জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- বিএনপির পক্ষে ড. মাহফুজ উল্লাহ, গণফোরামের পক্ষে আ ও ম শফিক উল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের ডা: জাহেদ উর রহমান, জেএসডির পক্ষে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ফ্রন্টের নেতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ ছাড়া বৈঠকে আগামী শুক্রবার প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। আমরা আজ দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে যাবো। ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ সেখানে থাকবেন। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন আমাদের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তা করা হয়নি। এতে আমরা অত্যন্ত হতাশ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন, তফসিলের তারিখ আর পেছানো হবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, আমরা সেজন্যই যাচ্ছি। উনি (সিইসি) স্পষ্ট করে বললে তো হবে না। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো অবশ্যই বলব। সিইসি তো সব একাই বলে যাচ্ছেন।
কেন নির্বাচনের তফসিল আবারো পেছানোর দাবি তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, নির্বাচন এক মাস পেছাতে আমরা দাবি করেছি, কারণ যে সময় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সে সময়টিতে বড়দিনের ছুটি থাকে। ওই সময়টি আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় একটা উৎসবের আমেজে থাকেন, তাদের ধর্মীয় বড়দিন। এ ছাড়া নববর্ষ আসছে সেটি একটা বড় অনুষ্ঠান। একই সাথে আমরা যে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের আশা করছি, একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেখার জন্য তাদের সেই সুযোগও থাকছে না।
ফখরুল জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর জাতীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সাথে ড. কামাল হোসেন মতবিনিময় করবেন। এরপরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের সাথে মতবিনিময় হবে। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশ সম্পূর্ণ অনিয়মে চলছে। আমরা সেটি নিয়মে আনতে চাই। নির্বাচন কমিশন ঠিকমতো চলছে না। তারা যে নির্বাচন সাত দিন পিছিয়েছে, সেটি অন্যায়। এটি তো সরকারের আহ্বান। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর আহ্বান। আমরা তো এক মাস চেয়েছি। দেশের মানুষ এক মাস পেছানোর কথা বলেছেন।
প্রত্যেকটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করা হতো উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, কিন্তু এই নির্বাচন কমিশন সেটি করেনি। সেজন্য আমার সন্দেহ হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা। এই সন্দেহ এখনো মানুষের মধ্যে আছে। অনেকের ধারণা, সরকার ভোট নিয়ে যাবে। আমার ধারণা, সরকার ভোটে টিকতেই পারবে না।
ড. কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও জেএসডির আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মো: মনসুর আহমদ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement