২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচনী শোডাউন বন্ধে ইসির চিঠি

-

প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেয়ার সময় কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল শোডাউন, লোক জমায়েত করতে পারবে না। কোনো ধরনের শোডাউন যাতে না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল নির্বাচন কমিশন থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপত্র নেয়ার সময় নেতাকর্মীদের শোডাউন করার পরিপ্রেক্ষিতে ইসি এই সতর্কতা দিয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী হাকিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পালনের জন্য বলা হয়েছে। একই সাথে চিঠিতে আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলায় একজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তির মিছিল-শোডাউন আচরণবিধি লঙ্ঘন, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর ৮ নম্বর বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করেছে। মনোনয়নপত্র তোলার সময় প্রার্থীরা গাড়িবহর, মোটরসাইকেল বহর, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোডাউন করছেন। এতে জনভোগান্তি হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
ইসি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মিছিল-শোভাযাত্রার বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে চলছে শোডাউন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন।
নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছেÑ কোনো বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহ মিছিল কিংবা কোনোরূপ শোডাউন করা যাবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো মিছিল-শোডাউন করা যাবে না। জনগণের চলাচল বিঘœ করে এমন কোনো সড়কে জনসভা বা পথসভা করা যাবে না। দলের সভা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান, সময় সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে। যাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে মিছিল, শোডাউন ও পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে আসায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার জরিমানা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির রয়েছে। রাজনৈতিক দল বিধি লঙ্ঘন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement