১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ

নির্বাচন অবশ্যই হবে

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা :পিআইডি -

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের সংশয় উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কম হয়নি। কিন্তু সব কিছু মোকাবেলা করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি, তার কারণ জনগণই শক্তি। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস আমার আছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা সক্ষম হবো।’
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌদি আরব সফর বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের মন্ত্রিসভা ছোট না করার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট যে করব, সে সুযোগ খুঁজে পাচ্ছি না। বড় থাকলে কী অসুবিধা আছে?’ তবে বিরোধী দলের চাহিদা থাকলে এ ব্যাপারে ভাববেন বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংলাপ প্রস্তাব ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র ও সংশয় রয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নাই। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাধীনভাবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা সংশয় সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে যেন গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা না থাকে। আর ধারাবাহিকতা না থাকলে কিছু লোকের সুবিধা হবে। তাই তারা নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করতে চায়। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে সময় তারা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা দেবে ঠিক সে সময়েই নির্বাচন হবে। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন সঠিক সময় এবং সুষ্ঠু হবে।’
মন্ত্রিসভা ছোট না করার ইঙ্গিত : নির্বাচনকালে বর্তমান মন্ত্রিসভাই বহাল থাকবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকালীন ছোট মন্ত্রিসভা আইনেও নাই, কোথাও নাই। ২০১৪ সালের ইলেকশনের আগে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন, তাকেও আমি আহ্বান করেছিলাম। তারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছিল না, তাদের নির্বাচনে আনার জন্য বলেছিলাম, আসুন সকলে মিলে সরকার গঠন করি, তাহলে কারো কোনো চিন্তার কিছু নাই। যেকোনো মিনিস্ট্রি চাইলে আমি দিতে রাজি ছিলাম। তাদের নিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এলো না। পরে অন্য বিরোধী দলে যারা তাদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করি। তখন সেই মন্ত্রিসভাটা ছোট আকারে করেছি এবং ইলেকশনটা আমরা করি। তবে এবারের বিষয়টা হচ্ছে, আমরা মেজরিটি পাওয়া সত্ত্বেও সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দল থেকে নিয়েই একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। সেই মন্ত্রিসভা নিয়েই কিন্তু চলছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিরোধীদলীয় নেতার সাথেও কথা বলেছি এ ব্যাপারে। তাকে জিজ্ঞেস করেছি, তাকে বলেছি, আপনারা যেভাবে চান, আমরা করতে পারব। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, এখন জানি না এটার খুব প্রয়োজন আছে কি না। আর কাটছাঁট করলে আমাদের তো অনেকগুলো প্রজেক্ট আছে, সত্যি কথা বলতে কি এতগুলো প্রজেক্ট এরই মধ্যে আমরা পাস করেছি, সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যদি এখন কয়েকটা মন্ত্রণালয় একজনের হাতে দিই তাহলে সেই কাজগুলো করতে পারবে না। কিন্তু এই দুই-তিন মাসের মধ্যে অনেকগুলো কাজ আমাদের করতে হবে। এই কাজগুলো করতে গেলে পরে, জানি না কাউকে সরালে কাজগুলো ব্যাহত হবে কি না, এই সমস্যাটা রয়ে গেছে। কারণ আমি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই। সবাই যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো করছে। আপনারা দেখছেন কিভাবে পরিশ্রম করছে। আমরা একদিনে ১৭, ১৮, ১৯টা প্রজেক্ট পাস করে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যতটুকু সময় পাচ্ছি, দেশের ডেভেলপমেন্ট করে যাচ্ছি। এখন উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা হবে কি না, সেটি হচ্ছে প্রশ্ন। সেই চিন্তাটাও রয়ে গেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছি। আর অন্যান্য দেশে যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, সেখানেও আমি আলাপ করে দেখেছি, কেউ কিন্তু কোনো পরিবর্তন করে না। সবাই বলেছে, এ রকম কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমরা যেভাবে থাকি, ইলেকশন করি সেভাবে। এখন দেখা যাক কী হয়। যদি ডিমান্ড করে অপজিশন, তাহলে করব, আর না করলে কিছু করার নাই।’
নির্বাচনকালীন সরকারে সুশীলসমাজের কেউ অন্তর্ভুক্ত হবে কি না এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুশীলরা সুশীলই থাক। আমার মন্ত্রী হলে তো শেষে সুশীল থাকবে না। তখন সুশীল নামটা চলে যাবে। তখন তো তাদের ক্ষতি হয়ে যাবে কি, ক্ষতি হয়ে যাবে না?’
ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত, আছে সমালোচনাও : গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি- জেএসডি-নাগরিক ঐক্যসহ বেশ কিছু দলকে নিয়ে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে তো রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা আছে, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আছে, সব কিছু মুক্ত। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন, সবই স্বাধীন। মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সেই সুযোগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেটিকে স্বাগত জানাই। কারণ এটি প্রয়োজন আছে। তারা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, তারা যদি রাজনৈতিকভাবে সাফল্য পায়, তাহলে তো অসুবিধা নেই। তবে একটু কথা বলার দরকার। কারা কারা এক হলোÑ সেটি আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা সেখানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারা কোথা থেকে এসেছে, কার কী ধরনের ভূমিকা, কী ধরনের বাচনভঙ্গি, এমনকি মেয়েদের প্রতি যে কী ধরনের কটূক্তি করতে পারে, সে প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে। এই যে এ গাছের ছাল, ওই গাছের বাকল সব মিলে একটা তৈরি হয়েছে। তো, যাক তারা ভালো কাজ করুক, সেটি চাই। আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করে না। বরং একটা হয়েছে, এটাই ভালো।’
ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে স্বাধীনতাবিরোধী আছে, এখানে জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদদদাতা, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা, এমনকি যারা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে, বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা মিলেই কিন্তু এক জায়গায় হয়েছে। এটিকে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে দেখে, সেটিই বড় কথা।’
তিনি বলেন, ‘এদের কেউ কেউ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, কেউ কেউ আওয়ামী লীগেও ছিলেন। তারা জোট করেছেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে এ স্বাধীনতা সবার আছে, কারণ এখানে একটি গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত। সেই সুফল নিয়ে যারা জোটবদ্ধ হয়েছেন, তারা কী করতে পারেন দেখা যাক।’
ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বাহাত্তরের সংবিধানের প্রণেতা, এখন আবার তিনিই এর বিরোধিতা করছেন। কী কারণে করছেন, এটিই কি তার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য? এখন তিনি কার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন? ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, মানিলন্ডারিং, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের সাথে তিনি জোট করেছেন। আবার যিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলাকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনিও এক হয়েছেন। যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর বাহিনী এরাও আছে। আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ হত্যাকারী এরা সব এক হয়েছে। এখানে রাজনীতি কোথায়? আমি দেখছি সব স্বার্থান্বেষী মহল এক হয়েছে।’
সংলাপ প্রস্তারের চিঠি পেলে দেখা যাবে : নির্বাচন ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপ প্রস্তাবের চিঠি পেলে দেখা যাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমরা এখনো পাইনি। তাহলে সংলাপের মনোভাব কেমনে তৈরি হবে? এটি বাস্তবতা। তবে আমরা এখনো চিঠি পাইনি। পেলে তখন দেখা যাবে। খুনির নেতৃত্বে ড. কামাল গংরা একতাবদ্ধ হয়েছে। এখন বাংলার মানুষ যদি তাদের চায় আমার আপত্তি নেই। আমি দেশের উন্নয়ন করেছি। বাকিটা দায়িত্ব পেলে করব, এটি আমার বিশ্বাস।’
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরো মামলার পরামর্শ : সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির দায়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরো মামলা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছে দেখে কী হয়েছে। আপনারা আরো মামলা করেন। বাকিটা আমরা দেখব।
মইনুল হোসেনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল একাত্তরে পাকিস্তানের দালাল ছিলেন। তিনি খুনি মোশতাকের দলে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যকারীদের নিয়েও তিনি দল করেন। ইত্তেফাকে একজনকে হত্যা করে নিজের ভাইকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন তিনি। ওনার গুণের কোনো শেষ নাই। উনি বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি পাস করার পর সাহেব হয়ে দেশে ফিরলেন। মানিক চাচা (তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া) সব সময় তার প্রিয় খাবার পান্তা খেলেও মইনুল সাহেবী খানা ছাড়া পারতেন না। তাই সেই যুগে তার জন্য এক শ’ টাকা খরচ করে বাবুর্চি দিয়ে বিদেশী রান্না করানো হতো। বিলেত থেকে তিনি বিদেশী খানা শিখে এলেও ভদ্রতাটা শিখে আসেননি। তার সম্পর্কে আরো জানি, সেটি পরে বলব।’
কয়েকটি মামলায় মইনুল হোসেনের জামিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলা হওয়ার পরপরই এই ভদ্রলোক (মইনুল) আদালতে গিয়ে উঠেন। কোর্ট জামিন দিয়েছে, তাও আবার পাঁচ মাসের! নারী সাংবাদিককে তিনি কী অকথ্য ভাষায় কটূক্তি করেছেন। কোর্ট কিভাবে জামিন দিলো! আর জামিন দিয়েছে তো কী হয়েছে। আপানারা আরো মামলা করুন, আমরা যা করার করব।’
বিদেশীদের কাছে নালিশ না করে জনগণের কাছে যাক : সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে নালিশ না করতে সরকার বিরোধী দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে-সেখানে নালিশ করে কী হবে? যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তারা নালিশ না করে জনগণের কাছে যাক।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর জন্য কম চেষ্টা করেনি। একবার বিদেশী বন্ধু নিয়ে এসেও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। আসলে যাদের খুঁটিতে জোর নেই, মাটিতে যাদের শেকড় নেই, তারা পরগাছার মতো এখানে-সেখানে ছুটে বেড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এত উন্নয়ন হচ্ছে, আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, অথচ এরা কোনো উন্নয়ন দেখে না। তারা বিদেশীদের কাছে গিয়ে শুধু নালিশই করে বেড়াচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ করছে। তারা এখানে হাজার হাজার কথা বলে যাচ্ছে, টকশোয় কথা বলে যাচ্ছে, তারপরও বলে বিদেশীদের কাছে বলে তারা নাকি কথা বলতে পারে না। অনেকে দেশের বাইরে গিয়ে দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহভাবে তুলে ধরছে। তাদের এ ধরনের নেতিবাচক কথায় বিদেশীরা প্ররোচিত হচ্ছে। বিদেশীদের দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই তারা কথা বলছে।’
পথচারীরা সচেতন না হলে মন্ত্রীকে পিষে মারলেও কাজ হবে না : সড়ক দুর্ঘটনার জন্য পথচারীদের অসচেতনভাবে রাস্তা পারাপারকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সচেতন না হলে মন্ত্রী বা অন্য কোনো নেতাকে পিষে মারলেও কোনো কাজ হবে না।’
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কথা তুলে তিনি বলেন, ‘আমার তো ধারণা ছিল এই ঘটনার পর পথচারীরা সচেতন হবে। কিন্তু সেটা কি সচেতন হয়েছে? আমরা তো ড্রাইভারদের দোষ দিয়েই খালাস প্রতিটি ক্ষেত্রেই। কিন্তু পথচারীদেরও যে সড়ক নিয়ম মেনে চলা উচিত, এ ব্যাপারেও তো সচেতনতা দরকার। আজকে ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে দিলেন যে, মন্ত্রী সড়ক, মালিক, শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের ধরে শাস্তি দিতে হবে। নেতাদের ধরে যদি ভালো করে পিটুনি দেই তাহলেও কি রাস্তায় দৌড় মারা ঠেকাতে পারবেন? আগে সেটি থামান। সাথে সাথে আরেকটা কথা বলব, অ্যাক্সিডেন্ট তো অ্যাক্সিডেন্টই। পৃথিবীর কোন দেশে কত অ্যাক্সিডেন্ট প্রতিদিন হচ্ছে এই খবরের সাথে সাথে আপনারা সেটিও একটু বের করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার সৌদি আরব সফরে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক, বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাতের বিস্তারিত তুলে ধরেন। উল্লেখ করেন অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের কথাও। তিনি বলেন, ‘এ সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।’

 

 


আরো সংবাদ



premium cement