২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতীয় ঐক্যের ভয়ে আবোল তাবোল বকছে সরকার : ড. মোশাররফ

-

জনগণের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিলেই জাতীয় ঐক্যে আওয়ামী লীগকে স্বাগত জানানো হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, সরকারকে তাড়াতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন যাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, তাদের নিয়ে কখনো সংগ্রাম হয়? যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাদের নিয়ে কিভাবে আন্দোলন হবে? তিনি গতকাল দুপুরে এক সভায় বলেন, জাতীয় ঐক্যের সাথে মোকাবিলা করার শক্তি সরকারের নেই। সে জন্য তারা আবোল-তাবোল কথা বলছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মরহুম নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি সাঈদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘আওয়ামী লীগকে ছাড়া কিভাবে জাতীয় ঐক্য হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় ঐক্য হচ্ছে জনগণের দাবিগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পাঁচটি দফা তথা আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাদ, সামরিক বাহিনী মোতায়েন এসব বিষয়ে জনগণের সাথে একমত হয়ে ঘোষণা দিলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে অন্তর্ভুক্ত করব, আমরা আপনাদের স্বাগত জানাব।
তবে জাতীয় ঐক্যের পাঁচ দফা ক্ষমতাসীন দল মানবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি উনি (ওবায়দুল কাদের) কথার কথা বলেছেন। তারা এটি পারবে না। তাদের সেই মানসিক শক্তি নেই, তাদের সেই সাহসও নেই। জনগণকে মোকাবেলা করার সাহস তাদের নেই। সেজন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, অলিখিত বাকশাল দীর্ঘায়িত করার জন্য। ইনশাল্লাহ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে তাদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই কালো আইন করেছে। মিডিয়া এখন যতটুকুু আমাদের কথাবার্তা প্রকাশ করতে পারে, যেটুকু স্বাধীনতা আছে, ন্যূনতম সেই স্বাধীনতাও খর্ব করার জন্য, মুখ তালাবদ্ধ করে দেয়ার জন্য তারা এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। অতীতে তারা বাকশাল করেছিল, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে মাত্র চারটি রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। এটি তাদের জন্য নতুন নয়।
‘ভৌতিক’ মামলা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের দমন করার সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার কেন এসব মামলা দিচ্ছে? ভয়ে। বেগম খালেদা জিয়াকে কেন কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে? ভয়ে। গায়ের জোরে এই সরকার এসব করছে নির্বাচনকে সামনে রেখে। দেশে এক বিস্ফোরণমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সরকার। যেখানে নির্বাচনের আগে সব দলকে সমান সুযোগ করে দেয়া হয় সেখানে আওয়ামী লীগের যারা প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের সবাইকে বন্দী করে তারা নির্বাচন করবে। এটি হাস্যকর, এটি অসম্ভব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে; কিন্তু সেটি বারবার করাড় যাবে না। ওই রকম নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল