১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপন আজ

-

ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আজ থেকে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার শুরু হচ্ছে। আজ বেলা সাড়ে ১০টা থেকে এ মামলার আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ধার্য রয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো: আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন। আদেশে আদালত আরো বলেছিলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে খালেদা জিয়ার হাজিরা ডিসপেনসড উইথ (আদালতে হাজিরা মওকুফ) করা হলো। তার অনুপস্থিতিতে বিচার হবে। তার পক্ষে আইনজীবীরা ইচ্ছা করলে হাজিরা দিতে পারবেন। আদালত ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেন।
আজ সোমবার এ মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ বিচারক বাসুদেব রায় এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে এখনো যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়নি।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলায় শুনানি ২৫ অক্টোবর : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেছেন।
এ মামলার দুই আসামি মো: আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
বর্তমানে এ মামলার আসামির সংখ্যা ১০ জন। আসামিরা হলেন বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো: আমিনুল হক, মো: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো: সামছুল আলম খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো: আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রণাবেণের জন্য পুনঃদরপত্র ছাড়াই সিএমসিকে কাজ দেয়ায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৩ টাকার তির অভিযোগ এনে এ মামলা করে দুদক।


আরো সংবাদ



premium cement