সংসদে সড়ক পরিবহন বিল পাস
- সংসদ প্রতিবেদক
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:০৬
কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া ও অবহেলাজনিত গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে এবং সেই দুর্ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হলে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান বহাল রেখে জাতীয় সংসদে ‘সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, মো: ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, বেগম রওশন আরা মান্নান ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী। কিন্তু তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তারা বিলের বিভিন্ন ধারায় সংশোধনী প্রস্তাব দিলেও প্রস্তাবগুলো গৃহীত হয়নি।
জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনকালে বিরোধীদলীয় সদস্যরা বলেন, নিরাপদ সড়ক নেই। সড়কে প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঘটছে। সারা দেশে সড়কে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা তা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী সরকারও বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে নিয়েছে। যে কারণে দ্রুততার সাথে এই আইনটি পাসের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আইনটি পাসের পর হরতাল-অবরোধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঠিকভাবে লাইসেন্স দিতে হবে। আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করেছে বলে এই বিলটি তড়িঘড়ি করে সংসদে আনা হয়েছে এটা ঠিক নয়। বিলটি দেড় বছর আগে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়া হয়েছে। ৫৭ পৃষ্ঠার এই বিল একদিনে আসেনি। অনেক আলাপ-আলোচনার সোনালি ফসল এই বিলটি। বিলে শাস্তির বিধান বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, কেউ ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটালে সেই মামলা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারায় বিচার হবে। আর সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফলে এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর নয়, মৃত্যুদণ্ড।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ এক বছর ঝুলে থাকার পর আলোচিত এই নতুন সড়ক পরিবহন আইনটি গত ৬ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিার্থী নিহতের ঘটনায় শিার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সরকার ওই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি বিলটি পাসের সুপারিশ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংসদে প্রতিবেদনটি জমা দেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা