২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকিস্তানকে সহজেই হারাল ভারত

পাকিস্তান : ১৬২/১০ (৪৩.১ ওভার), ভারত : ১৬৪/২ (২৯ ওভার) ফল : ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
-

পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচ মানেইÑ ব্যাট বলের এক যুদ্ধ। ইদানীং এ আমেজ কেন যেন পানসে হতে বসেছে। যে আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখা হচ্ছে, সে উৎসাহে ক্রমশ ভাটা। গত রাতেরটাসহ সর্বশেষ তিন ম্যাচের চিত্র একই রকম। এর আগের দুই লড়াই হয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এজবাস্টনে ভারতের করা ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে যেয়ে পাকিস্তান ১৬৪ এ অলআউট। ঠিক ফাইনালে পাকিস্তানের সংগ্রহ করা ৩৩৮ রানের জবাবে ভারত ১৫৮ রানে অলআউট। দুবাইয়ে কাল এশিয়া কাপের ম্যাচেও প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ১৬২ রানে শেষ। ম্যাচে উত্তেজনা হয় কী করে। আর খেলাই বা উপভোগ্য হবে কিভাবে! ফলে আবারো নিষ্প্রাণ এক ম্যাচের মহড়া, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান- ভারতের। যাতে ৮ উইকেটে জিতেছে ভারত ১২৬ বল হাতে রেখে। আসলে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে এ ম্যাচের গুরুত্ব ছিল না। এতে জয়ের যে বাসনা ছিল না দুই দলের তা কিন্তু নয়। পেরেই ওঠেনি এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের যে ব্যর্থতার চিত্র ছিল, দুবাইয়ে তা-ই ফুটে উঠল আবার। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল এ বছরেরই সূচনায়। এরপর জিম্বাবুয়েতে যেয়ে সাফল্য পায়। সেখানেও পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৫-০তেই জিতেছিল। জিম্বাবুয়েতে যে পারফরম্যান্স তারা দেখিয়ে এসেছেন। তা একেবারেই অনুপুস্থিত দুবাইয়ে। হয়তো দুই দলের মধ্যে এটা এখন একটা রীতিতেও পরিণত হয়ে গেছে।
আসলে পাকিস্তানের খেলা ছিল প্লানহীন। বিশেষ করে ব্যাটিং ছিল পাকিস্তানের একেবারেই দায়সারা গোছের। উইকেটে এসে আউট হয়ে গেলেই যেন বাঁচি। ব্যাটসম্যানদের এমন মনভাব ফুটে উঠেছিল। এমনিতেই দুবাইয়ের তাপমাত্রাটা বেশ। এতে বোধহয় একটু বেশিই কাবু হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। খেলতেই পারলেন না তারা। টসে জিতে শরফরাজ নেওয়াজের প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তকে মোটেও স্বাগত জানাতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। এক কথায় যাচ্ছেতা ব্যাটিং। একটা ওয়ানডে ম্যাচে একজন ব্যাটসম্যানও হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারল না। ওই ইনিংসের অবস্থা আর কী হতে পারে, তা আর লিখে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। ক্রিজে যারা এসেছেন, ছটফট করেছেন বিগ শট নিতে। আউটও হয়েছেন। ভারতের স্পিনাররা নিখুঁত স্থানে বল রেখেছে। তা মোকাবেলা করে খেলে রান করা যেত। অন্তত লড়াইয়ের পুঁজি সংগ্রহ সম্ভব। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা তা পারেনি। কাউকে না কাউকে যে দায়িত্ব নিয়ে খেলে যেতে হবে। ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে হবে। বড় পার্টনারশিপ খেলতে হবে। এগুলো যেন তাদের পরিকল্পনাতেই ছিল না!
দুই ওপেনার ইনাম ও ফখর জামান ভুবেনেশ্বর কুমারের বলে আউট সূচনাতেই। দলের রান যখন দুই তখন ইনাম এরপর তিন রানে ফখর জামান। এ দুইয়ের আউটের পর শোয়েব মালিক ও বাবর আজম দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন। মনে হচ্ছিল তারাই ইনিংস টেনে নেবেন। কিন্তু ডাউন দ্য উইকেটে যেয়ে যাদবকে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার মাধ্যমে আবার শুরু। বিচ্ছিন্ন হয় তাদের ৮২ রানের পার্টনারশিপ। এরপর শোয়েব উসখুস করছিলেন। লাইফও পেয়েছেন। তবু সতর্ক হননি। অধিনায়ক শরফরাজ থেকে শুরু করে একজন ব্যাটসম্যানকেও মনে হয়নি তারা ম্যাচে ছিল। ফলে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস ওই দুর্বল সংগ্রহের মধ্য দিয়ে। বাবর ৪৭ ও শোয়েব মালিক করেন ৪৩ রান। ইনিংসে আর দু’টা ডাবল ফিগার রয়েছে। তা ফাহিম আশরাফের ২২ ও মোহাম্মাদ আমির অপরাজিত ১৮। ব্যাস পাকিস্তানের ইনিংস শেষ দুর্বল এক স্কোর সংগ্রহের মধ্য দিয়ে। বোলিংয়ে ভুবেনেশ্বর কুমার ও যাদব নেন তিনটি করে। এ ছাড়া বুমরাহ নিয়েছেন দুই উইকেট। এরপর সহজ টার্গেট সামনে রেখে খেলতে নেমে টার্গেটে পৌঁছায় ভারত দাপট দেখিয়ে। বিশেষ করে দ্বিতীয় রাউন্ডের কঠিন পর্বের আগে নিজেদের ব্যাটিং কোন অবস্থায় তা পরখ করে ফেলেন তারা পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনের বিপক্ষে। রুহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান ৮৬ রানের এক পার্টনারশিপ খেলে বিচ্ছিন্ন হন। এ ম্যাচে শর্মা হাফ সেঞ্চুরি করেই আউট হয়েছেন। ৩৯ বলে করেছেন ৫২। শেখর আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেও এ ম্যাচে ৪৬ করে আউট ফাহিমের বলে। এ দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর আমবাতি রাইডু ও দিনেশ কার্তিক মিলে ম্যাচ ২৯ ওভারে (১৬৪) শেষ করে দিয়েই ফেরেন। দু’জনই অপরাজিত থাকেন ৩১ রান করে। হংকংয়ের বিপক্ষে যে প্রেসার নিয়ে খেলতে হয়েছিল, সে তুলনায় অনেক রিল্যাক্স থাকার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয় পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ফলে সহজ জয় নিয়ে প্রথম পর্ব শেষ করল ভারতীয়রা।


আরো সংবাদ



premium cement
বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে

সকল