২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতের ঘাম ঝরানো জয়

ভারত : ২৮৫/৭, হংকং : ২৫৯/৮ ফল : ভারত ২৬ রানে জয়ী
-

হংকংকে নিয়ে অতটা হোমওয়ার্ক করার প্রয়োজন মনে করেনি হয়তো ভারত। দৃষ্টিটা ছিল আজ বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইতেই। হংকং ম্যাচ তার প্র্যাকটিসতুল্যই বটে! কিন্তু সব ধারণা বদলে দিয়ে সে হংকংয়েই ডুবতে বসেছিল ভারত। ম্যাচের বেশির ভাগ সময় সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আর শেষ রক্ষা হয়নি। বড় ম্যাচ জেতার অভ্যাস যাদের নেই তারা তো আসলে অমন চাপ নিতে পারে না। হংকংয়ের বেলায়ও ঘটল তা। নতুবা প্রথম ব্যাটিং করতে নামা ভারতকে ২৮৫ রানে আটকে দিয়ে ওপেনিং জুটিতে নিজাকাত ও আংশুমান যে হার্টবিট ধরানো ১৭৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ খেলেছে তা এক কথায় ছিল বীরত্বপূর্ণ। ৩৪ ওভারে ওই রান সংগ্রহ করে গোটা ভারতীয় শিবিরে কম্পন ধরিয়ে দিয়েছিল আইসিসির সহযোগী সদস্য এ দেশটি। আসলে ওই শেষ। প্রথম আংশুমান ব্যক্তিগত ৭৩ রানেআউট হওয়ার পর নার্ভাস নাইন্টির ঘরে গিয়ে আউট সাবলীল খেলে চলা নিজাকাত খান। খলিল আহমেদের বলে লেগবিফোর হয়ে যান তিনি ৯২ রানে। ১১৫ বলে ওই রান করেন তিনি এক ছক্কা ও ১২ চারের সাহায্যে। এর পর থেকেই ভারতীয় স্পিন চেপে বসে কন্ট্রোলে নিয়ে আসে হংকং দলকে। তবু হংকং কম করেনি। তাদের ভারত আটকে দেয় ২৫৯/৮ এ। এতে ম্যাচে জিতে যায় ভারত ২৬ রানে।
তবে হংকংয়ের ওই দুই ওপেনার তাদের দেশের রেকর্ড পার্টনারশিপ করেছেন যেকোনো উইকেটে। এমনকি টেস্ট প্লেয়িং কোনো দেশের বিপক্ষেও সর্বোচ্চ সংগ্রহ দলটির। ম্যাচে ভারতের টেনশন অন্যখানে। যে বোলিং করেছে তাদের বোলাররা তা দিয়ে আজ পাকিস্তান কিংবা অন্য দলের বিপক্ষে কতটা পার পাওয়া যাবে। ব্যাটিং লাইন নিয়েও রবি শাস্ত্রির টেনশন বাড়ছে। বিরাট কোহলি না থাকায় দলের ব্যাটিং লাইনে কিছুটা দুর্বলতা থেকেই গেছে। সেটা সমন্বয় করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে এটা ঠিক এ ম্যাচে যে প্লানেই হোক না কেন, ভারতের ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়া দুঃসাহসিক কাজ হংকংয়ের মতো দলের বেলায়। দলটির ওই সিদ্ধান্তে যে শঙ্কা ছিল, তা করতে পারেনি ভারত। তবে করতে পারেনি, না আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ আরেক ম্যাচের আগে নিজেরা অতটা রিস্কে গিয়ে ব্যাটিং করেনি ভারত এটাও ঠিক! তবু জয়ের জন্য যে রানটুকু দরকার সেটাই করেছে তারা সলিড এক ব্যাটিং করে। ম্যাচে ওপেনার শেখর ধাওয়ান করেছেন সেঞ্চুরি। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে ১২৭ করে আউট হয়ে যান এ ম্যাচে। এটা ছিল দুই দলের মধ্যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। প্রথম ম্যাচ ছিল দুই দলের ২০০৮ সালে করাচিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে।
যে ম্যাচে ভারত প্রথম ব্যাটিং করে সংগ্রহ করেছিল ৩৭৪ রান চার উইকেটে। এম এস ধোনি তাতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। হংকংয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের বিপক্ষে ওই স্কোরটা এখনো সর্বোচ্চ। ভারত সে ব্যাটিং করতে পারেনি এ ম্যাচে। অবশ্য হংকংয়ের বোলাররাও দারুণ বোলিং করেছেন। ভারতের ব্যাটিং লাইন বলেই দমে যায়নি তারা। নিশানায় বল রেখে ব্যাটসম্যানদের বিগ শট খেলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন। ইনিংসে ধাওয়ানের সেঞ্চুরি ছাড়া আর একটি রয়েছে হাফ সেঞ্চুরি। যা আমবাতি রাইডুর। তিনি করেছিলেন ৬০ রান ৭০ বলে।
মূলত সূচনায় রুহিত শর্মার সাথে জুটি বেঁধে সূচনা করলেও শর্মা দলীয় ৪৫ রানে ২৩ করে আউট হওয়ার পর শেখর ধাওয়ানই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন। রাইডুকে নিয়ে ১১৬ রানের যে পার্টনারশিপ খেলেছেন তার ওপর ভর করেই ওই সংগ্রহ। রাইডু তো আগেই আউট হয়েছেন। আর ধাওয়ান আউট হন দলীয় ২৪০ রানে। ১০৫ বলে সেঞ্চুরি করে ধাওয়ান আউট হন ১২৭ এ। ধাওয়ান আউটের পর মূলত এম এস ধোনি, দিনেশ কার্তিকরা শেষের দিকে অ্যাটাকিং খেলে রান করবেন সেটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু তা পারেননি তারা। ধোনি শূন্য রানে আউট হন। কার্তিকও আউট হন ৩৩ করে। পরে যাদাব ২৭ বলে ২৮ করে অপরাজিত থাকলে দলের রান ওই পর্যায়ে যায়। হংকংয়ের কেডি শাহ তিনটি, এ ছাড়া ইহসান খান নেন দুই উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement