২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত : প্রধানমন্ত্রী

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’টি সেতুর উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা :পিআইডি -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সেবার মনোভাব, সততা ও আন্তরিকতা সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে।
শেখ হাসিনা গতকাল সকালে রংপুর ও গাজীপুর পুলিশের দু’টি পৃথক মেট্রোপলিটন ইউনিটের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণ এবং রংপুর ও গাজীপুর পুলিশ লাইন্সের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে এই ইউনিট দু’টির উদ্বোধন করেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মুখ্য সচিব মো: নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী গাজীপুর ও রংপুরের স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন। এ সময় গণভবন প্রান্ত এবং গাজীপুর ও রংপুরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, সংসদ সদস্যরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগণ ও স্থানীয় উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ইউনিটের উদ্বোধন করছি এ জন্য যে, মানুষের সেবাটা যাতে নিশ্চিত হয়। কারণ দেশের উন্নয়ন করতে হলে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাটা নিশ্চিত করা দরকার।
তিনি এ সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যেখানে আজ বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ একটি বড় সমস্যা সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশে আমরা এই জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীকে আমি ধন্যবাদ জানাই, তারা সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই আজকে আমরা এ জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বিএনপি-জামায়াতের তথাকথিত আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাসের সময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার নিন্দা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর আঘাত এসেছে। অগ্নিসন্ত্রাসে আমাদের ১৭ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অগ্নিসন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি এটুকুই বলব যে, একটা দেশকে উন্নত করতে হলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা। সে ক্ষেত্রে আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এতে করে পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসও ফিরে এসেছে। যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, এটি আমাদের ধরে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ কারো কাছে হাত পেতে চলবে না, বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, আত্মসম্মান ও মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবে, বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলবে।
উত্তরবঙ্গ একসময় অবহেলিত ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে আমরা সেখানে ইপিজেড করেছি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। আর রংপুরকে যেহেতু একটি বিভাগ করেছি সেখানে বিভাগীয় সুযোগ-সুবিধাটাও যেন স্থানীয় জনগণ পায় সেভাবেই আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আজ রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের যেহেতু যাত্রা শুরু হচ্ছে কাজেই এই দুই অঞ্চলের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তাটা নিশ্চিত হবে। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নটা আরো ত্বরান্বিত হবেÑ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রোজগার্ডেনের দলিল গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী : বাংলাদেশ সরকার দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে স্থান থেকে এর যাত্রা শুরু করেছিল সেই ঐতিহাসিক রোজগার্ডেন কিনে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে গণভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সম্পত্তির বর্তমান মালিক ও তার সন্তানদের কাছ থেকে এ সম্পত্তি ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত দলিল গ্রহণ করেছেন।
ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ঋষিকেশ দাস ১৯৩১ সালে পুরান ঢাকার টিকাটুলির কে এম দাস লেনে ২২ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ করেন।
‘সরকারি ক্রয় আইন’ অনুযায়ী ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বিনিময়ে বর্তমান মালিকের কাছ থেকে এ স্থাপনাটি ক্রয় করা হয়েছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি রোজগার্ডেন ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে। এটি বর্তমানে প্রতœতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। চলতি অর্থবছরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ওই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাফিজুর রহমান সভা শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সরকার ‘সরকারি ক্রয় আইন’ অনুযায়ী বাড়িটি ক্রয় করছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বর্তমান মালিকের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোজগার্ডেনের মূল্য ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী গতকাল এ স্থাপনাটি ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত দলিল গ্রহণ করলেন।
এ সময় তিনি একটি চেক এবং ভবনের বিনিময়ে রোজগার্ডেনের মালিককে নগরীর গুলশানে ২০ কাঠা জমিসহ একটি একতলা ভবন বিক্রির একটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিল হস্তান্তর করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী রোজগার্ডেনকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার জন্য এক হাজার এক টাকা টোকেন মূল্যে এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে বাড়িটির দলিল গ্রহণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল