২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যশোরে দুই ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

-

যশোরের শার্শা ও কেশবপুরে গুলিবিদ্ধ দু’জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা আপন দুই ভাই বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের বড় ভাই সাইজুল কশারি। শার্শায় উদ্ধার লাশটি আইজুল কশারির ও কেশবপুরে উদ্ধার লাশটি ফারুক কশারির বলে জানান সাইজুল। শার্শা থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, গতকাল সকালে শার্শা উপজেলার পশ্চিম কোটা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে মাথায় গুলিবিদ্ধ একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে লাশটি পুলিশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তি শার্শা উপজেলার জামতলা সামটা গ্রামের জেহের আলীর ছেলে আজিজুল হক। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ আছে। দুই দল মাদক কারবারির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন। একই দিন সকালে কেশবপুর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অপর একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই লাশও যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহতদের বড় ভাই সাইজুল কশারি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার ওই দুই ভাই বাজারে যায়, এর পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে শার্শায় আইজুলের লাশ পাওয়া যায়। পরে কেশবপুর থেকে গুলিবিদ্ধ লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার পর দেখি সেটিও আরেক ভাই ফারুকের লাশ।
বিডি নিউজ জানায়, যশোরের দুই উপজেলা থেকে আগের দিন বিকেল থেকে ‘নিখোঁজ’ যে দুই ভাইয়ের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে তাদের নাম ফারুক হোসেন (৫০) ও আজিজুল ইসলাম (৪৫)। শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তারা আর ফেরেননি বলে জানিয়েছেন তাদের আরেক ভাই সাইদুল ইসলাম।
আর পুলিশ বলছে, মাদক মামলার আসামি আজিজুল দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে তাদের ধারণা।
সাইদুল তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করার সময় কেশবপুর উপজেলা থেকে ‘অজ্ঞাত’ আরেকজনের লাশ মর্গে আনা হয়। মুখ দেখতে গিয়ে সেটি ফারুকের লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন সাইদুল।
কেশবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন বলেন, নিহতের গলায় একটি ক্ষত দেখা গেছে। সেটি গুলির দাগ কি না, ময়নাতদন্তকালে তা জানা যাবে।
শার্শা থানার ওসি হুমায়ন কবীর বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সকালে উপজেলার ধানতারা গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে আজিজুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেন তারা। তিনি বলেন, সেখানে রাতে দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। ওই সময়ই আজিজুল নিহত হয় বলে আমাদের ধারণা। সে নিজেও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
আজিজুলের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগআঁচড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার।


আরো সংবাদ



premium cement