একাই খেললেন মুশফিক
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন থিসারা পেরেরা, উইকেটটা হতে পারত মুশফিকুর রহীমের। লেগ স্টাম্পে পেরেরার ফুল লেন্থ বলে শট খেলেছিলেন মুশফিক, স্কয়ার লেগে ক্যাচ ফেলেন দিলরুয়ান পেরেরা। মুশফিক জীবন পান ১০ রানে। সেখান থেকে ১৪৪ রান করে তিনবল বাকি থাকতে আউট হন। আঙুলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ওপেনার তামিম ইকবাল ইনিংসের শেষ দিকে আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়ে একহাতে ব্যাটিং করে সহযোগিতা করলেন মুশফিককে। তাতেই ৪৯.৩ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান করে বাংলাদেশ।
এক পাশ থেকে নিয়মিত উইকেট পড়লেও আরেক পাশে অটল মুশফিক। কোনো বাধাই যেন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আপন গতিতে খেলে পূরণ করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ। দেশের বাইরে তৃতীয়। এশিয়া কাপে দ্বিতীয়। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম। লাকমলকে ফ্লিক করে ১২৩ বলে মুশফিক স্পর্শ করলেন সেঞ্চুরি। ৪৩.৩ ওভারে বাংলাদেশ তখন ৮ উইকেটে ২০৯।
অথচ শুরুতে লাসিথ মালিঙ্গার দুর্দান্ত বোলিংয়ে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে প্রথম ওভারেই ১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তামিমরা। প্রাথমিক সেই ধাক্কা সামাল দেন মুশফিকুর রহীম ও মোহাম্মদ মিঠুন। ১৩১ রানের এই জুটি ভেঙেছে মিঠুনের বিদায়ে। নতুন নেমে মাহমুদুল্লাহও ফিরে গেছেন ১ রান করে। অবশ্য দু’জনেই জীবন পেয়েছেন লঙ্কান ফিল্ডারদের অসতর্কতায়। মিঠুন দুইবার জীবন পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করেছেন ঠিকই। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। অপরপ্রান্তে থাকা মুশফিক তুলে নিয়েছেন ৩০তম ফিফটি। মোহাম্মদ মিথুনের পর ফিফটি পেয়েছেন মুশফিকুর রহীম। ১০ রানে জীবন পেয়ে সুযোগটা তিনিও ভালোভাবেই কাজে লাগালেন। ৪৯ থেকে সানাকার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপর একাই খেললেন মুশফিক। ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং করে একে একে শাসাতে লাগলেন লঙ্কান বোলারদের। রানের সুনামি বইয়ে দিলেন দ্বীপ রাষ্ট্রের শিবিরে। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে মুশফিক আউট হলে ২৬১ রানে যবনিকা হয় বাংলাদেশের ইনিংসের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা