২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দামি লেখক-সাংবাদিকদের অপরাধ কী কারণে অপরাধ নয় : প্রধানমন্ত্রী

স্মরণসভায় বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা :পিআইডি -

পাকিস্তানি চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দামি দামি লেখক-সাংবাদিকেরা অপরাধ করলে তাদের অপরাধ কী কারণে অপরাধ নয়? লেখার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু লেখার মাধ্যমে দামি লেখক-সাংবাদিকেরা দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে উপলব্ধি কি তাদের থাকবে না? উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্যায় হয়ে যাবে?’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত গতকাল বৃহস্পতিবার এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলা ট্রিবিউন।
শিার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা শিশুদের নিয়ে খেলতে চেয়েছিল, শিশুদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছিল, তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। বাস দুর্ঘটনায় দুই শিশু মারা গেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু এ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে একদল উসকানি দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে উসকানি দিয়ে দিয়ে তারা শিার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করেছে। পাকিস্তানি চিন্তাচেতনা যাদের মধ্যে রয়েছে, যারা সবুর খানের বংশধর, তারা এর উসকানিদাতা।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘শিশুদের আন্দোলনে পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ ধৈর্য দেখিয়েছে। কিন্তু এ আন্দোলনকে নিয়ে বুড়ো হাবড়ারা কেন শিশু হয়ে গিয়েছিল। তাদের শিশু হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল কেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল ড্রেস বানানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, দর্জিরা স্কুল ড্রেস সাপ্লাই দিয়ে কুুলিয়ে উঠতে পারেনি। শিশুদের ব্যাগে থাকবে বই-খাতা-কলম, কিন্তু সেখানে চাইনিজ কুড়াল, পাথর কেন? সেসব বুড়া হাবড়াদের গ্রেফতার করলে কেন হাহাকার? বড় বড় লেখক-সাংবাদিকেরা কী সেটা দেখবেন না, লিখবেন না? তাদের কলমের কালি কী ফুরিয়ে গেল? যে যত বড়ই হোক, যারা অন্যায় করবে, তাদের বিচার কি এদেশে হবে না?’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী সবুর খানের আত্মীয়রা বংশপরম্পরায় দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। জনগণকে বলব, এদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা গণতন্ত্র চায় না, দেশের ভালো চায় না। তারা কেবল নিজেরা ভালো থাকতে চায়। এ দেশে আর খুনিদের রাজত্ব আসবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের চক্রান্তের সাথে শুরু থেকে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল বলেই পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। সবাই তাকে বাহবা দিলো, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলে! কিন্তু অস্ত্রের মুখে মতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে যে রাষ্ট্রপতি হয়, সে গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয় কী করে?’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হয়ে জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে যারা পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে সে দেশে গিয়েছিল, তাদের এ দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল জিয়া।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, সাম্যবাদী দলের প্রধান দিলীপ বড়ুয়া এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement