২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংলাপে সরকার বাধ্য হবে : মওদুদ

-

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সংলাপে আসতে সরকার বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। এটা এখন বলা যাবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। সংলাপের প্রয়োজন আপনারা বোধ করবেন। সময় এলে অবশ্যই সংলাপে আসতে এই সরকার বাধ্য হবে।
‘এখন সংলাপের কোনো প্রয়োজন নাই’ ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আমরা কি তাদের কাছে নির্বাচনকালীন সরকারে যাওয়ার দরখাস্ত করেছি? এসব অবান্তর কথা কেন বলেন? কোনো প্রয়োজন নেই এসব কথা বলার। আন্দোলনের মুখে, যখন যে পরিস্থিতিতে যে অবস্থা সৃষ্টি হবে সে অবস্থার প্রোপটেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেখানে সংলাপ হতে পারে, সংলাপ ছাড়াও সমস্যার সমাধান হতে পারে। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।
জাতীয় প্রেস কাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপার সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধান ও ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল মোবিনের স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদের সামনে আজকে বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তারই নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে এক হতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস বাকি উল্লেখ করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, সত্যিকারার্থে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাই তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এটা হবে অন্যতম শর্ত। আরেকটা হলো দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। এক দিকে থাকবে আওয়ামী লীগ, অন্য দিকে থাকবে সব রাজনৈতিক দল-মত, বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী, সব সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রেখে আগামীতে এই সরকারের কাছ থেকে যা আমরা চাই সেটা আদায় করতে হবে। সেটা কী? নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংসদ রেখে নির্বাচন করাটা হবে একটা নিরর্থক প্রচেষ্টা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর হবে না। ম্যাজিস্ট্রেসি মতা দিয়ে নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন করতে হবে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে দেয়া হাজার হাজার মামলা-মোকদ্দমা প্রত্যাহার করতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত

সকল