২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু

-

অবিরাম প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় মোট ১১ জন মারা গেছেন। নানিয়ারচর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা এ কথা নিশ্চিত করে জানান, নানিয়ারচরের বড়পুল পাড়ায় দুই পরিবারের চারজন, ধর্মচরণ কার্বারি পাড়ায় একই পরিবারের চারজন ও হাতিমারা এলাকায় দুইজন এবং গিলাছড়ি ইউনিয়নের মনতলা এলাকায় একজন মারা গেছেন। তিনি জানান, গত ভোরে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় এ প্রাণহানি ঘটে। গ্রামগুলো পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় স্থানীয় গ্রামবাসী নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছেন।
নিহতরা হলেনÑ বড়পুল পাড়া এলাকায় একই পরিবারের সুরেন্দ্র লাল চাকমা (৪৮), স্ত্রী রাজ্য দেবী চাকমা (৪৫) ও মেয়ে সোনালী চাকমা (০৯), রুমেল চাকমা (১২), ধর্মচান পাড়ায় ফুল দেবী চাকমা, ইতি চাকমা, দুই বছরের শিশু, আরো একজন অজ্ঞাত। এ ছাড়া হাতিমারা এলাকায় রীতা চাকমা ও রিটেন চাকমা এবং গিলাছড়ি ইউনিয়নের মনতলা এলাকায় অপর একজন মারা গেছেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ পাহাড় ধসে নিহতের কথা স্বীকার করে জানান, টানা ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের তিনটি গ্রামে পাহাড় ধসে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতের প্রত্যেকক্যে জেলা প্রশাসন ২০ হাজার টাকা, ৩০ কেজি করে চাল এবং জেলা পরিষদ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে।
এ দিকে রাঙ্গামাটিতে এক টানা ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনের একটানা ভারী বর্ষণে রাঙ্গমাটিতে জনজীবন থমকে গেছে। রাঙ্গামাটি আবহাওয়া অফিস গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। টানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা, চম্পক নগর, লোকনাথ আশ্রম ও ভেদভেদীসহ আশপাশে কিছু এলাকায় ছোটখাটো দেয়াল ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন রাঙ্গামাটি শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০০ পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ দিকে বেতবুনিয়া ঠাণ্ডাছড়িতে রাস্তা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় বেলা ২টার পর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এ কে এম মমিুনুর রশীদের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাঙ্গামাটি শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং ভূমি ধসের দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement