২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হ্যারি কেনদের জয়োল্লাস ভাসিয়ে নিলো মঈন আলিদের (ভিডিও)

বিশ্বকাপ
মঈন আলিদের জয়োল্লাস - সংগৃহীত

বেলজিয়ামের বিপক্ষে টাইব্রেকারে পঞ্চম ও শেষ শটে গোল করলেই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে ইংল্যান্ড। এমন সমীকরণে রাশিয়ার সোচিতে মঙ্গলবার রাতে মিডফিল্ডার এরিক ডায়ার গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত এক জয়ের স্বাদ দেন। জয়ের পর রাশিয়ার সোচি স্টেডিয়ামে আনন্দ উল্লাস করেছে ফুটবল দল। তাদের উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে ম্যানচেষ্টার স্টেডিয়ামেও। সেখানে ড্রেসিংরুমে আনন্দ উল্লাস করেছে মঈন আলিরাও।

ইংল্যান্ড ফুটবল দলের খেলা চলাকালীন ব্যাট-বল হাতে মাঠের লড়াইয়ে ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ম্যানচেষ্টারে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে লড়াই করে মরগানের দল। ম্যাচটি ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে মরগান-বাটলাররা।
কিন্তু ক্রিকেট ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে ফুটবল দলের বাকি সময়ের খেলা উপভোগ করেন মরগান-বাটলাররা। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে ডায়ারের শেষ গোলের পরই ড্রেসিংরুমে আনন্দে নেচে উঠেন বাটলার-জেসন রয়-মঈন আলিসহ সবাই।

এই আনন্দের মুহূর্তে মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোডও করে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিওটি বেশ সাড়াও ফেলে।

কিছুদিন আগে মহিলা এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের জয়ের শেষ মুহূর্তটি মিরপুরের ড্রেসিংরুমে থাকা অবস্থায় ভিডিও করেছিল বাংলাদেশ পুরুষ দল। পরে বাংলাদেশ দল সেটি ফেসবুকে আপলোড দেয়। কুয়ালালামপুরের ওই ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের বাঘিনীরা।

দেখুন সেই জয়োল্লাস :

 

আরো পড়ুন : বিশ্বাস ছিল টাইব্রেকারে জিতবো : কেন

কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারানো সম্ভব হবে, এমন বিশ্বাস ছিলো ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেনের। কলম্বিয়াকে ৪-৩ গোলে হারানোর পর ম্যাচ শেষে কেন এমনটিই বলেন। কেন বলেন, ‘টাইব্রেকারে জয়ের ব্যাপারে আমাদের এবারের দলটি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলো। কারণ আমরা এবার টাইব্রেকার নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি। তাই যেকোনো ম্যাচে টাইব্রেকারে জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’

সোচিতে মঙ্গলবার চলতি বিশ্বকাপের শেষ ষোলর শেষ ম্যাচে ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক কেন। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও ম্যাচটিতে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিলো ইংলিশরা। কিন্তু ইনজুরির সময়ের তৃতীয় ও শেষ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা আনে কলম্বিয়া। ফলে প্রথম দু’অর্ধ শেষে ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গোলশুন্য থাকলে ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে অবিস্মরনীয় জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। এই জয়টি ইংল্যান্ডের কাছে অবিস্মরনীয়, কারন বিশ্বকাপ আসরে কখনোই টাইব্রেকারে জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। জেরার্ড-রুনি-ল্যাম্পার্ড-স্কোলসদের সোনালি প্রজন্ম যা করতে পারেনি গতরাতে কেনের দল তা করে দেখালো। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের দৃঢ়তায় টাইব্রেকারে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে অনুভুতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক কেন বলেন, ‘শেষ মিনিটে গোল হজম করে আমরা কিছুটা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়িনি। আর যখন ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ালো আমরা তখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। কারন টাইব্রেকারের ব্যাপারে এবার আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও স্বজাগ ছিলাম। কারন টুর্নামেন্ট শুরুর একমাস আগ থেকেই আমরা টাইব্রেকার নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি। টাইব্রেকারে ভালো করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তাই ম্যাচটি যখন টাইব্রেকারে গড়ায়, আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’

টাইব্রেকারে জয়ের পরের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘জয়ের পর আমরা ছিলাম আত্মহারা। এটি আমাদের জন্য অবিস্মরনীয় একটি দিন। আমরা জানি টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের রেকর্ড ভালো নয়। তিনবার টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয়েছিলো আমাদের। এবার সেইসব স্মৃতি মুছে ফেলার সময় ছিলো। দল হিসেবে আমরা পেরেছি, তাই আনন্দের মাত্রাটা অনেক বেশি।’
দল কোয়ার্টারফাইনালে উঠায় নিজেকে গর্বিত মনে করছেন কেন।

তিনি বলেন, ‘দল কোয়ার্টারফাইনালে উঠায় সত্যিই আমি গর্বিত। ম্যাচ জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গোল হজম করতে হয় আমাদের। কিন্তু তারপরও দলের সতীর্থরা হাল ছাড়েনি। লড়াই করার মানসিকতা দেখিয়েছে এবং ম্যাচ জিতেই মাঠ ছেড়েছে। আশা করবো এমনটি বিশ্বকাপের পরের ম্যাচেও বজায় থাকবে।’


আরো সংবাদ



premium cement