‘হার্ট অ্যাটাক গেম!’
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২১ জুন ২০১৮, ১৯:২৪
স্পেন- ইরানের ম্যাচটাকে ‘হার্ট অ্যাটাক গেম’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন স্পানিশ এক পত্রিকায়। এর যুক্তিও রয়েছে। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে আত্ববিশ্বাসে চিড় ধরতে বসেছিল স্পানিশদের। ইরানের হুংকারের মুখে তারা স্বাভাবিক নৈপুন্য প্রদর্শনের আশা রেখেছিল। কিন্তু ইরান তো আর ছেড়ে কথা বলার দল নয়। ম্যাচের আগে ইরানের অধিনায়ক স্পস্ট জানিয়ে দেন-‘স্পেনে আমরা ভীত নই।’ ইরানের মত এক দলের অধিনায়কের এমন হুংকার স্পানিশদের কানে লাগার যথেস্ট কারণও রয়েছে। কেননা ইরান, মরক্কোর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে যে জিতেছিল। টেনশনটা তাদের সেখানে। এরপরও ইরানিরা ছেড়ে দেয়নি।
যে গোলটা হজম করেছে ইরান সেটাতেও তাদের দোষ দেখছেন। কারন ডিবক্সে ইনিয়েস্তার বল ক্লিয়ার করতে যেয়ে ইরানী এক ডিফেন্ডার দিয়াগো কস্তার পায়ের কাছে চলে যায়। কস্তার পা স্পর্শ হয়ে বল জালে। ডিবক্সে ক্লিয়ার যখন হবে বল, তখন অন্য কারো কাছে বল যাওয়া এটা রক্ষনভাগের রীতিতে সাধারনত পরেনা। সারা ম্যাচে ৫৪ মিনিটের ওই গোল নিয়েও স্পানিশদের হতাশা ছিল। যদি ইরান একটি গোল পরিশোধ করে দেয়? তাহলে পয়েন্ট টেবিলে তো ইরানই তাদের উপরে চলে যাবে। ফলে ম্যাচজুড়ে এগিয়ে থেকেও স্পানিশদের টেনশনের আর অন্ত ছিলনা।
খেলার বেশীরভাগ সময় কেটেছে ইরানী অর্ধে। এরপরও স্পেনের এক রক্ষনভাগের খেলোয়াড় বলেছেন ‘এ (ইরান) দলটির বিপক্ষে ম্যাচ খেলা টাফ।’ কারণ ইরান ব্যাস্ত ছিল রক্ষনদুর্গ নিয়ে। এ জয়ে পর্তুগাল ও স্পেনের পয়েন্ট সমান ৪। ইরান এখনও মাত্র এক পয়েন্ট পেছনে। স্পেনের ওই পত্রিকা আরো লিখেছে, ‘পর্তুগালের বিপক্ষে তিন গোল করলেও ইরানের বিপক্ষে আমরা গোল খড়ায় ভুগেছি। ভাগ্যিস আমরা ম্যাচটা জয়ে শেষ করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্পেনের রক্ষন ভাগের খেলোয়াড় কারভাজাল আরো বলেছেন,‘এটা আসলে ফাইনালের মতই একটা ম্যাচ ছিল। কারণ পর্তুগালের বিপক্ষে ড্র করার পর আমাদের জয় ছাড়া উপায় ছিলনা। তাছাড়া প্রতিপক্ষও অনেক গুছানো ফুটবল খেলে। যাতে সাফল্য পাওয়া সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল। আমরা এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি।’ তিনি পরের ম্যাচ মরক্কোর কথা উল্লেখ করেও বলেন,‘সেটাও একটা কঠিন ম্যাচ হবে বলে আমরা ধরে নিচ্ছি। কারণ মরক্কোও অনেক ভাল ফুটবল খেলে। ফলে সে কথা চিন্তা করলে এ জয় নিয়ে এগিয়ে থাকাটা আমাদের জন্য খুবই জরুরী ছিল। যেটা আমরা সর্বশেষ করতে পেরেছি।’