২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জেগে কি উঠবে রাশিয়ার ফুটবল?

জেগে কি উঠবে রাশিয়ার ফুটবল? - এএফপি

‘কাল আমাদের ওয়ার্কি ডে। তা না হলে দেখতে কিভাবে সারা রাত আনন্দ করতাম সেন্ট পিটার্সবার্গে।’ মিসরের সাথে জয়ের পর এভাবেই আনন্দ মাখা কষ্ট নিযে কথা গুলো বললেন তরুন রাশিয়ান সার্গেই। তারা দারুন খুশী এবারের বিশ্বাকাপে রাশিয়ার জয়ে। তার মতো উৎফুল্ল বর্ষীয়ান ভেসেলি, আন্দ্রেরা। নিজ মাঠে বিশ্বকাপ। টানা দুই জয় স্বাগতিকদের। প্রথম দল হিসেবে তারা চলে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। স্থানীয়দের মধ্যেও এখন দারুন আগ্রহ ফুটবল নিয়ে। কিন্তু এই সাফল্য কি জাগিয়ে তুলবে দেশের ফুটবলকে। এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেলনা রাশিয়ানদের।

সার্গেই জানান, বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাশিয়ায় কিছু নতুন স্টেডিয়াম হয়েছে। কিছু নতুন মেট্রো রেল স্টেশন হয়েছে। তার মানে এই নয় যে বিশ্বকাপ পাল্টে দেবে দেশের ফুটবলকে। তিনি উদহারন টানেন, সচিতে অনুষ্ঠিত শীত কালীন আলিম্পিকের। বললেন, সচির সেই অলিম্পিক ভেন্যূ এখন পরিত্যাক্ত অবস্থ্য়া পড়ে আছে। এবারের বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে সারানস্ক শহেরে নতনু স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে । কিন্তু ছোট্ট এই শহরের নিজম্ব কোনো ফুটবল টিম নেই।

তার আশাবাদ, হয়তো এই বিশ্বকাপ মানসিকতার পরিবর্তন আনবে রাশিয়ানদের মধ্যে। একই সাথে বিশ্বের অন্য দেশের মানুষের ও ধারনা পাল্টে যাবে রাশিয়া সম্পর্কে। আগে তো তাদের বাজে ধারনা ছিল আমাদের সম্পর্কে। এখন তারা বুঝছে আমরা আসলে কতো ভালো।

বর্ষীয়ান ইঞ্জিনিয়ার ভেসেলির তার ছেলেকে নিয়ে এসেছেন খেলা দেখতে। তার বক্তব্য, দল জিতেছে এতে আমরা খুশী । কিন্তু এতে যে পাল্টে যাবে দেশের ফুটবল, ব্যাপক উন্নতি হবে এই খেলাতে সে আশা আমি করিনা। মানুষ খেলা দেখছে। দল জয় পাচ্ছে, তারা খুশী হচ্ছে কিছুক্ষণ আনন্দ করছে এটাই যথেষ্ট। এরচেয়ে বেশী কিছু হবে না।

তবে দেশটির ফুটবলে উন্নতি হোক বা না হোক দুই জয় পাল্টে দিয়েছে পুরো চিত্র। এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে ম্যাড়ম্যাড়া ভাব ছিল মস্কোতে এখন তা নেই। রুশরা এখন তাদের জাতীয় দলের জার্সী পড়ে ঘুরছে গর্বের সাথে। আলোচনা করছে দেশের ফুৃটবল নিয়ে। মিডিয়া কর্মীদের দেখলে সম্মান করছে। দুই জয় গত দশ দিনে এই পরিবর্তনটা এনেছে স্থানীয়দের মাঝে।


আরো সংবাদ



premium cement