২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কতটা শক্তিশালী ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ

সুইজারল্যান্ড ফুটবলে কখানোই বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি - ছবি : সংগ্রহ

আজ মাঠে নামছে টুর্নামেন্টের টপ ফেভারিট ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় রাত বারোটায় এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশ সুইজারল্যান্ড ফুটবলে কখানোই বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি। বাছাই পর্বেও দেখা গেছে তাদের সেই সামর্থের ছাপ। সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি এবার তারা। প্লে অফ ম্যাচ খেলে অনেকটা ভাগ্যের জোরে বিশ্বকাপে এসেছে সুইসরা। প্লে অফ ম্যাচে নর্দান আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারা ম্যাচটি জিতেছে রিকার্ডো রড্রিগেসের বিতর্কীত পেনাল্টির গোলে।

তবে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে(বাছাইপর্বে) রোনালদোবিহীন পর্তুগালকে হারিয়েছিলো সুইজারল্যান্ড। গত বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিলো দলটি। সর্বশেষ ২০১৬ ইউরোতেও দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়।

দলের আক্রমণভাগের সবচেয়ে বড় তারকা হ্যারিস সেফারোভিচ গত পাঁচ বছরে ৪৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। বিকল্প ভালো ফরোয়ার্ড না থাকার কারনেই যে তিনি দলে আছেন সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া জোসিপ দ্রিমিচ আর জারদান শাকিরিও ফর্মে নেই অনেক দিন।
তবে শক্তির জায়গা হচ্ছে দলটির পরিশ্রমি কয়েকজন খেলোয়াড়। বিশেষ করে রক্ষণভাগ খুবই পরিশ্রমি একটি ইউনিট দিয়ে গড়া, যারা প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত থাকবেন সর্বদা।

সুইস কোচ ভ্লাদিমির প্যাটকোভিচের চাওয়া- তার দল যেন শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সাফল্য লাভ করার চমৎকার দলীয় স্পিরিট আছে এবং আমার দলের সাফল্য লাভ করার ইচ্ছা অসাধারণ।’


আরো পড়ুন:

হতাশ মেসি যা বললেন
রফিুকুল হায়দার ফরহাদ , রাশিয়া থেকে
রাগে ফুসছিলেন আর্জেন্টিনার দর্শকরা। ক্ষুদ্ধ তাদের সাংবাদিকরাও। গ্যালারিতে উপস্থিত দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনার সাথে তাল মিলিয়ে এই সমর্থকরা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন আর্জেন্টিনা দলকে। কিন্তু শনিবার খেলা শেষে সবাইকেই হতাশা নিয়ে ফিরতে হলো মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়াম থেকে। শিরোপা জিতেতে আসা গতবারের রানার্সআপারা হোঁচট খেল প্রথম ম্যাচেই। বাছাইপর্ব থেকে চমক দেখিয়ে রাশিয়া পর্যন্ত আসা আইসল্যান্ডের বরফে আটকা পড়ল মেসি বাহিনী। তাদেরকে ১-১ গোলে রুখে দিয়ে আইসল্যান্ড এখন স্বপ্নের জাল বুনছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার।

অন্য দিকে আর্জেন্টিাকে নক আউটে যেতে পরের দুই খেলা থেকে অন্তত চার পয়েন্টে পেতেই হবে। প্রথম ম্যাচে জিততে ব্যর্থতা। তবে নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

শনিবার ম্যাচ শেষে সে কাথাই বলেলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। নিজ দেশের দর্শক সহ সবাইকে আশায় রাখলেন তিনি। মিক্সড জোনে তিনি জানান, অপেক্ষা করুন। পরের খেলাতেই আপনারা আনন্দে ভাসতে পারবেন। ‘২১ জুন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আমরা জয়ের জন্যই নামব।’ তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সাথে ড্র কে হারের সাথে তুলনা করলেন তিনি।

খেলা শেষে মিক্সড জোনে সবার আগে এসেছিলেন আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা। তাদেরকে ঘিরেই ব্যস্ত মিডিয়া কর্মীরা। বেশ পরে এলেন মেসিরা। আর্জেন্টিনা দল আসার পর আর কেউ ফিরে তাকায় না ড্র করা বীরদের দিকে। সবাই ছুটছে আকাশী নীল জার্সীধারীদের উদ্দেশ্যে। অবশ্য মেসি ও নতুন ১৩ নং জার্সিধারী ম্যাক্সিমিলোনো মেসা ছাড়া কেউই কথা বলেনি মিডিয়ার সাথে। বেচারা মেসা মাত্রই কথা বলা শুরু করেছিলেন। তখনই এলেন মেসি। এরপর যা হওয়ার তাই। সবার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে যান মেসি। আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপিয়েন্তেতে খেলা এই মিডফিল্ডারের দিকে আর কারো আগ্রহ নেই। তাকে রেখেই সবাই পিছু নিলেন বার্সেলোনা তারকার। মনটা একটু খারাপ এবং কিছুটা অপমানিত হয়ে টিম বাসে উঠলেন মেসা।

জিততে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করলেন মেসি। জানান, ‘একটি দল যদি খেলতে না চায় তাহলে তাদের বিপক্ষে কিভাবে জেতা সম্ভব। আইসল্যান্ডতো নেগেটিভ ফুটবল খেলেছে।’ অবশ্য তাদের শক্ত রক্ষণভাগের প্রশংসা তার কন্ঠে। এরপরও প্রথম খেলায় জিততে না পারার জন্য মেসি দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই নিলেন। বললেন ‘এই রেজাল্টে আমি খুব হতাশ। বাজে দিন গেছে আমার । পেনাল্টি মিস করেছি। আসলে এমনটা হতেই পারে। তবে আমরা যে ড্র করেছি এটা হারেরই সমান। কারণ আর্জেন্টিনা সব সময় জয়ের জন্যই খেলে। এখন আমাদের পরে ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে ।

নিজ দলের বদলি ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান পাভনের প্রশংসা করলেন মেসি। ‘ও খুব ভালো খেলেছে। ব্শে চেষ্টা করেছে সে।’ উল্লেখ্য ১৫মিনিটের জন্য মাঠে নামেন আর্জেন্টিনা লিগে বোকা জুনিয়র্সে খেলা এই ডিফেন্ডোর। মেসি আরো জানান, দর্শকরা আমাদের যথেষ্ট সমর্থন দিয়েছে।

এদিকে অল্প সময়ের সাক্ষাতকারে মেসা বলেন, মেসি আমাদের ড্রেসিং রুমে বলেছেন পরের ম্যাচের জন্য তৈরি হতে।


আরো সংবাদ



premium cement