২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মরক্কো এবং ইরান : শক্তিমত্তায় প্রায় সমান দুই দলের লড়াই

মরক্কো এবং ইরান : শক্তিমত্তায় প্রায় সমান দুই দলের লড়াই - সংগৃহীত

নিজেদের গ্রুপে এই দুটি দল শক্তিমত্তায় প্রায় সমান এবং তারাই নিজেদের গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল। গ্রুপ বি’ থেকে ২০১০ সালের স্পেন এবং বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে এই দুই দল মুখোমুখি হবে।

সেন্ট পিটারর্সবার্গে তাই তাদের লড়াই নিয়ে নিজেদের দেশের ফুটবল ভক্ত সমর্থকদের ছাড়া আর কারো তেমন আগ্রহ না থাকারই কথা। একই সাথে বলা যায় মরক্কোনরা বেশী ফেভারিট ইরানের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে। কারণ তাদের মাঠের প্রতিটি পজিশনেই যথোপযুক্ত খেলোয়াড় রয়েছে। তাই লেস লায়ন্স ডি এটলাসকেই এগিয়ে রাখবে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা এশিয়ার ইরানের তুলনায়।

তাছাড়া গ্রুপ বি থেকে তাদের ইউরোপিয় প্রতিপক্ষ স্পেন এবং পর্তুগালের বিপক্ষেও আপসেট ঘটানোর ক্ষমতা রয়েছে মরক্কোর। যদিও ইরানের বিপক্ষে মরক্কোর ম্যাচটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার জন্য। ইরানের বিপক্ষে মরক্কোকে টিম মেলির শক্তিশালী রক্ষনভাগের মোকাবেলা করতে হবে। এএফসি কোয়ালিফাইংয়ে টিম মেলি বা ইরান মাত্র দুটি গোল খেয়েছে এবং বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও তাদের রক্ষনভাগ ছিল বেশ শক্তিশালী।

জার্মান বুন্দেসলীগায় শালকে ০৪ এ’ খেলা আইমান আয়েট এবং আয়াক্স আমর্স্টাডাম এর হেকিম জিয়েচ এবং গ্যালাতাসারেতে খেলা ইউনেস বেলহান্ডার দিকেই মরক্কোর সকল শক্তি নির্ভর করে। এই তিনজনই ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে মারাত্মক এবং যেকোন রক্ষনভাগও তারা ভেদ করার সামর্থ রাখে।

এই বিবেচনায় মরক্কোকে ইরানের বিপক্ষে পরিষ্কার ব্যাবধানেই এগিয়ে রাখা যায় এবং তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের মধ্যে দিয়েই গ্রুপের প্রথম ম্যাচটি শুরু করতে চায়। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে মরক্কো প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয় কিন্তু শেষ ষোল’র লড়াইয়ে তারা জার্মানির বিপক্ষে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়। শালকেতে খেলা আয়মান হায়াত মরক্কোর সাম্প্রতিক কালের সেরা মাঝমাঠের খেলোয়াড়।

এই এটাকিং মিডফিল্ডার জার্মান বুন্দেসলীগায় তিনটি গোল করেছেন এবং গোলে সহায়তা করেছে সাতবার। হায়াত এর অসাধারণ নৈপুন্যর ফলেই জার্মান বুন্দেসলীগায় শালকে বায়ার্ন মিউনিখের পর দ্বিতীয় স্থান নিয়ে লীগ শেষ করেছে। যদিও হায়াত এর জন্ম এবং বড় হয়ে উঠা ফ্রান্সে কিন্তু হায়াত নিজ বংশোদ্ভুত দেশ মরক্কোর হয়ে খেলাটা বেছে নিয়েছেন। আফ্রিকান বাছাই পর্বে গ্যাবনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয়। এএফসি বাছাই পর্বে ইরান সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষনভাগ নিয়ে ছিল।

তারা ১০০০ মিনিট কোন গোল খায়নি। সিরিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তারা ২-২ গোলে ড্র করেছিল। সরদার আজমাউন ইরানের সবচেয়ে বড় তারকা ফুটবলার। তাকে নিয়ে ইরান আশা দেখছে এবং সে নিজেও বিশ্বকাপে ভালো করার আশা করছে। ২৩ বছর বয়স্ক এটাকিং মিডফিল্ডার রাশিয়ার লীগে রুবিন কাজানের হয়ে খেলে থাকে। তাই বিশ্বকাপে রাশিয়ার পরিবেশ তার কাছে পরিচিতই লাগবে। রাশিয়ান লীগে আজমাউন ১১৫ ম্যাচ থেকে ২৯টি গোল করেছেন এবং ১৪টি গোল করতে সহায়তা করেছেন। এই ম্যাচে মরক্কো ৪-১-৪-১ ফরম্যাশনে খেলবে এবং ইরান ৪-২-৩-১ ফরম্যাশনে খেলবে। এই দুটি দেশ বিশ্বকাপে কখনো একে অপরের মোকাবেলা করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement