কান্না হাসির পর বিশ্বকাপে
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ, রাশিয়া থেকে
- ১৩ জুন ২০১৮, ১৭:৫০
১৯৯০ সালে তার শুধু কান্নার কথাই মনে আছে। বয়স তখন অনেক কম। মাত্র পাঁচ বছর। এর চার বছর পর তার বয়স গিয়ে ঠেকে ৯ এ। ফলে তখনকার কথাও স্মরণ করতে পারছেন। টাইব্রেকারে ব্রাজিলের জয়ের পর কি আনন্দইনা করেছেন পুরো পরিবার মিলে। সেই ছোট্ট ছেলেটি এখন বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে। রবিবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেকের আপেক্ষা। বলা হচ্ছে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইস সম্পর্কে। লেফট ব্যাক পজিশনে খেলেন স্পেনের অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এই ফুটবলার।
১৯৯০ এর বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। সেই ম্যাচে ব্রাজিল ১-০তে হারে আর্জেন্টিনার কাছে। ম্যারাডোনার পাসে ক্লাওডিও ক্যানেজিয়ার গোল। কোর্য়াটার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় ব্রাজিলের। তখন ফিলিপে লুইসের বয়স ছিল মাত্র পাঁচ। ওই দু:খ হজনক হারের পর তিনি কেঁদেছিলেন । শুধু এটাই মনে আছে তার। জানান তিনি। ১৯৯৪ সালে তার অবশ্য শুধু ফাইনালে ইতালীর বিপক্ষে টাইব্রেকারের কথা তার স্মৃতিতে স্পষ্ট। বললেন, যুক্তরাস্ট্রের ওই বিশ্বকাপে যখন ফাইনালের ১২০ মিনিট শেষে টাইব্রেকার হচ্ছিল তখন আমরা সবাই দাদীর বসায় বসে খেলা দেখছিলাম। সবাই মিলে হাত তুলে সৃস্টিকর্তার কাছে দোয়া করছিলাম স্পটকিকে জেতার জন্য। শেষ পর্যন্ত হলো জয়। তারপর সে কি আনন্দ। ব্রাজিল তখন চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমার খুব ভালো করে মনে আছে সেই টাইব্রেকারের দৃশ্যটাই। জানান ফিলিপে লুইস।
তার ভালো ভাবে বিশ্বকাপ দেখা ২০০২ সাল থেকে। জাপান-কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই আসরে তাকে শেষ রাতের দিকে উঠে খেলা দেখতে হতো। কারন এশিয়ার এই দুই দেশের সাথে সময়ের বিস্তর ফারাক ছিল ব্রাজিলের। তখন তার চোখের সামনে রোনালদো, রোনলদিনহো, রিভালদোদের কারিশমা। তাই এদেরকে আদর্শ মেনেই তার ফুটবলার হওয়া। অবশ্য তখন ফিলিপে লুইস নিয়মিত ফুটবল খেলা শুরু করেন। এই রাত জাগার জন্য অবশ্য কোচের বকা শুনতে হয়েছে আমাকে।। তিনি সহ সব ফুটবলার মিলে খেলা দেখতে উঠতেন শেষ রাতে। কোচের রাগ করার নেপথ্য, তারা ফুটবল প্র্যাকটিস করে ক্লান্ত। ঠিক মতো ঘুম না হলে যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। যা ইনজুরি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে। উল্লেখ করলেন এই লেফটব্যাক।
সব ফুটবলারের স্বপ্নই থাকে বিশ্বকাপে খেলা। ফিলিপে লুইসও এর ব্যতিক্রম নন। এবার তার আশা পূরনের পর্ব। অবশ্য মার্সেলো যদি না খেলেন। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে তাকে।। মার্সেলোর কার্ড সমস্যা বা ইনজুরিই দরজা খুলে দিতে পারে তার। তা না হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে। সুইজারল্যান্ড ছাড়াও ব্রাজিলের বাকী দুই ম্যাচ কোস্টারিকা এবং সার্বিয়ার বিপক্ষে।