১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঢাকা কলেজের মিলনমেলায়

যতই ব্যস্ত থাকি বন্ধুত্বের টানে ছুটে আসবই

ঢাকা কলেজের ৮৫’র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা - নয়া দিগন্ত



দোস্ত যেখানেই থাকি, যতই ব্যস্ত থাকি ছুটে আসবই-বন্ধুত্বের টানে। বন্ধুদের ডাকেতো অনেক কিছুই করতে পারি। এমন বন্ধুত্ব কেমনে ভুলতে পারি। সত্যিই তা-ই, ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের এক মিলনমেলায় আবারো তা প্রমান হল।

এবার ঢাকা কলেজের ৮৫’র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীতে থেকে দুরে মুন্সিগঞ্জের ঢালী রিসোর্টে । সকাল আটটায় মানিক মিয়া এভিনিউ’র সেচ ভবনের কাছ তেকে গাড়ি ছাড়ার সময় দেখা গেল পুরো এলাকায় জটলা বেঁধে গেছে রীতিমত। এমন আয়োজনে সবাই মিলেই একসাথে কাজ করেছে। ঢাকা কলেজের ছাত্র জীবনে এরা ছিল স্টার। সারা দেশ থেকেই  স্টার ছাত্ররা ভর্তি হত এখানে। এখন এরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্টারই হয়ে আছে। কেউ হয়েছেন দেশের সেরা শিক্ষক ও চিকিৎসক, কেউ হয়েছেন নামকরা প্রকৌশলী ও আর্কটেক্ট, কেউ আছেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে। ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থান এসময়ে অত্যন্ত সুদৃঢ়, এমন কি রাজনৈতিক অঙ্গনেও এদের শীর্ষ স্থান রয়েছে।  সব মিলিয়ে এদের জীবন এখন ব্যস্ততায় ভরা। কলেজ জীবনে চুটিয়ে আড্ডা বা এক ফাঁকে নিউমার্কেট চলে যাওয়ার সেই ফুসরৎ নেই। নেই ঢাকা কলেজের ক্যান্টিনে বিশেষ জারী গান গাওয়া যা একমাত্র কলেজ প্রাঙ্গনে সাত সকালে শোনা যেত বিশেষ কযেকজনের মুখে।

এখন শুধু ব্যস্ততা একদিকে কর্মজীবনে অন্যদিকে রয়েছে পরিবার পরিজনের সাথে সময় দেয়া। কিন্তু তাতে কি এসব স্টার তাদের কলেজ জীবনে সেই বন্ধুদের মিলনমেলায় আসবে না। আসবেই। ছুটে আসে যখনই ফেইস বুক বা ভাইভারে ডাক পড়ে। এইতো কয়েকদিন আগেও এরা সেন্ট মার্টিনে ছুটে যায় তারা এত ব্যস্ততার মাঝে বন্ধুত্বের মিলনমেলায়। আবার কোন বন্ধুর অস্থুততায় হাসপাতালে সব্বাইতো বন্ধুত্বের টানেই ছুটে যা, যা ওই হাসপাতাাল কর্তৃপক্ষকেও অবাক করে দেয় -ঢাকা কলেজের ৮৫’ ব্যাচের ছাত্রদের এমন বন্ধুত্বের টান দেখে।

গত শুক্রবার (১ মার্চ)  ঢালী রিসোর্টের মিলনমেলায় এসব স্টারদের সাথে আসে তাদের পরিবার পরিজন। এমন মিলনমেলায় তাদের পরিবার পরিজনদেরও অবাক করে দেয়। কয়েকজনের স্ত্রী-তো বলেই বসলেন-এমনিতে তো কোথাও যেতে বললে আে না, নিয়ে যায়ও না-কিন্তু বন্ধুদের মিলমেলায় তো আসতে গেলে সময় নষ্ট হয় না,ব্যস্ততা দেখায় না? হ্যা সত্যিই তাই। স্ত্রী সন্তানদের এমন মন্তব্যে বন্ধুদের এক কথা-যেখানেই থাকব বন্ধুত্বের ডাকে ছুটোই আসবই।

ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠান সেই ১৮৪১ সালে। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অর্জন এবং দু’টি বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলার নীরব সাক্ষী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকার নিউ মার্কেট সংলগ্ন মিরপুর রোডে ১৮ একর জমির ওপর ছায়াসুনিবিড় পরিবেশে বর্তমান অবস্থান হলেও কলেজের প্রতিষ্ঠা ও এর বেড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সংগ্রামের ইতিহাস।


আরো সংবাদ



premium cement