২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সন্তান জন্ম দিলেন মৃতা নারী

- ছবি : সংগৃহীত

ডাক্তাররা ২৬ বছর বয়সী ক্যাটারিনা সেকুয়েরার মস্তিষ্ককে মৃত ঘোষণা করেছিলেন আরো তিন মাস আগেই। কিন্তু এই তিন মাস পর পৃথিবীর কোলে জীবিত একজন প্রতিনিধি রেখেই বিদায় নিলেন ওই নারী।

বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্তুগালের ক্যাটারিনা সেকুয়েরা মারাত্মক ধরনের অ্যাজমায় আক্রান্ত হবার পর তার মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। ক্রীড়াবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেকুয়েরা। তবে তিনি শিশু বয়স থেকেই অ্যাজমায় ভুগছিলেন।

এবার যখন অ্যাজমায় গুরুতর আক্রান্ত হন তিনি ১৯ সপ্তাহের গর্ভবতী। সে সময়ই তিনি কোমায় চলে যান। এরপর পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে গত ২৬ ডিসেম্বর তার মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা হয়। কিন্তু তার গর্ভের সন্তানটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেকুয়েরাকে ভেন্টিলেটরে সংযুক্ত করা হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিলো অন্তত ৩২ সপ্তাহ পর্যন্ত যেনো অপেক্ষা করা যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবারই তার সিজার করা হয়। প্রায় ৩২ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে থাকার পর তাকে মৃত মায়ের মাতৃগর্ভ থেকে বের করে আনা হয়। তার নাম রাখা হয়েছে সালভাদর। সিজারের পর তাকে শিশু হাসপাতালে পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, ৩২ সপ্তাহের শিশুর বেঁচে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। হাসপাতালের এথিকস কমিটি বলছে মাতৃগর্ভে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার বিষয়ে তারা পরিবারের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিশুটির পিতাও চেয়েছেন যাতে শিশুটি বেঁচে থাকে। সেকুয়েরার মা বলছেন তিনি তার কন্যাকে বিদায় দিয়েছেন। কিন্তু শিশুটির পিতা চেয়েছেন বলেই শিশুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিশুটিকে আরো অন্তত তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে।

 

আরো পড়ুন : ১০ বছর ধরে চেতনাহীন নারীর সন্তান জন্মদান : প্রবল হৈচৈ
বিবিসি, ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:০৬
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কেয়ার হোমে এক দশকেরও বেশি সময় চেতনাহীন অবস্থায় থাকা এক রোগীর বাচ্চা হওয়ার পর এ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল হৈচৈ। এই ঘটনার জেরে ঐ কেয়ার হোমটি পরিচালনা করে যে কোম্পানি তার প্রধান নির্বাহী পদত্যাগ করেছেন।

এদিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে। সেখানে হাসিয়েন্দা হেলথ কেয়ারের একটি ক্লিনিকে ঐ নারী এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চেতনাহীন অবস্থায় ছিলেন এবং তাকে সার্বক্ষণিক সেবা দিতে হতো।

কিন্তু ঐ নারী গত ২৯শে ডিসেম্বর একটি সন্তান জন্মদান করেন। রোগীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সেখানকার স্থানীয় এক চ্যানেল কেএইচ-ও টিভি তার সংবাদে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে,‘আমি যেটা শুনছি তা হলো হঠাৎ করেই ঐ রোগী গোঙাতে থাকেন। এবং কেউ বুঝতে পারছিলেন যে তিনি কেন গোঙাচ্ছিলেন। বাচ্চার জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্তও স্টাফদের মধ্যে কেউ বুঝতেই পারেননি যে মহিলা অন্তঃসত্ত্বা।’

কেয়ার হোমের মালিক কোম্পানির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্যারি অরম্যান বলেন,‘এই ভয়াবহ ঘটনার পুরোটা না জানা পর্যন্ত আমরা থেমে থাকবো না।’

এদিকে প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিচ্ছে যে ঐ কেয়ার হোম সম্পর্কে কিছু নতুন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, 'ভিজিটেটভি স্টেটে' থাকা এসব জ্ঞানহীন রোগীদের পোশাক পরিবর্তন বা তাদের গোসল করানো সময় তাদের নগ্ন করে রাখা হতো এবং কোন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা হতো না।

এই ঘটনায় ফিনিক্স পুলিশের একজন মুখপাত্র বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে এই ঘটনা নিয়ে তাদের তদন্ত চলছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর কেয়ার হোমের কিছু নিয়মকানুনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এখন কেয়ার হোম কর্মী কোন নারী রোগীর ঘরে ঢুকতে চাইলে তাকে একজন নারী সহকর্মীকে সাথে রাখতে হবে। কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পুলিশের তদন্তের সাথে পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করছে।

হাসিয়েন্দা হেলথ কেয়ার তার ওয়েবসাইটে বলে থাকে, কঠিন অসুখে পড়া রোগী, এবং দুর্বল নারী, শিশু, টিনএজার ও তরুণদের তারা সেবা দিয়ে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল