২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট : পরিস্থিতি সামলাতে কী ভাবছে ইইউ?

-

পরপর দুই দিন ধারণা মতো সিদ্ধান্ত দিলো ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ। প্রথম দিন ব্রেক্সিট চুক্তি এবং দ্বিতীয় দিন সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রায় দিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যরা। ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতার প্রশ্নে ঐক্যের পর এবার চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিপক্ষেও অবস্থান নিচ্ছেন তারা। তারপরই অনিশ্চয়তার পালা। তবে বিকল্প হিসেবে তারা কী চান, তা কিছুতে স্পষ্ট হচ্ছে না। এতকাল ব্রেক্সিটের প্রশ্নে ‘একলা চলো' নীতি আঁকড়ে ধরার পর কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা করে ঐকমত্যের চেষ্টা শুরু করেছেন। শেষ প্রহরে এমন উদ্যোগ সফল হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় আস্থা ভোটে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ‘নিজস্ব স্বার্থ' সরিয়ে রেখে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া অগ্রসর করতে একসাথে ‘গঠনমূলক ভাবে’ কাজ করার ডাক দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে সরকার ও বিভিন্ন সমাধানসূত্রের প্রবক্তাদের মধ্যে আরো আলোচনার ঘোষণা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আগামী সোমবারই সরকার ব্রেক্সিট সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা পেশ করার অঙ্গীকার করেছেন। মে বুধবার রাতেই প্রধান বিরোধী লেবার দল ছাড়া বাকি দলের নেতাদের সাথে আলোচনা করেন। লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন সেই আলোচনায় যোগ দেননি। করবিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিকল্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেই তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত।

ব্রিটেনের রাজনীতিতে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একাধিক সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। মূল চুক্তিতে কোনো মৌলিক রদবদলের সম্ভাবনা শুরু থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে ইইউ।

ইইউ-র ব্রেক্সিট সংক্রান্ত মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে জানিয়ে দিছেন, কয়েকটি প্রশ্নে কোনো রকম আপস সম্ভব নয়। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যদি কোনো স্পষ্ট সমাধানসূত্রকে ঘিরে ঐকমত্য গড়ে তুলতে সমর্থ হন, সে ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় হতে প্রস্তুত ইইউ। প্রয়োজনে আগামী ২৯ মার্চের সময়সীমাও কিছুটা পিছাতে পারে। সেটা সম্ভব না হলে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট ছাড়া আর কোনো বিকল্প অবশিষ্ট থাকবে না বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।

ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রত্যাশা কাজ করছে। বিরোধী লেবার দল ব্রিটেনকে ইইউ-র একক বাজার ও শুল্ক ইউনিয়নের মধ্যে রাখতে চায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ব্রেক্সিটের পরেও ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনকানুনের বেড়াজালে কার্যত বন্দি থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন এই মতবাদের বিরোধীরা। দ্বিতীয় গণভোটের মাধ্যমে সংকট কাটানোর প্রবক্তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এমন গণভোটে কী প্রশ্ন রাখা হবে এবং রায়ের মধ্যে ব্যবধান আগের মতো কম হলে কী করা হবে, তাও স্পষ্ট নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement