২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

পুরোপুরি স্বাধীনতা চায় না সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা

প্রস্তাবের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, ওই প্রস্তাবটি হচ্ছে ট্রয়ের ঘোড়ার মতো, যা মানবাধিকারের জন্য ক্ষতিকর। -

সুইজারল্যান্ডের আইনের অবস্থান হবে আন্তর্জাতিক আইন এবং যেকোন চুক্তির ওপরে - এরকম একটি প্রস্তাব গণভোটে নাকচ করে দিয়েছে দেশটির বাসিন্দারা।

এখন পর্যন্ত পাওয়া আংশিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৬৭ শতাংশ ভোটার ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, জানিয়েছে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা এসআরএফ।

সমালোচকরা বলছেন, বিশ্বে দেশটির মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই গণভোট।

গরু-ছাগলের শিং থাকবে কি থাকবে না, এবং যে কৃষকরা শিং রাখবে, তাদের ভর্তুকি দেয়া হবে, এরকম একটি প্রস্তাবও বাতিল করে দিয়েছেন ভোটাররা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক কমিয়ে আনা, অভিবাসন সীমিত করা, বিদেশী অপরাধীদের আটক করার মতো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আয়োজন করা গণভোটে সাফল্য পাওয়া গেছে।

কিন্তু এই গণভোটটি বড় ধরণের পরাজয় বলে বলছেন এসভিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিন আমাদ্রুজ, দেশটির পার্লামেন্টের বড় এই রাজনৈতিক দলটি প্রস্তাবটি এনেছিল।

বিবিসি সংবাদদাতা বলছেন, এই প্রস্তাবটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হতাশা তৈরি করেছিল, যা হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসঙ্ঘের সাথে সুইজারল্যান্ডের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলতে পারতো।

তবে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, সুইজারল্যান্ডের অন্য সব রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী নেতা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

গণভোটে ‘ইয়েস (হ্যাঁ)’ জয়ী হলে সুইজারল্যান্ডকে হাজার হাজার চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হতো, এমনকি মানবাধিকার, শিশু অধিকারের অনেক সনদও পুনরায় বিবেচনা করতে হতো।

সুইজারল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, কোনো প্রস্তাবের পক্ষে এক লাখ স্বাক্ষর থাকলে সেটি নিয়ে গণভোট আয়োজন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement