২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মহানবীকে অবজ্ঞা বাকস্বাধীনতা নয় : ইউরোপীয় আদালত

ইসিএইচআর-এ শুনানিতে বিচারকরা - ছবি : সংগ্রহ

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত(ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস-ইসিএইচআর) এক রুল জারি করে বলেছে, মহানবী (সা.)কে নিয়ে অপমানজনক বক্তৃতা দেয়ায় অস্ট্রিয়ার এক নারীকে অপরাধী সাব্যস্ত করা এবং জরিমানা করা হয়েছে তাতে ওই নারীর বাক স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়নি। কারণ ইসলাম ধর্মের নবীকে নিয়ে অবজ্ঞাসূচক বক্তৃতা কিছুতেই বাকস্বাধীনতা হতে পারে না।

২০০৮-০৯ সালে অস্ট্রিয়ার কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির পক্ষে কয়েকটি সেমিনার আয়োজন করে সেখানে ওই নারী ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বেশ কয়েক জায়গায় মহানবী (সা.) এর সাথে হযরত আয়শা (রা) এর বিয়ে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় অস্ট্রিয়ার একটি আদালত। ২০১১ সালে আদালত ধর্ম অবমাননার দায়ে ওই নারীকে অভিযুক্ত করে আর্থিক জরিমানা করে।

কিন্তু ওই নারী নিজের এই বক্তব্যকে বাকস্বাধীনতা উল্লেখ করে আদালতের রায় মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং পরপর দুবার আপিল করেন স্থানীয় উচ্চ আদালতে। তবে উচ্চ আদালতও তার পক্ষে রায় দেয়নি। দেশে শাস্তি বাতিল করতে না পেরে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের দারস্থ হন তিনি। শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের ৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল ওই নারীর শাস্তি বহাল রেখে এবং বাকস্বাধীনতার নামে মহানবীকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে রুল জারি করেন।

ইসিএইচআর তাদের জারিকৃত রুলে ওই নারীর নাম উল্লেখ না করে তাকে ই.সি. নামে সম্মোধন করেছে। পর্যবেক্ষণে বলেছে, আবেদনকারীর (ওই নারী ) বক্তব্য মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে এবং যথাযথ ভিত্তি ছাড়া বক্তব্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। আদালত আরো বলেছে, তার বক্তব্য কিছুতেই বাকস্বাধীনতা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তারা এ বিষয়ে অস্ট্রিয়ার আদালত যে রায় দিয়েছে তাকে যথাযথ বলেছে। আরো বলেছে, বৃহত্তর চিন্তা থেকেই আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে, কারণ প্রত্যেকের ধর্মীয় অনুভূতিকে সুরক্ষিত রাখাও তার মানবাধিকার। অস্ট্রিয়ায় ধর্মীয় শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আদালত আরো বলেছে, অস্ট্রিয়ার আদালতের রায়ে ইউরোপীয় কনভেনশনের বাকস্বাধীনতা বিষয়ক ধারা ‘আর্টিকেল টেন’ লঙ্ঘিত হয়নি।
প্রসঙ্গত ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গ শহরে অবস্থিত ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের কার্যালয়। ইউরোপীয় নাগরিকদের মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখা নিয়েই মূলত কাজ এই আদালতের।

৮৮ লাখ জনসংখ্যার দেশ অস্ট্রিয়ার অবস্থান মধ্য ইউরোপে। জার্মান ভাষাভাষীদের দেশটিতে মুসলিমদের সংখ্যা ৬ লাখের মতো। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে ইসলামবিদ্বেষ ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে অভিবাসীর ঢল নামার পর পর দেশটিতে ইসলাম বিদ্বেষীরা স্বোচ্চার হয়েছে। গত নির্বাচনেও রক্ষণশীল ও ডানপন্থীদের জোট ক্ষমতায় এসেছে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সভা সমাবেশও করেছে ডানপন্থীরা। গত এপ্রিলে দেশটির চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ হুমকি দিয়েছেন ভিয়েনায় অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল